নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ ও অনৈক্য থাকলে দেশ অনিবার্যভাবে ওয়ান-ইলেভেনের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেছেন, ‘পদধ্বনি নয়, আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, ২০০৭ সালের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দেশ যেদিকে হেঁটেছিল, আমরা এখন সবাই সেদিকেই রওনা হয়েছি।’
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর বিজয়নগরে আজ মঙ্গলবার সকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে এবং বিভেদ ও অনৈক্যজনিত ভুল অব্যাহত রাখলে দেশ অনিবার্যভাবে ওয়ান-ইলেভেনের দিকে যাবে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য যদি আনুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন না হয়, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে সমাধানে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশে এখনো হাসিনার প্রেতাত্মা বিদ্যমান। ভারতের প্রেতাত্মাও রয়ে গেছে। এখানে ফ্যাসিবাদ শুধু রূপ পরিবর্তন করেছে। সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করা সম্ভব কি না, তা এখনই ভাবতে হবে। অন্যথায় অন্তর্দলীয় বিভেদ ও পরিণতির ভার সবাইকে বহন করতে হবে। অংশীদারত্ব নিয়ে বিতর্ক এখনই সমাধান না করলে জাতি আবারও বিভক্ত হবে। বিশেষ করে জুলাই নিয়ে আমরা কোনোরূপ বিভেদ চাই না। জুলাই ঘোষণাপত্র যেন অলংকার না হয়ে বাস্তবায়নযোগ্য হয়; এটি যেন ঐতিহাসিক দলিল হয়ে ওঠে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, ‘এই ভূখণ্ডে নাগরিক অধিকার কখনোই পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা পায়নি। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধ, ১৯৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান—কোনোটিই আমাদের নাগরিক অধিকারকে পূর্ণতা দিতে পারেনি। ’৯০-এর নায়কেরা গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে পারলেও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত ১৬ বছরে গুম-খুন রাষ্ট্রকে গ্রাস করেছে। আর তার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ২০২৪-এ; যেখানে হেলিকপ্টার থেকে গুলি, লাশ গুম, গণকবর—আমরা যেন এক বিভীষিকাময় সময় অতিক্রম করেছি।’
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সংবাদমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মঞ্জু বলেন, ‘মায়েরা, প্রবাসীরা, এমনকি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারাও প্রথা ভেঙে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, আর সেখান থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী গণ-আন্দোলনের সূত্রপাত।’
এই আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবিদারদের উদ্দেশে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আপনাদের সর্বোচ্চ খেতাব দিতে সমস্যা নাই। কিন্তু যদি সব স্তরের মানুষ শেষ মুহূর্তে রাজপথে না নামতেন, তাহলে শত শত শহীদের রক্ত বৃথা হয়ে যেত।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর একমাত্র স্বপ্ন ছিল হাসিনার পতন। কিন্তু এখন বিভেদের রাজনীতিতে জাতি আবারও দ্বিধাবিভক্ত হওয়ার আশঙ্কায়। আমরা সতর্ক করছি—জাতির কণ্ঠস্বর হয়ে।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘জুলাইকে যদি আমরা ধারণ করি, জুলাইয়ের শহীদদের বেওয়ারিশ হিসেবে দেখতে চাই না। দ্রুত লাশ শনাক্ত করে যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে দাফনের ব্যবস্থা নিতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রটি যদি সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শ নিয়ে করা হতো, তাহলে তা আরও গ্রহণযোগ্য ও সর্বজনীন হতো।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি প্রমুখ।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ ও অনৈক্য থাকলে দেশ অনিবার্যভাবে ওয়ান-ইলেভেনের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেছেন, ‘পদধ্বনি নয়, আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, ২০০৭ সালের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দেশ যেদিকে হেঁটেছিল, আমরা এখন সবাই সেদিকেই রওনা হয়েছি।’
