রেজা করিম, ঢাকা
আওয়ামী লীগবিহীন রাজনীতির মাঠে সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং আরও কয়েকটি দল নির্বাচনের কথা বলছে। তবে আগে জাতীয় সংসদ না স্থানীয় সরকারের নির্বাচন—এ নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও চলছে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে জোর দিলেও বিএনপি চায় ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে সংসদ নির্বাচন। জামায়াত জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সময় দেওয়ার পক্ষে। এর সঙ্গে এনসিপির মিল থাকলেও তারা নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়তে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে। কমিশন আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এ বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। তবে এই সময়টা কবে চূড়ান্ত হবে, তা আপনারা উনার মুখ থেকেই শুনবেন।’
এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সরকারপ্রধান যেখানে একটি টাইমফ্রেম ঘোষণা করেছেন। হয় আগামী ডিসেম্বর, না হয় ২০২৬ সালের শুরুর দিকে। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সুতরাং, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরেই আমাদের চিন্তাভাবনা এখন পর্যন্ত।’
ইসির এই প্রস্তুতির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার কারণে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে। যেমন মঙ্গলবার রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ২০২৪-এর শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘যত দিন হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে না দেখছি, তত দিন কেউ যেন নির্বাচনের কথা না বলে।’ তাঁর এই বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে কিছু কিছু লোক নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য, নির্বাচন না করার জন্য একটা অজুহাত তৈরির পাঁয়তারা করছে। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত কাজ করছে।’
গতকাল বুধবার রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে এনসিপি নেতার ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো অজুহাতেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পেছানোর সুযোগ নেই। একটি পক্ষের নিজস্ব প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতেই হবে, এমন মনোভাব পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার মনোভাবকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিএনপি ন্যূনতম সংস্কার করে চলতি বছরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণারও দাবি জানাচ্ছে। সাত মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকার রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় হতাশ বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো। সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ে মাঠে নামার কথাও বলেছেন বিএনপির নেতারা।
২ মার্চ রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদ চলতি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানান প্রধান উপদেষ্টার কাছে। তিনি বলেন, তা না হলে রাজনৈতিকভাবে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো বসে পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে, তাঁরা কোনভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগোবেন।
অবশ্য জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায়। সংস্কার প্রশ্নেও বিএনপির সঙ্গে মতের মিল নেই দলটির। জামায়াত প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সরকারকে আরও সময় দিতে রাজি। সম্প্রতি এক সমাবেশে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, আগে স্থানীয় নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করতে হবে, যাতে জনগণ তাদের সেবা পেতে পারে। উপযুক্ত সংস্কার নিশ্চিত করার পরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের ন্যূনতম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করার পরই আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই।’
তরুণদের দল এনসিপিও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। একই সঙ্গে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনেরও দাবি জানাচ্ছেন নতুন দলের নেতারা। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পুরোনো সংবিধান ও পুরোনো শাসনকাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। শুধু সরকার পরিবর্তন করেই জনগণের কল্যাণ ও প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেকেন্ড রিপাবলিকের (দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র) জন্য নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন দল কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সামনের যে নির্বাচন, সেটা একই সঙ্গে গণপরিষদ এবং সংসদ নির্বাচন আকারে করা যেতে পারে।
কোন নির্বাচন আগে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতায় দোষের কিছু দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে বিরাজমান পরিস্থিতিতে তাঁরা বৃহত্তর স্বার্থে দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে। এই অবস্থায় বৃহত্তর স্বার্থে দলগুলোকে অবশ্যই সমঝোতায় আসতে হবে। তা না হলে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
আওয়ামী লীগবিহীন রাজনীতির মাঠে সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং আরও কয়েকটি দল নির্বাচনের কথা বলছে। তবে আগে জাতীয় সংসদ না স্থানীয় সরকারের নির্বাচন—এ নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও চলছে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে জোর দিলেও বিএনপি চায় ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে সংসদ নির্বাচন। জামায়াত জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সময় দেওয়ার পক্ষে। এর সঙ্গে এনসিপির মিল থাকলেও তারা নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়তে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে। কমিশন আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এ বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। তবে এই সময়টা কবে চূড়ান্ত হবে, তা আপনারা উনার মুখ থেকেই শুনবেন।’
এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সরকারপ্রধান যেখানে একটি টাইমফ্রেম ঘোষণা করেছেন। হয় আগামী ডিসেম্বর, না হয় ২০২৬ সালের শুরুর দিকে। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সুতরাং, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরেই আমাদের চিন্তাভাবনা এখন পর্যন্ত।’
ইসির এই প্রস্তুতির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার কারণে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে। যেমন মঙ্গলবার রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ২০২৪-এর শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘যত দিন হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে না দেখছি, তত দিন কেউ যেন নির্বাচনের কথা না বলে।’ তাঁর এই বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে কিছু কিছু লোক নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য, নির্বাচন না করার জন্য একটা অজুহাত তৈরির পাঁয়তারা করছে। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত কাজ করছে।’
গতকাল বুধবার রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে এনসিপি নেতার ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো অজুহাতেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পেছানোর সুযোগ নেই। একটি পক্ষের নিজস্ব প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতেই হবে, এমন মনোভাব পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার মনোভাবকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিএনপি ন্যূনতম সংস্কার করে চলতি বছরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণারও দাবি জানাচ্ছে। সাত মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকার রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় হতাশ বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো। সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ে মাঠে নামার কথাও বলেছেন বিএনপির নেতারা।
২ মার্চ রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদ চলতি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানান প্রধান উপদেষ্টার কাছে। তিনি বলেন, তা না হলে রাজনৈতিকভাবে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো বসে পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে, তাঁরা কোনভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগোবেন।
অবশ্য জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায়। সংস্কার প্রশ্নেও বিএনপির সঙ্গে মতের মিল নেই দলটির। জামায়াত প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সরকারকে আরও সময় দিতে রাজি। সম্প্রতি এক সমাবেশে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, আগে স্থানীয় নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করতে হবে, যাতে জনগণ তাদের সেবা পেতে পারে। উপযুক্ত সংস্কার নিশ্চিত করার পরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের ন্যূনতম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করার পরই আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই।’
তরুণদের দল এনসিপিও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। একই সঙ্গে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনেরও দাবি জানাচ্ছেন নতুন দলের নেতারা। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পুরোনো সংবিধান ও পুরোনো শাসনকাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। শুধু সরকার পরিবর্তন করেই জনগণের কল্যাণ ও প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেকেন্ড রিপাবলিকের (দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র) জন্য নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন দল কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সামনের যে নির্বাচন, সেটা একই সঙ্গে গণপরিষদ এবং সংসদ নির্বাচন আকারে করা যেতে পারে।
কোন নির্বাচন আগে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতায় দোষের কিছু দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে বিরাজমান পরিস্থিতিতে তাঁরা বৃহত্তর স্বার্থে দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে। এই অবস্থায় বৃহত্তর স্বার্থে দলগুলোকে অবশ্যই সমঝোতায় আসতে হবে। তা না হলে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
আত্মপ্রকাশের পর সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি তুলেছে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির নেতারা বলছেন, দেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিরাজ করছে, তার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য নতুন সংবিধান বা পুনর্লিখন প্রয়োজন। একমাত্র গণপরিষদ নির্বাচনই সংবিধান পুনর্লি
৯ ঘণ্টা আগেসাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারের দলীয় প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাঁর দোসরেরা এখনো দেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। আজ বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ঢেউটিন বিতরণকালে এ্যানী এই অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেতাঁর (শেখ হাসিনা) অনেকগুলো মামলা আছে। এগুলো বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটার পর একটার সমাধান হতেই থাকবে। কিন্তু এই বিচারিক প্রক্রিয়ায় সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই, এই বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে নির্বাচনেরও কোনো সম্পর্ক নাই...
১৮ ঘণ্টা আগে