নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলের চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী এবং মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার জাতীয় বেইমান বলে অভিহিত করেছেন তৃণমূল বিএনপির ৬০ জন প্রার্থী। তাঁরা বলেছেন, প্রার্থীদের মাঠে নামিয়ে তাঁরা যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। শমশের, তৈমূর ও তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা দলের তহবিল থেকে টাকা তছরুপ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
তৃণমূল বিএনপির এই নেতারা আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সভায় এসব অভিযোগ করেন।
‘তৃণমূল বিএনপির সব প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের কো-চেয়ারপারসন কে এ জাহাঙ্গীর মাজমাদার এবং সভাপতি হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা আসেননি। সভায় বিভিন্ন আসনে তৃণমূলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দাবি করেছেন, দলের ১৩০ জন প্রার্থী এখন তাঁদের সঙ্গে আছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. খন্দকার ইমদাদুল হক সেলিম। তিনি ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, তৃণমূল বিএনপির এই নেতারা প্রার্থীদের মাঠে নামিয়ে এখন বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা করছে। শুধু তা-ই নয়, তৃণমূল বিএনপির নির্বাচন নিয়ে যে তহবিল গঠন করা হয়েছে সেটি তছরুপ করা হয়েছে।
তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হন। প্রার্থীরা জানান, ২৬ ডিসেম্বর তাঁদের তৃণমূল বিএনপির অফিসে ডেকে দিনভর অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। তাঁদের সঙ্গে নেতারা দেখা করেননি। অফিসের লোকজন তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
তৃণমূল বিএনপির যশোর-৫ আসনের সংসদ পদপ্রার্থী মেজর (অব.) মোস্তফা মনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আজ বলতে চাই, দেশের সাংবিধানিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য যে প্রত্যয় করে যাচ্ছি তাতে বাধাগ্রস্ত করেছেন তৈমূর ও শমশের। তাঁরা আমাদের মাঠে নামিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। এখন আমরা অসহায়। আমাদের এখন নির্বাচনী মাঠে থাকার কথা। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ জানাতে এখানে এসেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।’ তাঁরা বলবেন, ‘আমরা বিচ্ছিন্ন দল। কিন্তু আমি বলতে চাই, আমরা এতজন প্রার্থী বিচ্ছিন্ন নই। তাঁরা দলের ফান্ড থেকে টাকা তছরুপ করে আমাদের জামা-কাপড় খুলিয়ে তামাশার পাত্র বানিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি বলতে চাই, এর বিচার না হলে আমরা আমরণ অনশনে নামব।’
সভাপতির বক্তব্যে ইমদাদুল হক সেলিম বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাই। কিন্তু আমাদের সভাপতি ও মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। তাঁরা তাঁদের মতো করে বিএনপি ও অন্যান্য দলের সঙ্গে আঁতাত করছেন। তাতে আমরা বিপদে পড়েছি। তাঁরা শুধু নিজেদের নির্বাচিত করলে হবে না। আমাদের নিয়েই নির্বাচন করে জিততে হবে।’
তিনি জানান, তৃণমূল বিএনপি থেকে সরাসরি তাঁদের কোনো বিষয় জানানো হয়নি। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনের আগমুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তাঁরা অকূলপাথারে পড়েছেন। তাঁরা সভাপতি ও মহাসচিবকে বহিষ্কারের আহ্বান জানান।
সভায় বক্তব্য আরও দেন নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রিন্সিপাল আব্দুল ওহাব হামিদি, দীপক চন্দ্র গুপ্ত (ময়মনসিংহ-৪), কাজী সিরাজুল ইসলাম (ঢাকা-৬), জামাল শেখ (গোপালগঞ্জ-৩), আল মামুন (নেত্রকোনা-৪), মো. মাইনুদ্দিন (কুমিল্লা-২), ইউনুস সোহাগ (বরগুনা-১) প্রমুখ।
দলের চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী এবং মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার জাতীয় বেইমান বলে অভিহিত করেছেন তৃণমূল বিএনপির ৬০ জন প্রার্থী। তাঁরা বলেছেন, প্রার্থীদের মাঠে নামিয়ে তাঁরা যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। শমশের, তৈমূর ও তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা দলের তহবিল থেকে টাকা তছরুপ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
তৃণমূল বিএনপির এই নেতারা আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সভায় এসব অভিযোগ করেন।
