নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বর্তমানে ফ্যাসিস্ট শাসন চলছে উল্লেখ করে দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাসমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বহুমুখী সংকট উদ্ঘাটন ও নিরসনকল্পে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’—শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতারা এমন কথা বলেছেন।
সামগ্রিক সংকট নিরসনে নতুন করে ভাবতে হবে জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘সবকিছুকে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। মতাদর্শিক অবস্থান থেকে ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে রাজনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আমাদের কর্মকাণ্ড, কৌশল, নীতি ও পন্থা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘এই অবস্থায়ই সমাধান হতে পারে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত মানবতার মুক্তির পথ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রই সকল শ্রেণি পেশা ও ধর্মের মানুষের রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। সময়ের একান্ত প্রয়োজন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।’
বৈঠকে ‘দেশের গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত নয়, সমাহিত’—উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী তারা আমাদের সঙ্গে আসবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনের ঐক্য হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণের সামনে আমরা ঐক্যটা দৃশ্যমান করতে পারছি না। জনগণ আমাদের আহ্বানে সাড়াও দিচ্ছে। সরকারকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দেশের বহুমুখী সংকটের কেন্দ্রে রাজনৈতিক সংকট। আর রাজনৈতিক সংকটের কেন্দ্রে নির্বাচন নিয়ে সংকট।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আজ শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের যে মেকানিজম তার বিরুদ্ধেও আমরা লড়াই করছি। মিয়ানমার সীমান্তেও লড়াই চলছে। সরকার আজ একই সঙ্গে চীন ও ভারতের ফ্লার্টিং করছে। তাই বাংলাদেশের এই অবস্থা।’
এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশকে একটা কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা আমাদের দায়িত্ব।’ এলডিপির সহসভাপতি নেয়ামুল বশির বলেন, ‘আমরা আজ দিশেহারা, আমাদের কাছে গণতন্ত্র, সুশাসন, ন্যায়বিচার কিছুই নেই। সব হারিয়ে আমরা আজ নিঃস্ব।’
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের যে রাষ্ট্র, বিচার ব্যবস্থা, সংবিধান আছে সেখানে ধর্ষণ, টাকা পাচারকে কোথাও বৈধতা দেয়নি। বর্তমান সংবিধান দিয়েই আমরা একটা কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন আজ বাংলাদেশকে অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরেছে। অনেকে মনে করে, ভারতের দাদাবাবুদের তেল না দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, খেলাফত মজলিশ মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাকিব মুহাম্মাদ নাসরুল্লাহ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।

দেশে বর্তমানে ফ্যাসিস্ট শাসন চলছে উল্লেখ করে দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাসমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বহুমুখী সংকট উদ্ঘাটন ও নিরসনকল্পে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’—শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতারা এমন কথা বলেছেন।
সামগ্রিক সংকট নিরসনে নতুন করে ভাবতে হবে জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘সবকিছুকে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। মতাদর্শিক অবস্থান থেকে ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে রাজনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আমাদের কর্মকাণ্ড, কৌশল, নীতি ও পন্থা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘এই অবস্থায়ই সমাধান হতে পারে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত মানবতার মুক্তির পথ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রই সকল শ্রেণি পেশা ও ধর্মের মানুষের রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। সময়ের একান্ত প্রয়োজন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।’
বৈঠকে ‘দেশের গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত নয়, সমাহিত’—উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী তারা আমাদের সঙ্গে আসবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনের ঐক্য হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণের সামনে আমরা ঐক্যটা দৃশ্যমান করতে পারছি না। জনগণ আমাদের আহ্বানে সাড়াও দিচ্ছে। সরকারকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দেশের বহুমুখী সংকটের কেন্দ্রে রাজনৈতিক সংকট। আর রাজনৈতিক সংকটের কেন্দ্রে নির্বাচন নিয়ে সংকট।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আজ শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের যে মেকানিজম তার বিরুদ্ধেও আমরা লড়াই করছি। মিয়ানমার সীমান্তেও লড়াই চলছে। সরকার আজ একই সঙ্গে চীন ও ভারতের ফ্লার্টিং করছে। তাই বাংলাদেশের এই অবস্থা।’
এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশকে একটা কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা আমাদের দায়িত্ব।’ এলডিপির সহসভাপতি নেয়ামুল বশির বলেন, ‘আমরা আজ দিশেহারা, আমাদের কাছে গণতন্ত্র, সুশাসন, ন্যায়বিচার কিছুই নেই। সব হারিয়ে আমরা আজ নিঃস্ব।’
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের যে রাষ্ট্র, বিচার ব্যবস্থা, সংবিধান আছে সেখানে ধর্ষণ, টাকা পাচারকে কোথাও বৈধতা দেয়নি। বর্তমান সংবিধান দিয়েই আমরা একটা কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন আজ বাংলাদেশকে অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরেছে। অনেকে মনে করে, ভারতের দাদাবাবুদের তেল না দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, খেলাফত মজলিশ মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাকিব মুহাম্মাদ নাসরুল্লাহ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।

বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ মিনিট আগে
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
৩ ঘণ্টা আগে
অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
সেমিনারে মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপির ভেতরে-ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার একটা খায়েশ আছে মনে হচ্ছে, যে কারণে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের যে রাস্তা আমরা বন্ধ করতে চাইছিলাম, এগুলো তারা বন্ধ করতে দিচ্ছে না।’
আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘যখন এক ব্যক্তির হাতে অসীম ক্ষমতা থাকে, তখন ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়। আমরা তো সেটাই চেঞ্জ করে দিয়েছি, এ দেশের মানুষ তো সেটাই চায়। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একজন হইতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি একাধারে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হইতে পারবে না। এগুলো যদি অ্যামেন্ডমেন্ট হয়, তাহলে স্বৈরাচারী চরিত্র এবং স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগটা থাকে না। বিএনপি এই দুটোতেই নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিল।’
কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয় মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতরাং, সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।’
গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাহের বলেন, ‘হাসিনা শহীদ-আহতদের জন্য ব্যথিত না হয়ে মেট্রোরেল ভাঙচুরের জন্য কান্নার নাটক করেছে। একইভাবে বিএনপির কাছে ২ হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি।’
তাহের যোগ করেন, তাঁরা দাবি করছে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে তিন হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। অথচ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ব্যতীত দেশ বারবার পথ হারাবে। শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অঙ্ক কখনো দামি হতে পারে না। বিএনপিকে শহীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরের গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আপনি অন্যায়ের কাছে অতীতেও মাথানত করেননি। আশা করছি, এখনো কারও কাছে মাথানত করবেন না। আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সুতরাং, আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস জিরো, আর বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
সেমিনারে মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপির ভেতরে-ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার একটা খায়েশ আছে মনে হচ্ছে, যে কারণে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের যে রাস্তা আমরা বন্ধ করতে চাইছিলাম, এগুলো তারা বন্ধ করতে দিচ্ছে না।’
আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘যখন এক ব্যক্তির হাতে অসীম ক্ষমতা থাকে, তখন ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়। আমরা তো সেটাই চেঞ্জ করে দিয়েছি, এ দেশের মানুষ তো সেটাই চায়। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একজন হইতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি একাধারে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হইতে পারবে না। এগুলো যদি অ্যামেন্ডমেন্ট হয়, তাহলে স্বৈরাচারী চরিত্র এবং স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগটা থাকে না। বিএনপি এই দুটোতেই নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিল।’
কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয় মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতরাং, সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।’
গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাহের বলেন, ‘হাসিনা শহীদ-আহতদের জন্য ব্যথিত না হয়ে মেট্রোরেল ভাঙচুরের জন্য কান্নার নাটক করেছে। একইভাবে বিএনপির কাছে ২ হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি।’
তাহের যোগ করেন, তাঁরা দাবি করছে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে তিন হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। অথচ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ব্যতীত দেশ বারবার পথ হারাবে। শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অঙ্ক কখনো দামি হতে পারে না। বিএনপিকে শহীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরের গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আপনি অন্যায়ের কাছে অতীতেও মাথানত করেননি। আশা করছি, এখনো কারও কাছে মাথানত করবেন না। আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সুতরাং, আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস জিরো, আর বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘এই অবস্থায়ই সমাধান হতে পারে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত মানবতার মুক্তির পথ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রই সকল শ্রেণি পেশা ও ধর্মের মানুষের রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। সম
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
৩ ঘণ্টা আগে
অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এক-দুইটা রাজনৈতিক দলের মন জুগিয়ে চললে জুলাই শহীদ এবং আহতদের কাছে আজীবন ভিলেন হিসেবে অভিশাপ পেতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘তিন দলের চাপে পড়ে বারবার সিদ্ধান্ত বদল করছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, জনগণের জন্য যা ভালো সেটা করতে হবে; কোনো দলের স্বার্থ হাসিল নয়।
আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনী ঐক্যের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশ এই সভার আয়োজন করে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
সভায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, অনেক মতভিন্নতা থাকলেও দেশের প্রশ্নে এক হয়ে নতুন রাজনীতির জন্য কাজ করতে হবে। এখনই রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। হাসিনা-ওবায়দুল কাদেররা সাংবিধানিক পদ্ধতি এমনভাবে সাজিয়েছে, তার মধ্যেই ফ্যাসিস্ট হওয়ার উপাদান নিহিত আছে। অতীতে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে পারার কারণে সফলতা এসেছে। এবার আন্দোলনের নেতৃত্বকে কিছু বুড়ো মানুষ ভুল পথে পরিচালিত করেছে এবং টাকাওয়ালাদের কাছে নিয়ে গেছে। ফলে রাষ্ট্রের সংস্কার আজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড. মুশতাক হোসেন খান বলেন, আস্থার অভাবে ঝগড়া করে এ দেশে রাজনৈতিক দলগুলো সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ আস্থাশীল হলে সবাই লাভবান হতে পারত। এ দেশের মানুষের সহজে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রবণতার কারণে আওয়ামী লীগ বেঁচে গেছে। স্বার্থবাদী দলগুলো ‘ভাই ভাই রাজনীতি’ করে বলেই স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্ট বারবার আসে। অপরাধ করলে কোনো না কোনোভাবে শাস্তির ব্যবস্থা থাকতেই হবে।
