Ajker Patrika

বিএনপি পুঁটি মাছের মতো লাফালাফি করে: সংসদে তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি পুঁটি মাছের মতো লাফালাফি করে: সংসদে তথ্যমন্ত্রী

বর্ষায় বৃষ্টির পর পুঁটি মাছ যেভাবে লাফালাফি করে বিএনপি সে রকম লাফালাফি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৩–২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির সংসদ সদস্য কয়েক দিন আগেও সংসদে ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাঁরা আজকে যেভাবে লাফালাফি করছে। আমি গ্রামের এমপি। এখানে (সংসদে) বেশির ভাগ গ্রামের এমপি। শহরের এমপি কিছু আছে। গ্রামে যখন বর্ষাকালে বৃষ্টি হয় পুঁটি মাছ খুব লাফালাফি করে। পুকুরের মধ্যে পুঁটি মাছ খুব লাফালাফি করে। আজকে বিএনপির লাফালাফি হচ্ছে বর্ষাকালে পুঁটি মাছের প্রথম লাফালাফির মতো।’ 

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গলা দেখি আগের চেয়েও চড়া হয়ে গেছে। যখন বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়। চারদিক ডুবে যায়। তখন কোলা ব্যাঙের আওয়াজ খুব বেড়ে যায়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আওয়াজটা কোলা ব্যাঙের আওয়াজ মনে হচ্ছে। মাননীয় স্পিকার আমাকে ক্ষমা করবেন এ তুলনা দেওয়ার জন্য।’ 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাঁচ সংসদ সদস্য চিঠি লিখল। বাংলাদেশের কাছে নয়, তাঁদের আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারের কাছে। সেখানে ৭০৫ জন সদস্য। তাঁর মধ্যে ৫ জন সদস্য চিঠি লিখল। এটা নিয়ে তাঁদের (বিএনপি) মধ্যে পুলকিত ভাব। কেউ কেউ পুলকিত ভাব প্রকাশ করছে। এই চিঠির কোনো অর্থ নেই, মূল্য নেই। অন্য কোনো দেশ হলে পত্রিকায় এ চিঠি ছাপাতো না। আমাদের দেশে সেটি ছাপিয়েছে।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৪৩৫ জন কংগ্রেসম্যানের মধ্যে ৫ জন চিঠি লিখেছে জো বাইডেনের কাছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। বাংলাদেশের সমস্ত সংখ্যালঘু সংগঠন এটার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের আর্য বিশপ বিবৃতি দিয়েছে। তাঁরা বলেছে, এ চিঠি বাস্তবতা বিবর্জিত। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সময় আমরা সংখ্যালঘুরা ভালো আছি। আমরা বরং আতঙ্কিত আছি মৌলবাদী শক্তি আবার যদি ক্ষমতা নেয় তখন আমাদের কি হবে। তাদের বিবৃতি নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ। যখন হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তাঁরা বলে চিঠি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এ চিঠি সম্পর্কে জো বাইডেনের দপ্তর হোয়াইট হাউস কিছু জানে না। বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকা জানে আর জানে বিএনপির মহাসচিব, আর বিএনপির নেতারা। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা একটা চিঠি আনায়। আমাদের কাছেও দেয় না। সে চিঠি তাঁদের ইন্টারনাল চিঠি, তা এনে পুলকিত ভাব করে।’ 

প্রতিবছর বাজেট পেশ করার পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও বিএনপি একই রকম বক্তব্য দেয় বলে সংসদে দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটা সংস্থা আছে সিপিডি। তাঁরা বাজেটের নানা ভুল ধরে। পাণ্ডিত্য দেখাতে ভুল ধরতে হয়। এটা তাঁদের পেশা। এটা করেই তাঁরা বিদেশ থেকে টাকা পায়। তা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালায়। টিআইবি তাঁদের প্রতিষ্ঠান চালায়। 

তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ৫৩৫ জন কংগ্রেসম্যানের মধ্যে ৫ জনের চিঠি নিয়ে উল্লসিত হওয়া বা মাথাব্যথার কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি করেছে, সেটা তাঁরা করতে পারে। এটা নিয়েও চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত