ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে নানা দাবিদাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল কিছু দলের পিআর পদ্ধতির দাবির সমালোচনা করেন। সমাবেশে উপস্থিত সবার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই পিআর বোঝেন? আমাদের এখানে শিক্ষিত মা-বোনেরা আছেন, আপনারা কি পিআর ভোট বোঝেন?’
উপস্থিত জনগণ ‘না’ সূচক উত্তর দিলে ফখরুল বলেন, ‘আমি একটু বুঝিয়ে বলি, পিআর হচ্ছে মানুষের এই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার দরকার নেই, দলটাকে ভোট দিতে হবে। কিন্তু আমি জানতে পারছি না—কোনটা আমার প্রার্থী, আমার ক্যান্ডিডেট কোনটা, আমার কাজ করবেন কে, আমার এমপি কে। আমার এমপি যদি না থাকেন, আমি যাব কার কাছে? এই জিনিসগুলো মাথার মধ্যে নিতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘পিআরের মতো বিষয়গুলো পার্লামেন্টে আলোচনা ও তর্কবিতর্ক করা যেতে পারে। আমরা বলেছি, আসুন নেক্সট পার্লামেন্টে এটা নিয়ে আমরা তর্কবিতর্ক করি। পিআর যদি দেশের লোক চায়, আমরা সেটা করব। কিন্তু না, উনারা ওইটা শুনবেন না। উনারা মিছিল করছেন, এনারাও মিছিল করছেন। প্রতিদিন মিছিল বের করছেন—পিআর চাই, পিআর চাই। এখন এই জিনিসটা উনারা জোর দিচ্ছেন।’
মির্জা ফখরুল সব দল ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব দাবিদাওয়া বন্ধ রেখে নির্বাচনটি দ্রুত হতে দেওয়া হোক। কিছু প্রতিষ্ঠানও এখন দাবিদাওয়া তুলছে, যার উদ্দেশ্যটা ভালো না। নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। আমার তাদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি হতে দেন। এই মানুষগুলো বাঁচুক, যেই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে মানুষ আছে, অস্থিরতা কাটুক।’
মির্জা ফখরুল সমাবেশে ভোট দিতে চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান। এরপর ফখরুল বলেন, ‘ভোট চান। এখন সবাই ভোট চায়, নির্বাচন চায়। দয়া করে এসব (দাবিদাওয়া) বাদ দিয়ে নির্বাচনটা শেষ করেন। জনগণের প্রতিনিধি আসুক। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারপর তর্কবিতর্ক করা যাবে। আরও কথা বলা যাবে।’
নিজ এলাকার মানুষের কাছে তাঁর সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁও এলে লোক ঝাঁপাই পড়ে মোর ওপর, যে এটা করে দিবা (দিতে) হবে, ওইটা করে দিবা (দিতে) হবে। মুই তো সরকারত নাই, কেমনে কাম করিম (করব)। মুই তো এমপি এলাও (এখনো) হওনি। কাজটা করিম (করব) কেমন করে। তাহলে ওই এমপিটা করতে হবে, সরকারটা করতে হবে। ওই সরকারটা যদি বিএনপি সরকার হয়, তাকে আপনারা চিনেন, জানেন, সুতরাং অবশ্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘এবার পূজা কেমন করেছেন?’ ভালো করার মন্তব্য শুনে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘ভালো করেছেন। আমাকে কিন্তু দাওয়াত করেননি।’
শেষে ফখরুল বলেন, ‘তো মা-বোনেরা, ভাইয়েরা আমার, সব হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ভাইয়েরা—আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা এখন সুন্দর ভালোবাসা ও প্রেমময় বাংলাদেশ গড়ে তুলি। হিংসার রাজনীতি আমরা করতে চাই না। ওইটা কিন্তু বাতিল করে দিয়েছে, যে, আর কোনো রকম হিংসা যেন না হয়। একটা লোকও যেন না খেয়ে মরে, আমার একটা ছেলেও যেন না খেয়ে মরে। এটাই আমাদের কামনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গম আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, রোকনউদ্দিন ভূঁইয়া, ফোরাতুন নাহার প্যারিস, গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পুষ্পশিলা প্রমুখ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে নানা দাবিদাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল কিছু দলের পিআর পদ্ধতির দাবির সমালোচনা করেন। সমাবেশে উপস্থিত সবার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই পিআর বোঝেন? আমাদের এখানে শিক্ষিত মা-বোনেরা আছেন, আপনারা কি পিআর ভোট বোঝেন?’
