Ajker Patrika

টাকা পাচারকারীরা তারেক-কোকোর সাক্ষাৎ শিষ্য: সংসদে ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টাকা পাচারকারীরা তারেক-কোকোর সাক্ষাৎ শিষ্য: সংসদে ইনু

দেশের টাকা পাচারকারীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ‘সাক্ষাৎ শিষ্য’। এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (একাংশ) নেতা হাসানুল হক ইনু।

টাকা পাচারকারীরা ‘ডবল চোর’ উল্লেখ তিনি বলেন, ‘এরা দেশের ভেতরে একবার চুরি করে, বিদেশে টাকা পাঠানোর জন্য আরেকবার চুরি করে। দেশে এই ডবল চোরদের ধরার জন্য আইন আছে, মামলাও আছে। তাই এই বিদেশে পাচার করা টাকা আনার জন্য যে প্রস্তাবটা হয়েছে দেশের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমি বাতিল করার প্রস্তাব করছি।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে কথা বলেন ইনু। 

ইনু বলেন, ‘টাকা পাবেন কোথায়? এনবিআরকে অটোমেশন করেন। ৫৪৪টি উপজেলায় কর অফিস স্থাপন করেন। ৯ লাখ হাটবাজার, দোকানিদের করের আওতায় নিয়ে আসেন। ১ কোটি টাকার বেশি আয়কর দিতে পারে এমন লোক বাংলাদেশে ২ লাখ আছে। ওইটা ধরেন, ২ লাখ কোটি টাকা আপনি পাবেন।’

জাসদ সভাপতি আরও বলেন, ‘বাজেটে টাকা পয়সা বাড়িয়ে লাভ নাই। বরঞ্চ আপনি মৌলিক পরিবর্তন অর্থাৎ বাসস্থান, শিক্ষা, খাদ্য, নিরাপত্তা, ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সর্বজনীন ব্যবস্থা গড়তে, অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য বাড়তি বরাদ্দ দেন।’

বাজেট বাস্তবায়নে রাজনৈতিক শান্তি দরকার উল্লেখ করে ইনু বলেন, ‘অশান্তির রানি বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গি হেফাজত চক্র, যারা মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত করে এবং মানে না। তারা দেশের শত্রু, মাঠে নেমেছে। ভোটের আগে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে চায়।’

ইনু বলেন, ‘অপরদিকে চলছে ঘরের ভেতরে দুর্নীতিবাজ ঘরকাটা ইঁদুরদের উৎপাত। শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সরকার, দুই শত্রুর আক্রমণের মুখে। দেশ শত্রুর আক্রমণের মুখে, ঘরের শত্রুর আক্রমণের মুখে। ভোটের আগে যারা সরকার উৎখাতের প্রস্তাব দিচ্ছে তারা সাংবিধানিক পদ্ধতি বানচাল করতে চায়।’

ভোটের আগে যারা সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে তারা খাল কেটে অস্বাভাবিক সরকার আনতে চায় মন্তব্য করে ইনু বলেন, ‘ভোটের আগে যারা সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে তারা তালেবানি সরকার আনার চেষ্টা করছে। আমি এই দুই সরকারকে কুমিরের সঙ্গে তুলনা করছি। এই দুই কুমির আনার ভয়াবহ চক্রান্তকে মোকাবিলা করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা হবে ৫: আমির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ০৪
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা যদি সুযোগ পাই, মায়েদের বাড়তি আরেকটু সম্মান করব, সেটা হবে তাদের প্রতি ইনসাফ। একজন মা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, লালন-পালন করছেন; আবার ক্ষেত্র বিশেষে তিনি একজন পেশাজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আমারও ৮ ঘণ্টা, তারও ৮ ঘণ্টা, এটা কি অবিচার নয়?’

তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে ইনশা আল্লাহ তাদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেব। মা হিসেবে সন্তানের হক আদায় করার জন্য এবং মা হিসেবে তাকে সম্মান করার জন্য। আমরা যদি ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৫ ঘণ্টা করি, তাহলে মায়েরা এতই কমিটেড যে; তারা চিন্তা করবে সরকার যে সম্মান আমাদের দিয়েছে, আমাদের উচিত ৮ ঘণ্টার কাজ ৫ ঘণ্টায় সেরে ফেলা।’

বর্তমান সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান, ‘বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা ফেরাতে দৃশ্যমান কয়েকটি রায় দিতে হবে।’ জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বিচার অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাবেন না।’

শুধু রেমিট্যান্স নয়, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী মেধাবীদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে—প্রবাসীদের প্রতি এমন আহ্বানও জানান জামায়াত আমীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা বিভিন্ন দেশে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করছে। সে সমাজের উন্নয়নে তারা অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখছে। আমরা এ মানুষগুলোর থেকে একটা অংশ অন্তত বাংলাদেশে ফেরত চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতি আসনে একাধিক প্রার্থী প্রস্তুত রাখছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

আজ সোমবার যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সমগ্র বাংলাদেশে আসনভিত্তিক একাধিক যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

এই কৌশলটি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ের মতোই। ওই নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের মতো ঘটনা ঘটলে আসন যেন বিএনপিশূন্য না হয়ে পড়ে, সে জন্যই এক আসনে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও একই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।

জানা গেছে, জোটের কারণে কিছু আসন ছাড় দিতে হতে পারে, তা বিবেচনা করেও দুই শতাধিক আসনে ‘ধানের শীষ’-এর প্রার্থী তালিকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, এক আসনে একাধিক প্রার্থী বাছাই করে রাখলেও দল ঐক্যের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটিই মেসেজ দিতে চাই, যাতে আমাদের দলের ভেতরে ঐক্য থাকে, জাতির ভেতরে ঐক্য থাকে। জাতির মধ্যে ঐক্যটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই ঐক্য বজায় রাখার জন্য কেউ যাতে বিভেদের পথে না যায়, সেই মেসেজটা আমরা দিতে চাই।’

এ ছাড়া, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করা হবে বলেও ঘোষণা করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে গঠন করা হবে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট।’

দেশের যুব সমাজকে জাতি বিনির্মাণে কাজে লাগানোর বিষয়ে বিএনপির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যুবকদের, তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনাকে আহরণ করার জন্য আমরা সমগ্র বাংলাদেশে সফর করেছি। আমরা তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা গ্রহণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কীভাবে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করছি। আশা করি, এই দেশ একটি তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ হবে।’

এ সময় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ০৭
নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় জাতীয় পার্টির একাংশ। তবে অংশ নেওয়ার প্রক্রিয়া বা কৌশল আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরবে তারা। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভার এই প্রস্তাব রাখা হয়।

আজ সোমবার দলের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কৌশল নির্ধারণে করণীয় ও সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

প্রেসিডিয়াম সভায় বলা হয়, বিগত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখার জন্য জাতীয় পার্টি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করতে চায়। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন কৌশলে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে, সেটি আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।

বিজ্ঞাপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘জাতীয় পার্টি প্রত্যাশা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় যাতে সকল রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পায়, সে ধরনের একটি ভয়ভীতি ও আতঙ্কহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করতে চায় জাতীয় পার্টি।’

সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা এই সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম নাসরিন জাহান রতনা, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জিয়া উল হক মৃধা, অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন, সরদার শাহজাহান, মোবারক হোসেন আজাদ, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

  • নির্বাচনী পরিকল্পনার ভিত্তি হবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ।
  • আগামী মাসে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা।
  • দুর্নীতিমুক্ত এবং গণমুখী প্রার্থী খোঁজা হবে।
  • দলের বাইরেও ‘গ্রহণযোগ্য’ ব্যক্তিদের সমর্থনের চিন্তা।
সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা 
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩৩
৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।