‘তৃণমূল বিএনপির সব প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের কো-চেয়ারপারসন কে এ জাহাঙ্গীর মাজমাদার এবং সভাপতি হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা আসেননি। সভায় বিভিন্ন আসনে তৃণমূলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দাবি করেছেন, দলের ১৩০ জন প্রার্থী এখন তাঁদের সঙ্গে আছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. খন্দকার ইমদাদুল হক সেলিম। তিনি ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, তৃণমূল বিএনপির এই নেতারা প্রার্থীদের মাঠে নামিয়ে এখন বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা করছে। শুধু তা-ই নয়, তৃণমূল বিএনপির নির্বাচন নিয়ে যে তহবিল গঠন করা হয়েছে সেটি তছরুপ করা হয়েছে।
তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হন। প্রার্থীরা জানান, ২৬ ডিসেম্বর তাঁদের তৃণমূল বিএনপির অফিসে ডেকে দিনভর অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। তাঁদের সঙ্গে নেতারা দেখা করেননি। অফিসের লোকজন তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
তৃণমূল বিএনপির যশোর-৫ আসনের সংসদ পদপ্রার্থী মেজর (অব.) মোস্তফা মনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আজ বলতে চাই, দেশের সাংবিধানিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য যে প্রত্যয় করে যাচ্ছি তাতে বাধাগ্রস্ত করেছেন তৈমূর ও শমশের। তাঁরা আমাদের মাঠে নামিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। এখন আমরা অসহায়। আমাদের এখন নির্বাচনী মাঠে থাকার কথা। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ জানাতে এখানে এসেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।’ তাঁরা বলবেন, ‘আমরা বিচ্ছিন্ন দল। কিন্তু আমি বলতে চাই, আমরা এতজন প্রার্থী বিচ্ছিন্ন নই। তাঁরা দলের ফান্ড থেকে টাকা তছরুপ করে আমাদের জামা-কাপড় খুলিয়ে তামাশার পাত্র বানিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি বলতে চাই, এর বিচার না হলে আমরা আমরণ অনশনে নামব।’
সভাপতির বক্তব্যে ইমদাদুল হক সেলিম বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাই। কিন্তু আমাদের সভাপতি ও মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। তাঁরা তাঁদের মতো করে বিএনপি ও অন্যান্য দলের সঙ্গে আঁতাত করছেন। তাতে আমরা বিপদে পড়েছি। তাঁরা শুধু নিজেদের নির্বাচিত করলে হবে না। আমাদের নিয়েই নির্বাচন করে জিততে হবে।’
তিনি জানান, তৃণমূল বিএনপি থেকে সরাসরি তাঁদের কোনো বিষয় জানানো হয়নি। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনের আগমুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তাঁরা অকূলপাথারে পড়েছেন। তাঁরা সভাপতি ও মহাসচিবকে বহিষ্কারের আহ্বান জানান।
সভায় বক্তব্য আরও দেন নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রিন্সিপাল আব্দুল ওহাব হামিদি, দীপক চন্দ্র গুপ্ত (ময়মনসিংহ-৪), কাজী সিরাজুল ইসলাম (ঢাকা-৬), জামাল শেখ (গোপালগঞ্জ-৩), আল মামুন (নেত্রকোনা-৪), মো. মাইনুদ্দিন (কুমিল্লা-২), ইউনুস সোহাগ (বরগুনা-১) প্রমুখ।
বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘সরকার যখন খুব বিপদে পড়ে, আর সামলাতে পারছে না, টালমাটাল অবস্থা এবং মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকে। তারা দেখাতে চায় যে, এরা সবাই আমার সঙ্গে আছে। আমরা এই সরকারকে সমর্থন করেছি ঠিক, কিন্তু অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী কোনো কাজ করলে আমরা এই...
৫ মিনিট আগেএকটি মিউচুয়াল ফান্ডের ৪ কোটি টাকা বিনিয়োগে অনিয়ম হওয়ায় এক মাসের মধ্যে ৯ কোটি টাকা জমা দিতে হবে ফান্ডটির ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে। তা না হলে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি
২৫ মিনিট আগেএবি পার্টির সভাপতি বলেন, ‘এটা খুব দুঃখজনক, সরকারের ক্রেডিবিলিটি এখন অনেক কমে গেছে। গতকাল উপদেষ্টারা ৯ ঘণ্টা আটকে ছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এর মানে জনগণের ক্ষোভ উপদেষ্টাদের প্রতি তৈরি হয়েছে। এর আগেও যমুনায় একজন উপদেষ্টাকে বোতল নিক্ষেপ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা যারা...
১ ঘণ্টা আগেদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে আর যেন কোনো অস্পষ্টতা না থাকে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দলের তরফ থেকে আমরা সেটা উনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) বলে এসেছি। তিনি এটুকু বলেছেন, সেই ব্যবস্থাটা নেবেন। সবচেয়ে
২ ঘণ্টা আগে