উপস্থিত জনগণ ‘না’ সূচক উত্তর দিলে ফখরুল বলেন, ‘আমি একটু বুঝিয়ে বলি, পিআর হচ্ছে মানুষের এই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার দরকার নেই, দলটাকে ভোট দিতে হবে। কিন্তু আমি জানতে পারছি না—কোনটা আমার প্রার্থী, আমার ক্যান্ডিডেট কোনটা, আমার কাজ করবেন কে, আমার এমপি কে। আমার এমপি যদি না থাকেন, আমি যাব কার কাছে? এই জিনিসগুলো মাথার মধ্যে নিতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘পিআরের মতো বিষয়গুলো পার্লামেন্টে আলোচনা ও তর্কবিতর্ক করা যেতে পারে। আমরা বলেছি, আসুন নেক্সট পার্লামেন্টে এটা নিয়ে আমরা তর্কবিতর্ক করি। পিআর যদি দেশের লোক চায়, আমরা সেটা করব। কিন্তু না, উনারা ওইটা শুনবেন না। উনারা মিছিল করছেন, এনারাও মিছিল করছেন। প্রতিদিন মিছিল বের করছেন—পিআর চাই, পিআর চাই। এখন এই জিনিসটা উনারা জোর দিচ্ছেন।’
মির্জা ফখরুল সব দল ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব দাবিদাওয়া বন্ধ রেখে নির্বাচনটি দ্রুত হতে দেওয়া হোক। কিছু প্রতিষ্ঠানও এখন দাবিদাওয়া তুলছে, যার উদ্দেশ্যটা ভালো না। নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। আমার তাদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি হতে দেন। এই মানুষগুলো বাঁচুক, যেই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে মানুষ আছে, অস্থিরতা কাটুক।’
মির্জা ফখরুল সমাবেশে ভোট দিতে চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান। এরপর ফখরুল বলেন, ‘ভোট চান। এখন সবাই ভোট চায়, নির্বাচন চায়। দয়া করে এসব (দাবিদাওয়া) বাদ দিয়ে নির্বাচনটা শেষ করেন। জনগণের প্রতিনিধি আসুক। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারপর তর্কবিতর্ক করা যাবে। আরও কথা বলা যাবে।’
নিজ এলাকার মানুষের কাছে তাঁর সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁও এলে লোক ঝাঁপাই পড়ে মোর ওপর, যে এটা করে দিবা (দিতে) হবে, ওইটা করে দিবা (দিতে) হবে। মুই তো সরকারত নাই, কেমনে কাম করিম (করব)। মুই তো এমপি এলাও (এখনো) হওনি। কাজটা করিম (করব) কেমন করে। তাহলে ওই এমপিটা করতে হবে, সরকারটা করতে হবে। ওই সরকারটা যদি বিএনপি সরকার হয়, তাকে আপনারা চিনেন, জানেন, সুতরাং অবশ্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘এবার পূজা কেমন করেছেন?’ ভালো করার মন্তব্য শুনে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘ভালো করেছেন। আমাকে কিন্তু দাওয়াত করেননি।’
শেষে ফখরুল বলেন, ‘তো মা-বোনেরা, ভাইয়েরা আমার, সব হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ভাইয়েরা—আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা এখন সুন্দর ভালোবাসা ও প্রেমময় বাংলাদেশ গড়ে তুলি। হিংসার রাজনীতি আমরা করতে চাই না। ওইটা কিন্তু বাতিল করে দিয়েছে, যে, আর কোনো রকম হিংসা যেন না হয়। একটা লোকও যেন না খেয়ে মরে, আমার একটা ছেলেও যেন না খেয়ে মরে। এটাই আমাদের কামনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গম আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, রোকনউদ্দিন ভূঁইয়া, ফোরাতুন নাহার প্যারিস, গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পুষ্পশিলা প্রমুখ।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর (বিশেষ দায়রা জজ) বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।
২ মিনিট আগেবিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ ১৫ অক্টোবর (বুধবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
৪ মিনিট আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনী ট্রেনে দেশবাসী, নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না। বিএনপির আস্থা এ দেশের জনগণ। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এ দেশের মানুষ বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে আসবে।
৩৭ মিনিট আগেদিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গবাদিপশুবাহিত তড়কা (অ্যানথ্রাক্স) রোগের বিস্তার রোধে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া জবাই না করতে নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
১ ঘণ্টা আগে