Ajker Patrika

মা দিবসে খালেদা জিয়ার অবদান তুলে ধরলেন তারেক রহমান

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ১১ মে ২০২৫, ২১: ০৩
মায়ের সঙ্গে তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
মায়ের সঙ্গে তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ বিশ্বের সকল মাকে শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ মা দিবস উপলক্ষে তারেক রহমান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক বাণীতে বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মাকে। আমি কামনা করি তাঁদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, ত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম, জনগণের প্রতি মমতা ও অকৃত্রিম ভালোবাসায়। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারীশিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বিএনপির শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে, তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আজকের এই দিনে নারীশিক্ষার আলোকবর্তিকা “গণতন্ত্রের মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’

মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শনজনক আন্তর্জাতিক দিবস উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই দিবস সমাজ ও পরিবারে মায়ের গুরুত্ব ও অবদানের জন্য উদ্‌যাপন করা হয়। এই দিবসে বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান করতে দেখা যায়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে, তবু স্বতন্ত্রভাবে ভালোবাসা জানাতেই আজকের এই দিন।’

তারেক রহমান বলেন, ‘পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহীয়সী মায়ের শিক্ষাতেই শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। মা দিনের সব অবসাদ, ক্লান্তি ঘুচিয়ে সব সংগ্রামের মাঝেও সন্তানকে আগলে রাখেন। সুমাতার সাহচর্যে সন্তানের উৎকর্ষ ও প্রকৃত মানবসত্তার জাগরণ ঘটে, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। বহু দেশ ও সংস্কৃতি মা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করে এক অসাধারণ মাত্রা দিয়েছে। মাতৃত্বের প্রতি উৎসর্গিত এক অনন্য দিবস—মা দিবস। পৃথিবীর মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা।’

তারেক রহমান বলেন, ‘শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনার প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা—সকল মা যেন তাঁর সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। সন্তানকে নির্ভুল ও সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন কেবল সুমাতা, যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়।’

উল্লেখ্য, পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর শব্দের নাম ‘মা’। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সারা বিশ্বে দিনটি ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। সেই হিসেবে আজ ‘বিশ্ব মা দিবস’। দিবসটি এমন একটি বিশেষ দিন, যেদিন সব মায়ের এবং যাঁরা মায়েদের মতো, তাঁদেরকে পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত সর্বস্তরে সম্মান জানানো হয়।

দিবসটি উপলক্ষে আমাদের দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

‘বিশ্ব মা দিবসের’ ইতিহাস অনেক পুরোনো। মধ্যযুগে এক চর্চা চালু হয়েছিল, যাঁরা কাজের জন্য যেখানে বড় হয়েছেন, সেখান থেকে চলে গিয়েছেন, তাঁরা আবার তাঁদের বাড়িতে বা মায়ের কাছে ও ছোটবেলার চার্চে ফেরত আসবেন। সেটা হবে খ্রিস্টধর্মের উৎসব লেন্টের চতুর্থ রোববারে।

আধুনিক যুগে, মা দিবসের উৎপত্তি যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সেখানে প্রতিবছরের মে মাসের দ্বিতীয় রোববার উদ্‌যাপিত হয় দিবসটি। যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের এক নারী মায়েদের অনুপ্রাণিত করার মধ্য দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসচেতন করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে তাঁর মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছরই তিনি তাঁর সান ডে স্কুলে প্রথম দিনটিকে ‘মা দিবস’ হিসেবে উদ্‌যাপন করেন।

১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা।

এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়াম জার্মানিসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

বাহাত্তরের সংবিধান, জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে আইন উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তাকে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত