ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ সোমবার ময়মনসিংহ মহানগরীর টাউন হল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহে ৪১ জন শহীদ হয়েছেন। তাঁদের কেউ গার্মেন্টস শ্রমিক, কেউ দিনমজুর। তাঁদের জীবনের বিনিময়ে নতুন দেশ পেয়েছি। এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন নেই, ব্রহ্মপুত্র নদকে মেরে ফেলা হয়েছে, বিগত সরকার শুধু মানুষের ক্ষতি করেনি, নদকেও ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি, ময়মনসিংহবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সেই বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করব। ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করব। এ নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না।’
নেতা–কর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি দুর্নীতি ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।
মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এনসিপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমাদের লাখ লাখ কর্মী ও নেতার দরকার নেই। যারা তেলবাজি ও সেলফিবাজি করছেন, তাঁদের দরকার নেই। আগে ঘর ঠিক করতে হবে।’
হাসনাত বলেন, ‘প্রত্যেক ইউনিয়নে গিয়ে মানুষের কাছে এনসিপির প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। উৎসুক জনতা দিয়ে আমাদের লাভ নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ময়মনসিংহে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন। প্রশাসনের লোকজন আহত ও শহীদ পরিবারের কোনো কথা শুনছেন না। তাঁরা চাঁদাবাজ ও তেলবাজদের নিয়ে ব্যস্ত।’
তিনি বলেন, ‘কোনো আহত ভাইকে যদি আপনার চেয়ারের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তাহলে আপনার চেয়ার থাকবে না। মনে রাখবেন, আপনারা শহীদের রক্তের ওপরে বসে আছেন। আমি শিক্ষার্থীদের বলব, যারা শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করবে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’
পথযাত্রায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন জুলাই পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটি ময়মনসিংহের প্রধান বাস্তবায়নকারী মো. ইকরাম এলাহী খান, যুগ্ম বাস্তবায়নকারী অ্যাডভোকেট এ টি এম মাহবুব আলম, মাহমুদুল হাসান সোহেল মোজাম্মেল, সদস্য ফুয়াদ খানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
এর আগে ময়মনসিংহ পৌঁছে এনসিপির নেতারা জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নগরীর শহীদ সাগর চত্বর থেকে পদযাত্রা বের করেন নেতা–কর্মীরা।
এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে নগরজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ সোমবার ময়মনসিংহ মহানগরীর টাউন হল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহে ৪১ জন শহীদ হয়েছেন। তাঁদের কেউ গার্মেন্টস শ্রমিক, কেউ দিনমজুর। তাঁদের জীবনের বিনিময়ে নতুন দেশ পেয়েছি। এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন নেই, ব্রহ্মপুত্র নদকে মেরে ফেলা হয়েছে, বিগত সরকার শুধু মানুষের ক্ষতি করেনি, নদকেও ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি, ময়মনসিংহবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সেই বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করব। ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করব। এ নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না।’
নেতা–কর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি দুর্নীতি ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।
মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এনসিপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমাদের লাখ লাখ কর্মী ও নেতার দরকার নেই। যারা তেলবাজি ও সেলফিবাজি করছেন, তাঁদের দরকার নেই। আগে ঘর ঠিক করতে হবে।’
হাসনাত বলেন, ‘প্রত্যেক ইউনিয়নে গিয়ে মানুষের কাছে এনসিপির প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। উৎসুক জনতা দিয়ে আমাদের লাভ নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ময়মনসিংহে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন। প্রশাসনের লোকজন আহত ও শহীদ পরিবারের কোনো কথা শুনছেন না। তাঁরা চাঁদাবাজ ও তেলবাজদের নিয়ে ব্যস্ত।’
তিনি বলেন, ‘কোনো আহত ভাইকে যদি আপনার চেয়ারের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তাহলে আপনার চেয়ার থাকবে না। মনে রাখবেন, আপনারা শহীদের রক্তের ওপরে বসে আছেন। আমি শিক্ষার্থীদের বলব, যারা শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করবে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’
পথযাত্রায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন জুলাই পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটি ময়মনসিংহের প্রধান বাস্তবায়নকারী মো. ইকরাম এলাহী খান, যুগ্ম বাস্তবায়নকারী অ্যাডভোকেট এ টি এম মাহবুব আলম, মাহমুদুল হাসান সোহেল মোজাম্মেল, সদস্য ফুয়াদ খানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
এর আগে ময়মনসিংহ পৌঁছে এনসিপির নেতারা জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নগরীর শহীদ সাগর চত্বর থেকে পদযাত্রা বের করেন নেতা–কর্মীরা।
এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে নগরজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দেখছি, নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই সিদ্ধান্তগুলো আসলে চাপিয়ে দেওয়া।’
২৬ মিনিট আগেরাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে বিধি-বহির্ভূত আচরণের অভিযোগ এনেছে। সম্প্রতি ইসি সচিবালয় থেকে পাঠানো চিঠির কঠোর ভাষায় জবাব দিয়েছে দলটি।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
২ ঘণ্টা আগে‘জুলাই যোদ্ধা’দের নিয়ে মন্তব্যের জেরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ বলার দায় তাঁর ওপর
৫ ঘণ্টা আগে