নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ বিরোধীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে তাঁরা। এদিন রাজধানীর শান্তিনগর মোড় থেকে রাজারবাগ পর্যন্ত মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচির রুহুল কবির রিজভী।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার পতনের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরাতে সরকার নিজে নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আরও বলেন, ‘সরকার এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রুখতে শুধু দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার-হামলা-মামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, এখন তারা নিজেরা বাসে আগুন দিয়ে নাশকতা করছে। নাশকতা করে, দেশে ত্রাস করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বিরোধী দলের আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টি ফেরাতে এটি তাদের কূটকৌশল।’
বক্তৃতা শেষ করেই আত্মগোপনে চলে যান রিজভী। এরপর নেতা-কর্মীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপি আজ চতুর্থ দফায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করছে। গত ২৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো তিন দফায় চার দিন হরতাল এবং এগারো দফায় ২৩ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।
সকালে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ থেকে শান্তিনগর মোড়ের দিকে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন।
হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তোপখানা রোড থেকে মিছিল বের করেন সংঠনটির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে মিছিল-সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাকবাকুম করে প্রজ্ঞাপনও জারি করে। মিছিল-সমাবেশ জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার। এই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে জনগণ রাজপথে নেমেছে।’
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নানামুখী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তেজগাঁওয়ে ট্রেনে নাশকতা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সাকি।
হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পুরানা পল্টন, বিজয়নগর ঘুরে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সমাবেশে জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আওয়ামী লীগ আবারও আগুন-সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে।
সরকারের আজ্ঞাবহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাশকতার তদন্ত না করেই বিএনপির ওপর দোষারোপ করে আওয়ামী লীগের আগুন-সন্ত্রাসীদের রক্ষা করে।
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া সভা-সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
১২ ডিসেম্বর এ নির্দেশনার চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠান ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান।
চিঠিতে ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। এতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। এ জন্য ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারেন, এমন কোনো সভা-সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয়।
নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ বিরোধীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে তাঁরা। এদিন রাজধানীর শান্তিনগর মোড় থেকে রাজারবাগ পর্যন্ত মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচির রুহুল কবির রিজভী।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার পতনের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরাতে সরকার নিজে নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আরও বলেন, ‘সরকার এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রুখতে শুধু দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার-হামলা-মামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, এখন তারা নিজেরা বাসে আগুন দিয়ে নাশকতা করছে। নাশকতা করে, দেশে ত্রাস করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বিরোধী দলের আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টি ফেরাতে এটি তাদের কূটকৌশল।’
বক্তৃতা শেষ করেই আত্মগোপনে চলে যান রিজভী। এরপর নেতা-কর্মীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপি আজ চতুর্থ দফায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করছে। গত ২৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো তিন দফায় চার দিন হরতাল এবং এগারো দফায় ২৩ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।
সকালে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ থেকে শান্তিনগর মোড়ের দিকে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন।
হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তোপখানা রোড থেকে মিছিল বের করেন সংঠনটির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে মিছিল-সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাকবাকুম করে প্রজ্ঞাপনও জারি করে। মিছিল-সমাবেশ জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার। এই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে জনগণ রাজপথে নেমেছে।’
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নানামুখী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তেজগাঁওয়ে ট্রেনে নাশকতা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সাকি।
হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পুরানা পল্টন, বিজয়নগর ঘুরে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সমাবেশে জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আওয়ামী লীগ আবারও আগুন-সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে।
সরকারের আজ্ঞাবহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাশকতার তদন্ত না করেই বিএনপির ওপর দোষারোপ করে আওয়ামী লীগের আগুন-সন্ত্রাসীদের রক্ষা করে।
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া সভা-সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
১২ ডিসেম্বর এ নির্দেশনার চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠান ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান।
চিঠিতে ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। এতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। এ জন্য ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারেন, এমন কোনো সভা-সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয়।
জনভোগান্তি লাঘব এবং দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবিতে চলতি মাসেই মাঠের কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা বিএনপির। দেশব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করতে গেলে শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক অটুট রাখা জরুরি বলে মনে করছে দলটি। এ লক্ষ্যে শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। তাদের সঙ্গে
১৮ মিনিট আগেওমরাহ পালনের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলেসহ রওনা হন বাবর। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফ্লাইটটি দুবাইতে পৌঁছায়। ফ্লাইটে থাকা অবস্থাতেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন বাবর। পরে বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে...
১১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আগামী নির্বাচনে আনুপাতিক (প্রোপরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা পিআর) পদ্ধতিতে আসন বণ্টন চান বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী আন্দোলনের ঝালকাঠি...
১ দিন আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা জনবান্ধব ৩১ দফার ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করতে চাই। জনগণ বিএনপির সঙ্গে থাকলে দেশ চালাতে সমস্যা হবে না। এ জন্য সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে এই কর্মসূচির কথা বলে তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, বর্তমানে যারা সংস্কার নিয়ে...
১ দিন আগে