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর বিজয়নগরে আজ মঙ্গলবার সকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে এবং বিভেদ ও অনৈক্যজনিত ভুল অব্যাহত রাখলে দেশ অনিবার্যভাবে ওয়ান-ইলেভেনের দিকে যাবে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য যদি আনুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন না হয়, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে সমাধানে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশে এখনো হাসিনার প্রেতাত্মা বিদ্যমান। ভারতের প্রেতাত্মাও রয়ে গেছে। এখানে ফ্যাসিবাদ শুধু রূপ পরিবর্তন করেছে। সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করা সম্ভব কি না, তা এখনই ভাবতে হবে। অন্যথায় অন্তর্দলীয় বিভেদ ও পরিণতির ভার সবাইকে বহন করতে হবে। অংশীদারত্ব নিয়ে বিতর্ক এখনই সমাধান না করলে জাতি আবারও বিভক্ত হবে। বিশেষ করে জুলাই নিয়ে আমরা কোনোরূপ বিভেদ চাই না। জুলাই ঘোষণাপত্র যেন অলংকার না হয়ে বাস্তবায়নযোগ্য হয়; এটি যেন ঐতিহাসিক দলিল হয়ে ওঠে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, ‘এই ভূখণ্ডে নাগরিক অধিকার কখনোই পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা পায়নি। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধ, ১৯৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান—কোনোটিই আমাদের নাগরিক অধিকারকে পূর্ণতা দিতে পারেনি। ’৯০-এর নায়কেরা গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে পারলেও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত ১৬ বছরে গুম-খুন রাষ্ট্রকে গ্রাস করেছে। আর তার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ২০২৪-এ; যেখানে হেলিকপ্টার থেকে গুলি, লাশ গুম, গণকবর—আমরা যেন এক বিভীষিকাময় সময় অতিক্রম করেছি।’
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সংবাদমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মঞ্জু বলেন, ‘মায়েরা, প্রবাসীরা, এমনকি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারাও প্রথা ভেঙে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, আর সেখান থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী গণ-আন্দোলনের সূত্রপাত।’
এই আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবিদারদের উদ্দেশে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আপনাদের সর্বোচ্চ খেতাব দিতে সমস্যা নাই। কিন্তু যদি সব স্তরের মানুষ শেষ মুহূর্তে রাজপথে না নামতেন, তাহলে শত শত শহীদের রক্ত বৃথা হয়ে যেত।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর একমাত্র স্বপ্ন ছিল হাসিনার পতন। কিন্তু এখন বিভেদের রাজনীতিতে জাতি আবারও দ্বিধাবিভক্ত হওয়ার আশঙ্কায়। আমরা সতর্ক করছি—জাতির কণ্ঠস্বর হয়ে।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘জুলাইকে যদি আমরা ধারণ করি, জুলাইয়ের শহীদদের বেওয়ারিশ হিসেবে দেখতে চাই না। দ্রুত লাশ শনাক্ত করে যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে দাফনের ব্যবস্থা নিতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রটি যদি সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শ নিয়ে করা হতো, তাহলে তা আরও গ্রহণযোগ্য ও সর্বজনীন হতো।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি প্রমুখ।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে শহীদ পরিবার, আহতদের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো নির্দেশিকা নেই। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, এমনকি যাঁরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, জাতির পক্ষ থেকে দাবি ছিল, তাঁদের বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করার। মুক্তিযুদ্ধে যেমনটা হয়েছে। তাঁদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা আসা উচিত ছিল; রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার ঘোষণা আসা উ
২ ঘণ্টা আগে‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের জন্য গত এক বছরে সবচেয়ে সোচ্চার ছিল এনসিপি। সেই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠান ছিল আজ মঙ্গলবার। শুধু তা-ই নয়, জুলাই শহীদদের সংবর্ধনাসহ গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে রাজধানীতে একাধিক অনুষ্ঠানও চলছিল। এমন দিনে এনসিপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে হঠাৎ কক্সবাজারে দেখা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় এসেছে, সেই অন্তর্বর্তী সরকার আজ বিপরীত পথে হাঁটছে।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘এত তথ্য-উপাত্ত থাকার পরও যদি গণহত্যার বিচার না হয়, তাহলে সেটা সরকারের চরম ব্যর্থতা প্রমাণ করে। এ সরকার কোনো বিপ্লবী সরকার নয়, এটি অলস সরকার।’
৬ ঘণ্টা আগে