Ajker Patrika

সরকার কি আদৌ জনগণের আস্থা রাখতে চায়: তারেক রহমানের প্রশ্ন

অনলাইন ডেস্ক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি

তিন মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত জন আকাঙ্ক্ষার প্রতি বোধ হয় ভ্রুক্ষেপ করা হচ্ছে না। তারা যেটা ভালো মনে করছে, সেটাই হয়তো চাপিয়ে দিতে চাইছে।’

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (জেটেব) কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেক অপ্রাপ্তি থাকার পরেও জনগণ কিন্তু এখনো এই সরকারের ওপর আস্থা রাখতে চাইছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে-সরকার কি আদৌ জনগণের আস্থা রাখতে চায়?’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘১৫ বছরের জঞ্জাল তিন মাসে দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু তিন মাস পরে এসে সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠা অন্যায্য নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বিষয় মনে রাখা দরকার যে, জনগণের সকল দাবি হয়তো তাদের পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার পরিচালনায় যদি অদক্ষতা পরিলক্ষিত হয়, জনগণ সহজভাবে মেনে নেবে না। রাষ্ট্র মেরামতের কাজ করতে গিয়ে অগ্রাধিকার নির্বাচন যদি ভুল হয়, তাহলে কিন্তু জনগণের কাছে সরকারের অদক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হবে।’

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘একজন নাগরিকের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ভোট প্রয়োগের অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের অধিকার না পেলে রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সম্পর্ক তৈরি হয় না। জনগণ যখন বুঝবে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সত্যিকারভাবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে, স্বাভাবিকভাবেই তাদের সঙ্গে সম্পর্কটা দৃঢ় হবে।’

‘এই সরকার ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে’ এমন মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা কিন্তু বসে নেই। তারা কিন্তু ওৎ পেতে আছে, এই সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে।’

তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে সরকারের আস্থা নিবিড় থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পাবে না। জনগণ যা চাইছে, সেটাকে যদি সরকার আমলে নেয়, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ পাবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চ্যালেঞ্জ শুধু অন্তর্বর্তী সরকারেরই নয়। এই চ্যালেঞ্জ আগামী দিনে যে সরকার আসবে, তাদেরও।

তিনি বলেন, আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। সতর্কতার সঙ্গে এই সময়টা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। এ সময়ে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে হবে, সাফল্য অর্জন করতে হবে।

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে চাই-দেশের মানুষের মূল আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক সরকার। সময় যত বেশি যাবে, সমস্যা তত বেশি হবে। অতি দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়াই হবে এই দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর।’

তিনি আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছি, যাব। এই লড়াইয়ে আমরা যেন পিছিয়ে না পড়ি, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ বক্তব্য দেন। জেটেব এর সভাপতি প্রকৌশলী ফখরুল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত