নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যে ধারায় তাকে অব্যবহিত দেওয়া হয়েছে তা গণতান্ত্রিক নয় উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সদ্য সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য আমরা লড়াই করব কিন্তু সেখানে আমার দলের মধ্যে কোনো গণতন্ত্র থাকবে না তাহলে আমরা কি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করব।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ দলীয় সব পদ থেকে রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই অব্যাহতির বিষয়ে রাঙ্গা বলেন, ‘আমার কি দোষ? আমাকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হলো? দলে যেহেতু গণতন্ত্র নেই তাহলে আমরা বাহিরে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব?
তাহলে কি দলে গণতন্ত্র নেই সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আমি শুধু চাই দল দ্বিখণ্ডিত না হোক। আশপাশের অকর্মা লোকজন চেয়ারম্যানকে কুপরামর্শ দিয়ে তাকে দল থেকে অব্যবহিত দিয়ে দলকে বিভক্ত করছে।’
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমি থাকি না থাকি সেইটা গুরুত্বপূর্ণ না। আর আমি এতে মোটেও অখুশি না। কিন্তু আমি চাই না দলে বিভক্তি হোক। দলের দুর্নাম হোক। সুতরাং আমি চাই দলটা সুষ্ঠুভাবে চলুক। তা নাহলে জাতীয় পার্টিতে আমি থাকব না।’
দলকে স্বাভাবিক গতিতে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এবং গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় এমন ধারার পরিবর্তন করা না হলে তিনি এই দলে থাকবেন না বলে উল্লেখ করেন রাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘এই দল আমি করব না। অন্য কোনো দলও আমি করব না।’
তবে সংবাদ সম্মেলন শেষ রাঙ্গা বলেন, ‘যদি দল থেকে ডাকা হয় তাহলে তিনি দলে ফিরবেন।’
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র যারা নেতা আছেন কোন দলের সঙ্গে তারা এরেঞ্জ করবেন কি করবেন না। এইটা উনাদের বিষয়। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন তারা কার সঙ্গে নির্বাচন করবে।’
এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য রাঙ্গার বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপার একটি সূত্র। জাপার যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম আজকের পত্রিকাকে এই খবর নিশ্চিত করে জানান, বুধবার পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন রাঙ্গাকে। এরই মধ্যে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে বলে জানান তিনি।
দলের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এমন সিদ্ধান্তকে ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে জাপা চেয়ারম্যানের ভূমিকার সমালোচনা করেন রাঙ্গা। গতকাল এই বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উনি (জি এম কাদের) স্বপ্নে দেখে ওইটা (অব্যাহতি) দিয়ে দিয়েছেন। ওনার ইচ্ছেমতো মনের মাধুরী মিশিয়ে যখন যাকে দলে নিয়ে আসবেন, যখন যাকে ইচ্ছা বিতাড়ন করবেন। এইবার আমি এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করলাম। আমি দেখব উনি কোন আইনে এটা করেছেন।’
রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য, পরিবহন মালিক সমিতির নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের পদেও রয়েছেন। তিনি একসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ জীবিত থাকাকালে ২০১৮ সালে রাঙ্গাকে দলের মহাসচিব করা হয়।
যে ধারায় তাকে অব্যবহিত দেওয়া হয়েছে তা গণতান্ত্রিক নয় উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সদ্য সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য আমরা লড়াই করব কিন্তু সেখানে আমার দলের মধ্যে কোনো গণতন্ত্র থাকবে না তাহলে আমরা কি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করব।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ দলীয় সব পদ থেকে রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই অব্যাহতির বিষয়ে রাঙ্গা বলেন, ‘আমার কি দোষ? আমাকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হলো? দলে যেহেতু গণতন্ত্র নেই তাহলে আমরা বাহিরে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব?
তাহলে কি দলে গণতন্ত্র নেই সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আমি শুধু চাই দল দ্বিখণ্ডিত না হোক। আশপাশের অকর্মা লোকজন চেয়ারম্যানকে কুপরামর্শ দিয়ে তাকে দল থেকে অব্যবহিত দিয়ে দলকে বিভক্ত করছে।’
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমি থাকি না থাকি সেইটা গুরুত্বপূর্ণ না। আর আমি এতে মোটেও অখুশি না। কিন্তু আমি চাই না দলে বিভক্তি হোক। দলের দুর্নাম হোক। সুতরাং আমি চাই দলটা সুষ্ঠুভাবে চলুক। তা নাহলে জাতীয় পার্টিতে আমি থাকব না।’
দলকে স্বাভাবিক গতিতে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এবং গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় এমন ধারার পরিবর্তন করা না হলে তিনি এই দলে থাকবেন না বলে উল্লেখ করেন রাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘এই দল আমি করব না। অন্য কোনো দলও আমি করব না।’
তবে সংবাদ সম্মেলন শেষ রাঙ্গা বলেন, ‘যদি দল থেকে ডাকা হয় তাহলে তিনি দলে ফিরবেন।’
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র যারা নেতা আছেন কোন দলের সঙ্গে তারা এরেঞ্জ করবেন কি করবেন না। এইটা উনাদের বিষয়। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন তারা কার সঙ্গে নির্বাচন করবে।’
এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য রাঙ্গার বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপার একটি সূত্র। জাপার যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম আজকের পত্রিকাকে এই খবর নিশ্চিত করে জানান, বুধবার পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন রাঙ্গাকে। এরই মধ্যে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে বলে জানান তিনি।
দলের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এমন সিদ্ধান্তকে ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে জাপা চেয়ারম্যানের ভূমিকার সমালোচনা করেন রাঙ্গা। গতকাল এই বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উনি (জি এম কাদের) স্বপ্নে দেখে ওইটা (অব্যাহতি) দিয়ে দিয়েছেন। ওনার ইচ্ছেমতো মনের মাধুরী মিশিয়ে যখন যাকে দলে নিয়ে আসবেন, যখন যাকে ইচ্ছা বিতাড়ন করবেন। এইবার আমি এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করলাম। আমি দেখব উনি কোন আইনে এটা করেছেন।’
রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য, পরিবহন মালিক সমিতির নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের পদেও রয়েছেন। তিনি একসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ জীবিত থাকাকালে ২০১৮ সালে রাঙ্গাকে দলের মহাসচিব করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন প্রশ্নে ঐকমত্য হয়নি। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে বিএনপি, সিপিবিসহ কয়েকটি দল এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৭ মিনিটে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুলশানের বাসভবন ফিরোজা...
১১ ঘণ্টা আগেইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যেখানে ইউপি মেম্বার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে রাষ্ট্রপতি। তবে স্থানীয় নির্বাচন যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয় তাহলে জাতীয় ঐক্যমতে কমিশনের এই প্রস্তাবে ঐক্যমত্য পোষণ করবে
১১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন হলে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা কমে যাবে, এতে সরকারের ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে মনে করে বিএনপি। যে কারণে দলটি এনসিসি ধারণার সঙ্গে একমত নয় বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন উদ্দিন আহমদ।
১১ ঘণ্টা আগে