নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংস্কার প্রস্তাবগুলোর যদি আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না এবং জনগণের কাছেও এর কোনো মূল্য থাকবে না বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ২২তম দিনের আলোচনায় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব আসন নিয়ে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি জুলাই সনদের বিষয়েও কথা বলেন।।
তাহের বলেন, ‘দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা যে সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একমত হয়েছি, তা যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, তাহলে বাংলাদেশে একটি গুণগত পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু গতকাল (মঙ্গলবার) কমিশনের পক্ষ থেকে যে সনদের খসড়া পাঠানো হয়েছে, তা দেখে আমরা খুব হতাশ হয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, দুই বছরের মধ্যে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু সরকারের মেয়াদ বা কমিশনের এখতিয়ার সম্পর্কিত কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এই সরকার কি তাহলে দুই বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়? যদি বর্তমান সরকার না থেকে পরবর্তী সরকার এসব বাস্তবায়ন করে, তাহলে এত দিন ধরে আমরা যে পরিশ্রম করেছি, তা কি কেবল পরামর্শ দেওয়ার জন্যই ছিল? তাহলে তো এর কোনো মূল্যই থাকল না।’
তাহের বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই ধরে নিয়েছিলাম, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো আইনগত ভিত্তি পাবে এবং তা বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক হবে। কিন্তু যদি আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে এটি কেবল কথার কথা থেকে যাবে—যা জনগণ মানবে না, গুরুত্ব দেবে না।’
তিনি বলেন, কমিশনের চেয়ারপারসন ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে আগে একটি লিখিত চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু মাঠপর্যায়ে তার কোনো বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি। কমিটমেন্ট না মানলে সেটি শুধু প্রতারণাই নয়, বরং জনগণের সঙ্গে উপহাস।
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে এই ধরনের পরিস্থিতি বহুবার তৈরি হয়েছে এবং তখনো আইনি বিরতি পেরিয়ে সমাধানের পথ বের করা হয়েছে। অতীত উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, এরশাদসহ অনেক শাসক আইনগত প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় গিয়েছেন, সংসদ গঠন করেছেন, আইন পাস করিয়েছেন। ফলে এখনো আইনি ভিত্তি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি প্রস্তাব দেন, ‘আমরা আইনজ্ঞদের নিয়ে একটি বৈঠক করতে চাই, যেখানে এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো কীভাবে আইনগত ভিত্তি পেতে পারে, তা আলোচনা করা হবে। এখনই সেই আলোচনার সুযোগ দিলে ভালো হয়, না হলে পরবর্তী সময়ে যেন সেই সুযোগ দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সনদের প্রস্তাব যদি বাস্তবায়নযোগ্য না হয়, আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে তা শুধু একটি প্রতীকী দলিল হয়ে থাকবে। তাতে আমরা সই করব না, কারণ, জনগণের কাছে যার কোনো বাস্তব মূল্য নেই, এমন প্রস্তাবে সই করে লাভ কী?’
সংস্কার প্রস্তাবগুলোর যদি আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না এবং জনগণের কাছেও এর কোনো মূল্য থাকবে না বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ২২তম দিনের আলোচনায় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব আসন নিয়ে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি জুলাই সনদের বিষয়েও কথা বলেন।।
তাহের বলেন, ‘দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা যে সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একমত হয়েছি, তা যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, তাহলে বাংলাদেশে একটি গুণগত পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু গতকাল (মঙ্গলবার) কমিশনের পক্ষ থেকে যে সনদের খসড়া পাঠানো হয়েছে, তা দেখে আমরা খুব হতাশ হয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, দুই বছরের মধ্যে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু সরকারের মেয়াদ বা কমিশনের এখতিয়ার সম্পর্কিত কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এই সরকার কি তাহলে দুই বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়? যদি বর্তমান সরকার না থেকে পরবর্তী সরকার এসব বাস্তবায়ন করে, তাহলে এত দিন ধরে আমরা যে পরিশ্রম করেছি, তা কি কেবল পরামর্শ দেওয়ার জন্যই ছিল? তাহলে তো এর কোনো মূল্যই থাকল না।’
তাহের বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই ধরে নিয়েছিলাম, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো আইনগত ভিত্তি পাবে এবং তা বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক হবে। কিন্তু যদি আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে এটি কেবল কথার কথা থেকে যাবে—যা জনগণ মানবে না, গুরুত্ব দেবে না।’
তিনি বলেন, কমিশনের চেয়ারপারসন ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে আগে একটি লিখিত চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু মাঠপর্যায়ে তার কোনো বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি। কমিটমেন্ট না মানলে সেটি শুধু প্রতারণাই নয়, বরং জনগণের সঙ্গে উপহাস।
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে এই ধরনের পরিস্থিতি বহুবার তৈরি হয়েছে এবং তখনো আইনি বিরতি পেরিয়ে সমাধানের পথ বের করা হয়েছে। অতীত উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, এরশাদসহ অনেক শাসক আইনগত প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় গিয়েছেন, সংসদ গঠন করেছেন, আইন পাস করিয়েছেন। ফলে এখনো আইনি ভিত্তি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি প্রস্তাব দেন, ‘আমরা আইনজ্ঞদের নিয়ে একটি বৈঠক করতে চাই, যেখানে এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো কীভাবে আইনগত ভিত্তি পেতে পারে, তা আলোচনা করা হবে। এখনই সেই আলোচনার সুযোগ দিলে ভালো হয়, না হলে পরবর্তী সময়ে যেন সেই সুযোগ দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সনদের প্রস্তাব যদি বাস্তবায়নযোগ্য না হয়, আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে তা শুধু একটি প্রতীকী দলিল হয়ে থাকবে। তাতে আমরা সই করব না, কারণ, জনগণের কাছে যার কোনো বাস্তব মূল্য নেই, এমন প্রস্তাবে সই করে লাভ কী?’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং শিবির নেতা সাদিক কায়েমের বক্তব্যকে খণ্ডন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ নিয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অন্তর্বর্তী সরকারকে কীভাবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তা ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছেন। আজ বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘ডেমোক্রেসি ডায়াস’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই পরামর্শ দেন।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জামায়াত চায় বলে জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সনদকে আইনি মর্যাদা কীভাবে দেওয়া যাবে। আমাদের মতে, যেভাবে অতীতে পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোট ও প্রক্লেমেশন র্যাটিফাই
১৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরসহ, সংস্কার কমিশনের সব চেয়ারম্যান, ঐকমত্য কমিশনের সব সদস্য, জাতীয় নেতারা ও সব দলের প্রতিনিধির স্বাক্ষরসহ একটি সনদ তৈরি হবে—তা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে, পত্রিকায়
১৭ ঘণ্টা আগে