Ajker Patrika

জুলাই সনদে স্বাক্ষর: হঠাৎ সংকট, জরুরি বৈঠক শেষে স্বস্তি

  • নতুন সংবিধানের দাবি এনসিপির, জটিলতা শুরু।
  • সংকট গভীর হলে দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
  • সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে বাম জোটভুক্ত ৫ দল।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১: ৪৭
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রেস উইং
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রেস উইং

চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫। এখন সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর করাটাই শুধু বাকি। কিন্তু এই পর্যায়ে এসে শেষ সময়ের কাজটুকু সমাধা হওয়া নিয়েই দেখা দেয় গুরুতর সংকট। সংকট সমাধানের উপায় খুঁজতে গতকাল বুধবার দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে শেষে আপাতত স্বস্তি এসেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার সনদে স্বাক্ষর করবে দলগুলো।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে গত মঙ্গলবার রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর কাছে চূড়ান্ত সনদের অনুলিপি পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অনুলিপির সঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে দলগুলোর কাছে শুক্রবার সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়। এর পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সনদে স্বাক্ষর করা নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হয়।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কয়েক নেতা। এনসিপি নেতারা সেখানে এত দিনের আলোচনা বাদ দিয়ে বিদ্যমান সংবিধান স্থগিত করে নতুন সংবিধানের জন্য নতুন করে কাজ শুরুর দাবি জানান। এটা না হলে এনসিপি সনদে স্বাক্ষর করবে না বলেও জানান দলটির নেতারা। সংকট সমাধানে মঙ্গলবার রাত থেকেই বিভিন্ন দল ও সরকারের কয়েক উপদেষ্টার সঙ্গে কমিশন যোগাযোগ করে। এ সময় ইতালি থেকে দেশের পথে রওনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। উপায় না পেয়ে তাঁর সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করে কমিশন। এ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে এনসিপিকে বোঝাতে কমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়। এরপরেও তারা তাদের অবস্থানেই অনড় থাকে। এ অবস্থায় সংকটের সমাধান খুঁজতে মঙ্গলবার রাতের আলোচনা গড়ায় বুধবারে। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর কমিশন সদস্যরা তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। সংকটের বিষয়ে কমিশন প্রধান উপদেষ্টাকে জানায়। এই বৈঠকের আগেই এদিন সন্ধ্যায় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়।

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, বৈঠকে নাহিদ তাঁদের দলের অবস্থান তুলে ধরেন। সব শুনে এ সময় সংকট সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। তাঁদের দাবিদাওয়ার বিষয়েও এ সময় আশ্বস্ত করেন তিনি। নাহিদের সঙ্গে এই বৈঠকের মধ্য দিয়েই মূলত বিদ্যমান সংকটের আপাতত স্বস্তি মেলে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।

একটি সূত্র দাবি করছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নাহিদ ইসলাম বিস্তারিত আলাপ করেছেন। তাতে মনে হচ্ছে, পরিস্থিতির কিছুটা সমাধান হয়েছে। কিন্তু তাঁদের মনে এখনো অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে।

এদিকে আপাতত স্বস্তি মিললেও জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে কি করবে না, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট করেনি এনসিপি। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা বললেও সনদে স্বাক্ষর করবে কি না, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট করেনি জামায়াত। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস ও নেজামে ইসলাম পার্টিও একই অবস্থানে আছে। অন্যদিকে সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে সিপিবি, বাসদ, বাসদ মার্ক্সবাদী, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম।

৩০ দল ও জোটের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

জুলাই সনদ নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ৩০টি দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদ মার্ক্সবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, ১২ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ ৩১টি দল ও জোটের নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।

উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে বলে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আগামী শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর হবে। জাতির মধ্যে সঞ্চারিত করার জন্য আমাদের এই অনুষ্ঠান। আমরা সেখানে উৎসবমুখরভাবে যাব। এই দলিলে সই করব। উৎসবে সারা জাতি শরিক হবে।’

ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে জুলাই সনদেরই অংশ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে বারবার বলছি। যখন যেখানে গেছি বলেছি। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হবে। উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, তার সবই আমরা করব। এর সঙ্গে আমরা কোনো কম্প্রোমাইজ করব না।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান না হলে অন্য কোনোভাবে এই সনদ রচনা করা সম্ভব ছিল না উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘কেউ আশা করেনি সত্যি এটা হবে। অনেকে এটা নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন। কেউ কেউ এটাকে তামাশা বলেছেন। তবে আমি আশাবাদী ছিলাম, একটা না একটা কিছু হবে। এটা না হলে কাজটা এলোমেলো হয়ে যেত। আমরা এলোমেলো না করে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে করতে পেরেছি। প্রকৃতপক্ষে কী সংস্কার হবে, আপনারা তা করে দিয়েছেন। আমরা জুলাই সনদের স্বাক্ষরের বড় উৎসবে শরিক হব। যে কলম দিয়ে স্বাক্ষরিত হবে, তা জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। আপনাদের ছবি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।’

সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে বারবার বলছি। যখন যেখানে গেছি বলেছি। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এটা ঐকমত্য কমিশনের সনদেরই একটি অংশ। সনদের সঙ্গে এটা (নির্বাচন) জড়িত। আমরা যে ঘোষণা করেছি, তা রক্ষা করতে হবে। এটা এমন নয় যে, কথার কথা বললাম, আচ্ছা ঠিক আছে, দুই দিন পরে হবে...এটা ও রকম নয়। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে হবে। উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, তার সবই আমরা করব। এর সঙ্গে আমরা কোনো কম্প্রোমাইজ করব না। আপনারা সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন।’

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমাদের কন্টিনিউয়াস (ধারাবাহিক) সমর্থন আপনার প্রতি ছিল, আছে। কিন্তু এটা কন্ডিশনাল (শর্তযুক্ত)। আমাদের সমর্থন আরও অব্যাহত থাকবে, এটা সীমাহীন নয়। আমরা চাই, আপনার নেতৃত্বে একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন, এটাই হচ্ছে কন্ডিশন (শর্ত)। আপনার প্রতি আমাদের সীমাহীন সমর্থন নয়, আমাদের সীমারেখা আছে। আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য এই সীমারেখার মধ্যে আপনাকে সমর্থন দিচ্ছি। আপনি দয়া করে এটা অনুধাবনের চেষ্টা করবেন।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সচিবালয়ে বদলি পদায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ একটি ‘ক্যাবিনেট কমিটি’ করা হয়েছে। এটার কোনো চর্চা নেই, এটা কোনো নিয়ম বা রীতি নয়। এ বিষয়ে বিএনপি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘যাতে বাংলাদেশের সকল অর্গানের ব্যালেন্স (সব অঙ্গের মধ্যে ভারসাম্য) থাকে, সেটা আপনাকে চেষ্টা করতে হবে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। আমরা চাই না প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে কোনো রকমের ভারসাম্য নষ্ট হোক। আমরা সেটি অ্যাফোর্ড করতে পারব না এই মুহূর্তে। আমরা চাই, আপনার সাথে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। রাষ্ট্র একটা ব্যালেন্স অবস্থায় থাকতে হবে। আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো রকমের ঝুঁকির মধ্যে যেতে চাই না। যেতে পারব না।’

আলোচনায় সংস্কার বাস্তবায়ন প্রশ্নে বিএনপির আগের অবস্থানই তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট হলে আগামী সংসদ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে। নির্বাচনের বাকি আছে চার মাস। দুই মাস আগে তফসিল দিতে হবে। এর আগে আরেকটি নির্বাচন আয়োজন সম্ভব কি না, তিনি সে প্রশ্ন রাখেন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়; এক দিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট আলোচনা। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট দিতে হবে। তাহের বলেন, বিএনপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে আগে দ্বিমত করলেও পরে গণভোটের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ দেন তিনি।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘শেষ মুহূর্তে কিছু বিষয় আমাদের মধ্যে সংশয়ের জায়গা তৈরি করেছে। আসলে জাতিকে অস্পষ্ট রেখে কোনো উদ্যোগ সফল করা সম্ভব নয়। আজকের এই দিনে আমরা আসতে পেরেছি এমন একটি অবস্থানে, যাতে বাংলাদেশে আর কখনো ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে। বাংলাদেশ যেন জবাবদিহিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হতে পারে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে ঐক্যবদ্ধ কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলো এক অভূতপূর্ব পদ্ধতিতে, সুন্দর সহনশীল পরিবেশের মধ্য দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে প্রণয়নের দিকে এগিয়েছি।’

আকতার বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য জুলাই সনদের বাস্তবায়নের পথকে পরিষ্কার করা, তারপরই আমরা সনদ স্বাক্ষরের দিকে অগ্রসর হব। সবকিছু পরিষ্কার হওয়ার পর যদি সনদ স্বাক্ষরিত হয়, তবে সেটিই হবে আমাদের সাফল্য।’

স্বাক্ষর শেষে নাগরিকদের মধ্যে বিলি হবে সনদ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, নাগরিকেরা যাতে বুঝতে পারেন, রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কী ঐক্যমতে পৌঁছেছে, রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা কী এবং অগ্রগতি কত দূর হয়েছে, সেটি তাঁরা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হবে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আশা করি, আপনারা এই ঐক্যের ধারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সর্বোপরি, জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবেই, কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের শক্তিকে আমরা একত্রে বজায় রাখব, এই বিশ্বাসেই আমরা দাঁড়িয়ে আছি এবং সেটি অব্যাহত রাখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

দয়া করে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, দেশকে বাঁচান: মির্জা ফখরুল

স্কুলছাত্রীর মৃত্যুতে স্তব্ধ মালয়েশিয়া, কাঠগড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত