নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের নির্বাচনব্যবস্থা পক্ষাঘাতগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনাররা হলেন বিকলাঙ্গ, তাঁদের কাজ করার শক্তি নেই।’
আজ বুধবার মোহাম্মদপুর থানা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সরকার যাকে চাইবে তিনি-ই নির্বাচিত হবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) একটি বক্তব্যের উদ্ধৃত করে জি এম কাদের বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সদিচ্ছা দরকার। গাইবান্ধায় কারচুপির জন্য নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তদন্তে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযুক্তদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সরকারি তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হলো, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই নির্বাচন কমিশনের। সরকারদলীয় প্রার্থীদের জন্য যারা কারচুপি করেছে, তাদের তো শাস্তি দেবে না সরকার।’
জাপার চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯১ সালে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করেছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তখন কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়নি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান তাদের দাবি মেনে নিয়েছিলেন। বিএনপি ১৯৯৬ সালে আবার সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চেষ্টা করেছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে যায়নি। আমরা আন্দোলন করেছিলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি আন্দোলন করেছিল। আবার ওয়ান ইলেভেনের আগে ইচ্ছেমতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তৈরি করে বিএনপি নির্বাচন করতে চেয়েছিল। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম।’
২০০৮ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনও সংবিধান মেনে হয়নি। এখন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের পক্ষে। আসলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করে। ক্ষমতায় গেলেই সংবিধানের কথা বলে। আর ক্ষমতার বাইরে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলে। আমরা সরকারের আওতার বাইরে নির্বাচন চাই। আমরা একটি ভালো নির্বাচন চাই। প্রয়োজনে সব দল মিলেই সিদ্ধান্ত নেব। নির্বাচনে আমরা জনগণের রায় দেখতে চাই। এতে জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।’
১৯৯১ সালের পর থেকে জাতীয় সংসদের কোনো ক্ষমতা নেই–এমন দাবি করে জি এম কাদের আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ ধারার কারণে সরকার যা বলবে তা-ই হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দলই এই ধারার সুবিধাভোগী। বর্তমান সংসদে গান, কবিতা আবৃত্তি এবং নাটকের অংশ চর্চা চলে। সংসদে আলাপ-আলোচনায় ব্যক্তিপূজা চলে, স্মৃতিচারণা চলে। এই সংসদ কী বিনোদন কেন্দ্র? নাকি নাট্যশালা? সংসদে কোনো জবাবদিহি নেই।’
সম্মেলনে মোহাম্মদপুর থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি পদে এ এন এম রফিকুল আলমকে সভাপতি এবং এস এম হাসেমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াসহ আরও অনেকে অংশ নেন।
দেশের নির্বাচনব্যবস্থা পক্ষাঘাতগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনাররা হলেন বিকলাঙ্গ, তাঁদের কাজ করার শক্তি নেই।’
আজ বুধবার মোহাম্মদপুর থানা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সরকার যাকে চাইবে তিনি-ই নির্বাচিত হবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) একটি বক্তব্যের উদ্ধৃত করে জি এম কাদের বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সদিচ্ছা দরকার। গাইবান্ধায় কারচুপির জন্য নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তদন্তে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযুক্তদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সরকারি তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হলো, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই নির্বাচন কমিশনের। সরকারদলীয় প্রার্থীদের জন্য যারা কারচুপি করেছে, তাদের তো শাস্তি দেবে না সরকার।’
জাপার চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯১ সালে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করেছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তখন কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়নি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান তাদের দাবি মেনে নিয়েছিলেন। বিএনপি ১৯৯৬ সালে আবার সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চেষ্টা করেছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে যায়নি। আমরা আন্দোলন করেছিলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি আন্দোলন করেছিল। আবার ওয়ান ইলেভেনের আগে ইচ্ছেমতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তৈরি করে বিএনপি নির্বাচন করতে চেয়েছিল। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম।’
২০০৮ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনও সংবিধান মেনে হয়নি। এখন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের পক্ষে। আসলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করে। ক্ষমতায় গেলেই সংবিধানের কথা বলে। আর ক্ষমতার বাইরে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলে। আমরা সরকারের আওতার বাইরে নির্বাচন চাই। আমরা একটি ভালো নির্বাচন চাই। প্রয়োজনে সব দল মিলেই সিদ্ধান্ত নেব। নির্বাচনে আমরা জনগণের রায় দেখতে চাই। এতে জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।’
১৯৯১ সালের পর থেকে জাতীয় সংসদের কোনো ক্ষমতা নেই–এমন দাবি করে জি এম কাদের আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ ধারার কারণে সরকার যা বলবে তা-ই হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দলই এই ধারার সুবিধাভোগী। বর্তমান সংসদে গান, কবিতা আবৃত্তি এবং নাটকের অংশ চর্চা চলে। সংসদে আলাপ-আলোচনায় ব্যক্তিপূজা চলে, স্মৃতিচারণা চলে। এই সংসদ কী বিনোদন কেন্দ্র? নাকি নাট্যশালা? সংসদে কোনো জবাবদিহি নেই।’
সম্মেলনে মোহাম্মদপুর থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি পদে এ এন এম রফিকুল আলমকে সভাপতি এবং এস এম হাসেমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াসহ আরও অনেকে অংশ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে আলোচনায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা দ্রুত নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যাতে বলতে পারে, তারা সরকারের কাছ থেকে...
৫ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির মিছিলে হামলা, মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। কালিয়াকৈর পৌরসভার চন্দ্রা পলানপাড়ার আহত রিপন মিয়া বাদী হয়ে আজ সোমবার সকালে মামলাটি করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে।
৯ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে আলোচনায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা দ্রুত নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যাতে বলতে পারে, তারা সরকারের কাছ থেকে একটা
১০ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, লন্ডন বৈঠকে কারও দায়মুক্তির বিষয়ে কোনো আলোচনার প্রসঙ্গ ছিল না। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগে