নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মতের ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বলতে চাই—বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবে। এসব মতভেদ দূর করতে আমাদের আলোচনা চলবে। জাতীয় কোনো ইস্যুতে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীতে বিএনপির বিজয় র্যালির উদ্বোধনকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিজয় র্যালি বের হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দেশব্যাপী পালিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিন) বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিজয়ে র্যালির উদ্বোধনকালে তারেক রহমান বলেন, আজকের এই বিজয় মিছিল দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির মিছিল, এই মিছিল গনতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা। তিনি বলেন, ‘আজকের এই মিছিল অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা। তবে এ যাত্রা কিন্তু খুব সহজ নয়। ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থা যাতে আলোর পথে অন্ধকারের রেখা টেনে দিতে না পারে, এ ব্যাপারে দেশের গণতন্ত্রকামী ভাই-বোনদের আমি সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’
এ সময় জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে স্বাগত জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের অভিপ্রায় পূরণে এসব উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। মানুষের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যাত্রাপথে বর্তমানে আমরা ইতিহাসের যে সন্ধিক্ষণ পার করছি, এর জন্য দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।’
দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সবার সহযোগিতা ও সমর্থন চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের আরও সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের কাছে আহ্বান রাখছি, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের সময় আমরা নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ ছিল না। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পুরো বাংলাদেশকে বর্বর বন্দিশালা বানানো হয়েছিল। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকায় এমন হয়েছিল।’
তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের সামনে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ এসেছে। চব্বিশের আন্দোলনের কারণে আসা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করা গেলে এবং জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পাবে না। দেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না। আর কোনো রক্তাক্ত চব্বিশ আমাদের দেখতে হবে না।’
সমাবেশে গণতন্ত্র উদ্ধার ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলব, সেই শপথ নিই। আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করব।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে র্যালিপূর্ব সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যাতে নির্বাচন না হয় ও নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘আজকে ফ্যাসিবাদের পরাজয় ও গণতন্ত্রের বিজয়ে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। যখনই গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে, দেশের মানুষ তা মোকাবিলা করেছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনের সময় ঘোষণা বিএনপি ও দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এই সফলতা এক দিন বা ৩৬ দিনের অর্জন নয়। ১৭ বছরের আন্দোলনের অর্জন। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এদিকে জুলাই ঘোষণায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম না আসায় খানিকটা অনুযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, এখানে কার্পণ্য করা হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা কোনো বিভেদ চাই না। যারা বিভেদ চাচ্ছে, তারা বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি নয়। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য নিয়ে দেশকে গড়ে তুলব, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’
মতের ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বলতে চাই—বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবে। এসব মতভেদ দূর করতে আমাদের আলোচনা চলবে। জাতীয় কোনো ইস্যুতে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীতে বিএনপির বিজয় র্যালির উদ্বোধনকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিজয় র্যালি বের হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দেশব্যাপী পালিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিন) বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিজয়ে র্যালির উদ্বোধনকালে তারেক রহমান বলেন, আজকের এই বিজয় মিছিল দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির মিছিল, এই মিছিল গনতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা। তিনি বলেন, ‘আজকের এই মিছিল অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা। তবে এ যাত্রা কিন্তু খুব সহজ নয়। ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থা যাতে আলোর পথে অন্ধকারের রেখা টেনে দিতে না পারে, এ ব্যাপারে দেশের গণতন্ত্রকামী ভাই-বোনদের আমি সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’
এ সময় জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে স্বাগত জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের অভিপ্রায় পূরণে এসব উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। মানুষের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যাত্রাপথে বর্তমানে আমরা ইতিহাসের যে সন্ধিক্ষণ পার করছি, এর জন্য দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।’
দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সবার সহযোগিতা ও সমর্থন চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের আরও সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের কাছে আহ্বান রাখছি, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের সময় আমরা নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ ছিল না। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পুরো বাংলাদেশকে বর্বর বন্দিশালা বানানো হয়েছিল। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকায় এমন হয়েছিল।’
তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের সামনে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ এসেছে। চব্বিশের আন্দোলনের কারণে আসা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করা গেলে এবং জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পাবে না। দেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না। আর কোনো রক্তাক্ত চব্বিশ আমাদের দেখতে হবে না।’
সমাবেশে গণতন্ত্র উদ্ধার ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলব, সেই শপথ নিই। আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করব।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে র্যালিপূর্ব সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যাতে নির্বাচন না হয় ও নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘আজকে ফ্যাসিবাদের পরাজয় ও গণতন্ত্রের বিজয়ে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। যখনই গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে, দেশের মানুষ তা মোকাবিলা করেছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনের সময় ঘোষণা বিএনপি ও দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এই সফলতা এক দিন বা ৩৬ দিনের অর্জন নয়। ১৭ বছরের আন্দোলনের অর্জন। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এদিকে জুলাই ঘোষণায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম না আসায় খানিকটা অনুযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, এখানে কার্পণ্য করা হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা কোনো বিভেদ চাই না। যারা বিভেদ চাচ্ছে, তারা বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি নয়। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য নিয়ে দেশকে গড়ে তুলব, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনরন বৈঠক হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেদলের যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র ১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী শুক্রবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বৈঠকে।
৪ ঘণ্টা আগেইউনাইটেড লিবারেল পার্টি (ইউএলপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। ১২-দলীয় জোটের সদস্য লেবার পার্টি বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে ‘ইউনাইটেড লিবারেল পার্টি (ইউএলপি)’ নামে দলটি আত্মপ্রকাশ করে।
৪ ঘণ্টা আগেসংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র ছিল অপূর্ণাঙ্গ বিবৃতির মতো। এতে গণমানুষের প্রত্যাশার পরিপূর্ণ প্রতিফলন হয়নি। ঘোষণাপত্রে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের কথা বলা হলেও ১৯৪৭ সালের আজাদিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের টার্নিং পয়েন্ট ছিল নয় দফা, যা পরে এক দফায় রূপা
৫ ঘণ্টা আগে