নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো এবং বাস-লঞ্চের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার সকালে রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সমাবেশ শেষে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের পূর্ব গেটে পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয়। এ সময় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হলে তারা সচিবালয়ের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আবারও সমাবেশ করে বামজোট।
আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও তেল পাচারের অজুহাত দেখিয়ে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জানান, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪৬.৬৩ টাকায় তেল কিনে সরকার জনগণকে ৮০ টাকায় কিনতে বাধ্য করছে। সরকার তিন ধরনের শুল্ক, রিফাইন খরচ, জাহাজ খরচ ও পরিবহন বাবদ এখান থেকে প্রায় ৩৪% অর্থাৎ লিটারপ্রতি ১৯ টাকার বেশি তুলে নিচ্ছে।
ক্ষতি নয় বরং সরকারের লাভ হচ্ছে জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এভাবে শুল্ক-ভ্যাটসহ সরকার গত ৭ বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। মুনাফা থেকে মাত্র ৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করলেই অথবা কর কমালেই তেলের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না বলে জানান তারা। তাঁদের দাবি, সদিচ্ছা থাকলে বরং মূল্য আরও কমানো যেতো।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কৃষি, পরিবহন, শিল্প ও বিদ্যুতে ব্যাপকভাবে পড়বে জানিয়ে বক্তাগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরিবহনের ৭২.৭৯, কৃষির ৯৯.৭৩, শিল্পের ৮০.৯৮ এবং বিদ্যুৎ ১৫.২২ ভাগ ডিজেল নির্ভরশীল। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৬ ভাগ ফার্নেস ওয়েল ব্যবহৃত হয়। এরই মধ্যে বাস ও লঞ্চ এর ভাড়া ২৭% ও ৩৬% বৃদ্ধি করেছে।
এ সময় বক্তারা জানান, বাস্তবিকভাবে পরিবহন মালিকেরা বর্ধিত যে ভাড়ার ঘোষণা বিআরটিএ দিয়েছে তার চেয়ে বেশি ভাড়া যাত্রীদের থেকে আদায় করছে। সরকার ও পরিবহন মালিকদের সাজানো নাটকের মাধ্যমেই এই ভাড়া বৃদ্ধি করা হল। মালিকদের হাতে বাড়তি মুনাফা তুলে দেওয়া হল।
তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার এবং ভাড়া বৃদ্ধি করে মালিক মুনাফা লুটবে জানিয়ে বক্তারা বলেন, জনগণের শুধু পকেট কাটা যাবে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এমনিতেই জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থা বিরাজ করছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ না করে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়েছে।
সমাবেশ থেকে ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস ওয়েল, এলপিজি ও অটো গ্যাসের বর্ধিত মূল্য এবং পরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ। জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সহ প্রমুখ।
জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো এবং বাস-লঞ্চের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার সকালে রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সমাবেশ শেষে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের পূর্ব গেটে পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয়। এ সময় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হলে তারা সচিবালয়ের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আবারও সমাবেশ করে বামজোট।
আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও তেল পাচারের অজুহাত দেখিয়ে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জানান, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪৬.৬৩ টাকায় তেল কিনে সরকার জনগণকে ৮০ টাকায় কিনতে বাধ্য করছে। সরকার তিন ধরনের শুল্ক, রিফাইন খরচ, জাহাজ খরচ ও পরিবহন বাবদ এখান থেকে প্রায় ৩৪% অর্থাৎ লিটারপ্রতি ১৯ টাকার বেশি তুলে নিচ্ছে।
ক্ষতি নয় বরং সরকারের লাভ হচ্ছে জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এভাবে শুল্ক-ভ্যাটসহ সরকার গত ৭ বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। মুনাফা থেকে মাত্র ৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করলেই অথবা কর কমালেই তেলের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না বলে জানান তারা। তাঁদের দাবি, সদিচ্ছা থাকলে বরং মূল্য আরও কমানো যেতো।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কৃষি, পরিবহন, শিল্প ও বিদ্যুতে ব্যাপকভাবে পড়বে জানিয়ে বক্তাগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরিবহনের ৭২.৭৯, কৃষির ৯৯.৭৩, শিল্পের ৮০.৯৮ এবং বিদ্যুৎ ১৫.২২ ভাগ ডিজেল নির্ভরশীল। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৬ ভাগ ফার্নেস ওয়েল ব্যবহৃত হয়। এরই মধ্যে বাস ও লঞ্চ এর ভাড়া ২৭% ও ৩৬% বৃদ্ধি করেছে।
এ সময় বক্তারা জানান, বাস্তবিকভাবে পরিবহন মালিকেরা বর্ধিত যে ভাড়ার ঘোষণা বিআরটিএ দিয়েছে তার চেয়ে বেশি ভাড়া যাত্রীদের থেকে আদায় করছে। সরকার ও পরিবহন মালিকদের সাজানো নাটকের মাধ্যমেই এই ভাড়া বৃদ্ধি করা হল। মালিকদের হাতে বাড়তি মুনাফা তুলে দেওয়া হল।
তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার এবং ভাড়া বৃদ্ধি করে মালিক মুনাফা লুটবে জানিয়ে বক্তারা বলেন, জনগণের শুধু পকেট কাটা যাবে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এমনিতেই জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থা বিরাজ করছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ না করে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়েছে।
সমাবেশ থেকে ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস ওয়েল, এলপিজি ও অটো গ্যাসের বর্ধিত মূল্য এবং পরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ। জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সহ প্রমুখ।
বাংলাদেশের জনগণ যে পরিবর্তনের আশায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে, প্রয়োজনে তাদেরও রুখে দেওয়া হবে।
১ মিনিট আগেশফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়, চাঁদাবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়, দখলদারি আমাদের সংস্কৃতি নয়। যে দল তার কর্মীদের এভাবে গড়ে তুলতে পেরেছে, সেই দলের হাতে দেশ এলে ইনশা আল্লাহ দেশ গড়ে তুলতে পারবে। যে দল তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না বা পারবে না, সে দলের হাতে বাংলাদেশের একজন মানুষও নিরাপদ
২১ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে শুরু করেছিলাম। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ, আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ পাইনি। জনগণের পাশে আমাদের আবারও দাঁড়াতে হবে। এলাকায় এলাকায় যে দুর্বৃত্তায়নের
১ দিন আগে‘আমরা খবর পাচ্ছি, যাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে চান, তাঁদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। ওপরে আল্লাহ, নিচে মাটি, জালিমের শাসনের কবর হয়েছে। এনসিপির কোনো নেতা-কর্মীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না। আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য একটি রাজনৈতিক দল। আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করব। কিন্তু পরশ্রীকাতরতা ও হিংসার রাজনীত
১ দিন আগে