বাম দলগুলো বলেছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। দলীয় প্রার্থীদের বাইরেও প্রগতিশীল, মুক্তমনা মানুষ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদেরও নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

দেশের নিবন্ধিত বামপন্থী দলগুলোর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অংশ হওয়ায় ৫ আগস্টের পর বামপন্থী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতৃত্বাধীন ৬ দলের সমন্বয়ে গড়া বাম গণতান্ত্রিক জোট। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই জোটের পাশাপাশি অন্য ৭টি বামপন্থী দলের জোট ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’, বাংলাদেশ জাসদ, ঐক্য ন্যাপ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণসংগঠনের সমন্বয়ে বড় বামবলয় তৈরির চেষ্টা করছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।

বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো এবং ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। প্রার্থী বাছাইসহ সার্বিক নির্বাচনী পরিকল্পনার পেছনের অন্যতম ভিত্তি হতে যাচ্ছে দেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতাযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এ বলয়ের আওতায় প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।

সিপিবির ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, দেড় শর বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

অন্যদিকে বাসদের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ১১০ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা করেছেন। অন্যান্য বাম দল, সংগঠন, জোটের নেতারাও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

নেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে, দলগুলোর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা সমন্বয়ের লক্ষ্যে আগামী ৩১ অক্টোবর তাঁরা বৈঠকে বসতে পারেন। সে বিবেচনায় ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সব প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে। এরপর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রাথমিকভাবে কিছু আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দলগুলো বলছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার, শ্রমিক-কৃষকসহ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা, দুর্নীতিমুক্ত ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতির পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্যতার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করব। প্রার্থীরা সবাই দলীয় না-ও হতে পারেন। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় সমাজের পরিচিত বা প্রগতিশীল ব্যক্তিরাও থাকতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের নির্বাচনী পরিকল্পনার ভিত্তি বিবেচনা করা হয়েছে। কেউ কেউ ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প হিসেবে দেখাতে চায়। আমরা মনে করি, এটি অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার পরিণতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হয়নি বলেই ’২৪ ঘটেছে।’

একাত্তরে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া একাধিক মুক্তিযোদ্ধাও বামবলয়ের প্রার্থী তালিকায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সব সময় আমরা প্রাধান্য দেই। আর মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম কল্পনা করা যায় না।’ ’২৪ হলো মুক্তিযুদ্ধের অপরিণত আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।’

জুলাই জাতীয় সনদে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংক্রান্ত সংবিধানের মূলনীতি অক্ষুণ্ন রাখার প্রশ্নে জোরালো অবস্থান নিয়েছে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। সংবিধানের চার মূলনীতিসহ ৭টি বিষয়ে সমাধান না হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলগুলো। তাদের অভিযোগ, জুলাই সনদের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিদ্যমান সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দেওয়াসহ মুক্তিযুদ্ধকে অপ্রাসঙ্গিক করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতনও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি রচিত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ববর্তী ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে। সংবিধানের প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বহু বিষয়ে সংস্কার আনায় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি এর চার মূলনীতি প্রশ্নে আপস করার কোনো সুযোগ নেই।’

প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মানে এমন দেশপ্রেমিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে নিয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ছাড়াও থাকবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র, শ্রমিক, খেতমজুর ও কৃষক সংগঠন, দলিত সম্প্রদায়, পাহাড়-সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি। স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নির্দলীয় ব্যক্তিদেরও প্রার্থী হিসেবে আমরা সমর্থন দেব।’

মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত গণতন্ত্রমনা এই জোট গঠনের লক্ষ্যে বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’ আয়োজনের কথা জানিয়েছেন বাম নেতারা। এ ছাড়াও আগামী ৩১ অক্টোবর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনভেনশন, ২৮ নভেম্বর গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের কনভেনশন, ৫ ডিসেম্বর নারীসমাজের কনভেনশন এবং ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত