নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিজিবি সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে বিএসএফ কর্তৃক নির্মমভাবে গুলি করে হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘের তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।
আজ শনিবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘের তদন্ত দাবি করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে। নিন্দার পাশাপাশি তারা নিহত ব্যক্তির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সবচেয়ে সহিংস ও রক্তস্নাত। বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে গত ৭ বছরে ২০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে গুলি করে হত্যার পর বিএসএফের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেটিকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, মোহাম্মদ রইশুদ্দীন যে বিজিবি সদস্য, সেটি নাকি বুঝতেই পারেনি বিএসএফ। কারণ তিনি লুঙ্গি ও টিশার্ট পরে ছিলেন এবং পাচারকারী দলের সঙ্গে তাঁকে ভারতের সীমানার ভেতরে দেখা গিয়েছিল। একজন বিজিবি সদস্য কীভাবে লুঙ্গি আর টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে মিশে থাকতে পারেন, তা বোধগম্য নয়।
বিএসএফের ব্যাখ্যাকে বানোয়াট উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের বিগ ব্রাদারসুলভ গরিমা থেকে উৎসাহিত হয়ে বিএসএফ তাঁদের হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। একজন বিজিবি সদস্য কখনোই লুঙ্গি ও টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে থাকতে পারেন না। বিএসএফের মন্তব্যের সঙ্গে ভারতের মানবাধিকার সংগঠন ‘মাসুম’ও দ্বিমত পোষণ করেছে। বিএসএফের এহেন আচরণের ইতিহাস যুগপৎ হিংসাশ্রয়ী ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। বরাবরই বিএসএফের কৃত অপরাধকর্ম এবং বয়ানের মধ্যে দুস্তর ব্যবধান থাকে। তাদের আচরণে মনে হয় তারা আদিম ও মধ্যযুগ পেরোতে পারেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে হত্যা করার পর তাদের মনগড়া বয়ানকে বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মর্মস্পর্শী হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশজুড়েই ক্ষোভ ও বিক্ষোভে আলোড়িত। জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী নীতির কারণেই সীমান্তে রক্তপাত থামছে না। বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাকে ব্লাড স্পোর্ট বা রক্তক্ষয়ী খেলায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে নতজানু রাখার এটি একটি আধিপত্যবাদী বার্তা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এত দিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। আর এখন সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। অন্য দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। এটি গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, শেখ হাসিনার ক্ষমতা লোভের ফলশ্রুতিতে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশকে আজ তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানো হয়েছে। দখলদার আওয়ামী সরকার আজ দেশবিরোধী ঘৃণ্য চক্রান্তের ক্রীড়নক। সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিজিবিকেও এখন বেঘোরে প্রাণ দিতে হচ্ছে।
শেখ হাসিনা দিল্লির সঙ্গে অধীনতামূলক চিরস্থায়ী রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ফলশ্রুতি হচ্ছে, বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনায় নিশ্চুপ থাকা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে হত্যার ঘটনার পরদিন পর্যন্ত জানতেই পারেননি বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাবিলাসী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নাগরিকদের জীবনের চেয়ে দখলদার আওয়ামী মন্ত্রীদের ক্ষমতা খুব জরুরি। দেশবাসীকে পরাধীন রেখে ক্ষমতা ভোগ করাই আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শ। স্বভূমির সীমানায় কাউকে শান্তিতে রাখেনি আওয়ামী সরকার। এখন তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক ও সীমান্তরক্ষীদের প্রাণ সংহার করা হচ্ছে।
ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও তাদের নীতিনির্ধারকদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গভীরতা অর্জিত হয়নি। সে জন্যই বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনি হত্যাকাণ্ডে তারা কোনো দায়বোধ করে না। ফেলানীসহ সব হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক মহল এমনকি ভারতের বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবাদ-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এর কোনো বিচার বা প্রতিকার করেনি। কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর হৃদয়বিদারক লাশের দৃশ্য দেখে বাংলাদেশের মানুষের মনে এখনো ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।
আরও পড়ুন:
বিজিবি সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে বিএসএফ কর্তৃক নির্মমভাবে গুলি করে হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘের তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।
আজ শনিবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘের তদন্ত দাবি করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে। নিন্দার পাশাপাশি তারা নিহত ব্যক্তির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সবচেয়ে সহিংস ও রক্তস্নাত। বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে গত ৭ বছরে ২০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে গুলি করে হত্যার পর বিএসএফের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেটিকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, মোহাম্মদ রইশুদ্দীন যে বিজিবি সদস্য, সেটি নাকি বুঝতেই পারেনি বিএসএফ। কারণ তিনি লুঙ্গি ও টিশার্ট পরে ছিলেন এবং পাচারকারী দলের সঙ্গে তাঁকে ভারতের সীমানার ভেতরে দেখা গিয়েছিল। একজন বিজিবি সদস্য কীভাবে লুঙ্গি আর টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে মিশে থাকতে পারেন, তা বোধগম্য নয়।
বিএসএফের ব্যাখ্যাকে বানোয়াট উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের বিগ ব্রাদারসুলভ গরিমা থেকে উৎসাহিত হয়ে বিএসএফ তাঁদের হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। একজন বিজিবি সদস্য কখনোই লুঙ্গি ও টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে থাকতে পারেন না। বিএসএফের মন্তব্যের সঙ্গে ভারতের মানবাধিকার সংগঠন ‘মাসুম’ও দ্বিমত পোষণ করেছে। বিএসএফের এহেন আচরণের ইতিহাস যুগপৎ হিংসাশ্রয়ী ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। বরাবরই বিএসএফের কৃত অপরাধকর্ম এবং বয়ানের মধ্যে দুস্তর ব্যবধান থাকে। তাদের আচরণে মনে হয় তারা আদিম ও মধ্যযুগ পেরোতে পারেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে হত্যা করার পর তাদের মনগড়া বয়ানকে বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মর্মস্পর্শী হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশজুড়েই ক্ষোভ ও বিক্ষোভে আলোড়িত। জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী নীতির কারণেই সীমান্তে রক্তপাত থামছে না। বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাকে ব্লাড স্পোর্ট বা রক্তক্ষয়ী খেলায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে নতজানু রাখার এটি একটি আধিপত্যবাদী বার্তা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এত দিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। আর এখন সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। অন্য দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। এটি গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, শেখ হাসিনার ক্ষমতা লোভের ফলশ্রুতিতে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশকে আজ তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানো হয়েছে। দখলদার আওয়ামী সরকার আজ দেশবিরোধী ঘৃণ্য চক্রান্তের ক্রীড়নক। সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিজিবিকেও এখন বেঘোরে প্রাণ দিতে হচ্ছে।
শেখ হাসিনা দিল্লির সঙ্গে অধীনতামূলক চিরস্থায়ী রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ফলশ্রুতি হচ্ছে, বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনায় নিশ্চুপ থাকা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে হত্যার ঘটনার পরদিন পর্যন্ত জানতেই পারেননি বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাবিলাসী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নাগরিকদের জীবনের চেয়ে দখলদার আওয়ামী মন্ত্রীদের ক্ষমতা খুব জরুরি। দেশবাসীকে পরাধীন রেখে ক্ষমতা ভোগ করাই আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শ। স্বভূমির সীমানায় কাউকে শান্তিতে রাখেনি আওয়ামী সরকার। এখন তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক ও সীমান্তরক্ষীদের প্রাণ সংহার করা হচ্ছে।
ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও তাদের নীতিনির্ধারকদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গভীরতা অর্জিত হয়নি। সে জন্যই বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনি হত্যাকাণ্ডে তারা কোনো দায়বোধ করে না। ফেলানীসহ সব হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক মহল এমনকি ভারতের বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবাদ-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এর কোনো বিচার বা প্রতিকার করেনি। কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর হৃদয়বিদারক লাশের দৃশ্য দেখে বাংলাদেশের মানুষের মনে এখনো ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।
আরও পড়ুন:
দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে আর যেন কোনো অস্পষ্টতা না থাকে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দলের তরফ থেকে আমরা সেটা উনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) বলে এসেছি। তিনি এটুকু বলেছেন, সেই ব্যবস্থাটা নেবেন। সবচেয়ে
২৩ মিনিট আগেসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রক্রিয়া সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মতো অন্যান্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়েও আমাদের অবস্থান পরিষ্কার—এসব বিধানকে সংবিধানে সন্নিবেশ করতে...
৩ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠনের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৮তম দিনশেষে এ কথা বলেন তিন
৩ ঘণ্টা আগেসালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা অতীতে বলে এসেছি যে, প্রতিটি সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জন্য সংবিধানে আলাদা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এনে, সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে সেসব প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আচরণবিধি নিশ্চিত করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি সংবিধানে আলাদা করে উল্লেখ করা...
৩ ঘণ্টা আগে