তিনি বলেন, ‘গোটা দুনিয়ায় ভারত পরাস্ত শক্তি হলেও বাংলাদেশে সে প্রভাব বিস্তার করে। কারণ, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর চরম আস্থাহীনতা আছে এবং প্রভাবশালীদের অনেকের হাঁড়ির খবর ভারতের কাছে আছে। তা ছাড়া নিজেদের সুবিধার জন্য অনেকে ভারতপন্থী হচ্ছে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এক-দুইটা রাজনৈতিক দলের মন জুগিয়ে চললে জুলাই শহীদ এবং আহতদের কাছে আজীবন ভিলেন হিসেবে অভিশাপ পেতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘তিন দলের চাপে পড়ে বারবার সিদ্ধান্ত বদল করছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, জনগণের জন্য যা ভালো সেটা করতে হবে; কোনো দলের স্বার্থ হাসিল নয়।
আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনী ঐক্যের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশ এই সভার আয়োজন করে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
সভায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, অনেক মতভিন্নতা থাকলেও দেশের প্রশ্নে এক হয়ে নতুন রাজনীতির জন্য কাজ করতে হবে। এখনই রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। হাসিনা-ওবায়দুল কাদেররা সাংবিধানিক পদ্ধতি এমনভাবে সাজিয়েছে, তার মধ্যেই ফ্যাসিস্ট হওয়ার উপাদান নিহিত আছে। অতীতে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে পারার কারণে সফলতা এসেছে। এবার আন্দোলনের নেতৃত্বকে কিছু বুড়ো মানুষ ভুল পথে পরিচালিত করেছে এবং টাকাওয়ালাদের কাছে নিয়ে গেছে। ফলে রাষ্ট্রের সংস্কার আজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড. মুশতাক হোসেন খান বলেন, আস্থার অভাবে ঝগড়া করে এ দেশে রাজনৈতিক দলগুলো সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ আস্থাশীল হলে সবাই লাভবান হতে পারত। এ দেশের মানুষের সহজে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রবণতার কারণে আওয়ামী লীগ বেঁচে গেছে। স্বার্থবাদী দলগুলো ‘ভাই ভাই রাজনীতি’ করে বলেই স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্ট বারবার আসে। অপরাধ করলে কোনো না কোনোভাবে শাস্তির ব্যবস্থা থাকতেই হবে।
তিনি বলেন, ‘গোটা দুনিয়ায় ভারত পরাস্ত শক্তি হলেও বাংলাদেশে সে প্রভাব বিস্তার করে। কারণ, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর চরম আস্থাহীনতা আছে এবং প্রভাবশালীদের অনেকের হাঁড়ির খবর ভারতের কাছে আছে। তা ছাড়া নিজেদের সুবিধার জন্য অনেকে ভারতপন্থী হচ্ছে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘এই অবস্থায়ই সমাধান হতে পারে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত মানবতার মুক্তির পথ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রই সকল শ্রেণি পেশা ও ধর্মের মানুষের রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। সম
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ মিনিট আগে
অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপির প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন—আপনারা কি ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নেবেন? জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা শাপলা কলি নেব। তবে শাপলা কেন দেওয়া হবে না, সে ব্যাখ্যা আমরা এখনো পাইনি।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি প্রতীকের জন্য ইসিতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপির প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন—আপনারা কি ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নেবেন? জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা শাপলা কলি নেব। তবে শাপলা কেন দেওয়া হবে না, সে ব্যাখ্যা আমরা এখনো পাইনি।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি প্রতীকের জন্য ইসিতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘এই অবস্থায়ই সমাধান হতে পারে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত মানবতার মুক্তির পথ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রই সকল শ্রেণি পেশা ও ধর্মের মানুষের রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। সম
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ মিনিট আগে
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
দলটির মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন। নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস প্রদান করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।’
চিঠিতে আখতার উল্লেখ করেন, ‘আইন সংশোধনের মতো সিদ্ধান্ত কোনো একক ব্যক্তির নয়। এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক, পরামর্শনির্ভর (consultative) ও জনস্বার্থমূলক প্রক্রিয়া। অতএব সরকারের পক্ষে এমন কোনো আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তা আপনার প্রশাসনের প্রতি জন-আস্থাকে দুর্বল করবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। একই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আপনি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের বিপরীতে যে অবস্থান নিয়েছেন, তা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি।’
তিনটি ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়—
প্রথমত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হলো দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা ও নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত অব্যাহতি পায়। এতে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়। একদিকে দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করে, অন্যদিকে নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করে। এটি আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাকে অকার্যকর করে তোলে।
দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে জনগণ ভোট দেন, সেই দলই নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটার জানেন না তিনি আসলে কাকে ভোট দিচ্ছেন। ভোটার যে রাজনৈতিক দর্শন, নীতি বা নেতৃত্বকে সমর্থন জানাতে চান, তা অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এর ফলে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়। পরে এই ছোট দলগুলো সংসদে বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত নিয়ে হাজির হয়ে বাস্তবে সেই বড় দলেরই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করে। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গঠনের প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণে আর্টিফিশিয়াল বহুমতের জন্ম হয়।
অতএব, আমরা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে একমত যে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন—যেকোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। কোনো যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিকট নিবন্ধন করতে হবে।
এমন সংশোধন রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করবে না, বরং প্রকৃত গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করবে। কারণ, এতে প্রতিটি দলকে নিজের নাম, নীতি ও নেতৃত্বের দায় নিজেকেই নিতে হবে। এটি ভোটারের অধিকার, রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম শর্ত।
উল্লিখিত বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে দলগুলোর প্রার্থীদের ইচ্ছেমতো প্রতীক নেওয়ার সুযোগ বহাল চেয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়া নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশের জোটের প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার বিধান সংশোধনের দাবি জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা তাঁদের এই সংশোধনের দাবি মেনেছেন কি না—জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আইন উপদেষ্টা বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে তুলবেন এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলবেন।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।
দলটির মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন। নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস প্রদান করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।’
চিঠিতে আখতার উল্লেখ করেন, ‘আইন সংশোধনের মতো সিদ্ধান্ত কোনো একক ব্যক্তির নয়। এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক, পরামর্শনির্ভর (consultative) ও জনস্বার্থমূলক প্রক্রিয়া। অতএব সরকারের পক্ষে এমন কোনো আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তা আপনার প্রশাসনের প্রতি জন-আস্থাকে দুর্বল করবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। একই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আপনি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের বিপরীতে যে অবস্থান নিয়েছেন, তা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি।’
তিনটি ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়—
প্রথমত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হলো দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা ও নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত অব্যাহতি পায়। এতে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়। একদিকে দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করে, অন্যদিকে নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করে। এটি আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাকে অকার্যকর করে তোলে।
দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে জনগণ ভোট দেন, সেই দলই নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটার জানেন না তিনি আসলে কাকে ভোট দিচ্ছেন। ভোটার যে রাজনৈতিক দর্শন, নীতি বা নেতৃত্বকে সমর্থন জানাতে চান, তা অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এর ফলে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়। পরে এই ছোট দলগুলো সংসদে বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত নিয়ে হাজির হয়ে বাস্তবে সেই বড় দলেরই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করে। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গঠনের প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণে আর্টিফিশিয়াল বহুমতের জন্ম হয়।
অতএব, আমরা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে একমত যে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন—যেকোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। কোনো যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিকট নিবন্ধন করতে হবে।
এমন সংশোধন রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করবে না, বরং প্রকৃত গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করবে। কারণ, এতে প্রতিটি দলকে নিজের নাম, নীতি ও নেতৃত্বের দায় নিজেকেই নিতে হবে। এটি ভোটারের অধিকার, রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম শর্ত।
উল্লিখিত বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে দলগুলোর প্রার্থীদের ইচ্ছেমতো প্রতীক নেওয়ার সুযোগ বহাল চেয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়া নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশের জোটের প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার বিধান সংশোধনের দাবি জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা তাঁদের এই সংশোধনের দাবি মেনেছেন কি না—জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আইন উপদেষ্টা বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে তুলবেন এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলবেন।

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘এই অবস্থায়ই সমাধান হতে পারে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত মানবতার মুক্তির পথ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রই সকল শ্রেণি পেশা ও ধর্মের মানুষের রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। সম
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ মিনিট আগে
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’
৩ ঘণ্টা আগে
অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে