Ajker Patrika

শুরু হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে সংলাপ, প্রকাশ হবে ঘোষণাপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ স্লোগানে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে বেসরকারি উদ্যোগে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ। ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের (এফবিএস) উদ্যোগে শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে শুরু হচ্ছে এ সংলাপ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ ছাড়া দুই দিনের অনুষ্ঠানের অন্তর্বর্তী সরকারের ৭ জন উপদেষ্টা, কমপক্ষে ২০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে শেষে কোনো কোনো বিষয় সবাই ঐকমত্য পোষণ করল, সে ব্যাপারে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ হবে। শনিবার শেষ হবে এ সংলাপ।

সংলাপ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন, এফবিএসের আহ্বায়ক সাংবাদিক মণির হায়দার, দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ উদ্দিন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, আইনজীবী দিলরুবা শারমিন, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক তৌফিক জোয়ারদার।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরের বাংলাদেশ একটা রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করেছে। গণতান্ত্রিক, মানবিক ও সর্বজনীন বাংলাদেশের জন্য হাজারো ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পটভূমিতে এফবিএস ব্যাপক ভিত্তিক জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছে। এ সংলাপের উদ্বোধন করবেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ বক্তা সমাজ বিশ্লেষক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, অর্থনীতিবিদ ড. মুশতাক হুসাইন খান। সমাপনী অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ।

২৭-২৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিচার, সংস্কার, নিরাপত্তা ও নির্বাচন বিষয়ে ৬টি অধিবেশনে সংলাপ চলবে। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, সরকারের উপদেষ্টা, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি এবং ছাত্র নেতারা এতে যোগ দেবেন। তবে সংলাপে আওয়ামী লীগ কিংবা ১৪ দলীয় জোটের কোনো শরিক দলের প্রতিনিধিদের আহ্বান জানানো হয়নি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মণির হায়দার বলেন, আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিকরা গত ১৫ বছরে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল। গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ফলে এদের সংলাপে ডাকার কোনো সুযোগ নেই। তিনি এই সংলাপের মাধ্যমে আমরা একটি জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। সেখানে মোট ২০ টির মতো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

সালেহ উদ্দিন বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্যদের মধ্যে একটি দোদুল্যমান অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় দেশকে এগিয়ে নিতে জাতীয় ঐক্য জরুরি। সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ইস্যুতে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিকে একমত হতে হবে। সে জন্যই এই আয়োজন। উদ্যোগটি বেসরকারি। কিন্তু সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা আছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহ উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের পর মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির কোনো গুরুত্ব ছিল না। ২০২৪ সালের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ পরাজিত শক্তি। ফলে এই পরাজিত শক্তিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, দুই দিনের সংলাপ শেষে জাতীয় একটি ঘোষণা আসবে। কোন কোন বিষয় আমরা একমত হয়েছি, তা প্রকাশ করা হবে।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আমরা গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে জাতীয় ঐক্য চাই। সে ক্ষেত্রে এই সংলাপে ফ্যাসিবাদ এবং তাদের সহযোগী ছাড়া সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জাহেদ উর রহমান বলেন, এখানে বিষয়ভিত্তিক সংলাপ হবে। এ ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত তুলে ধরবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত