Ajker Patrika

আমি আর ডামির নির্বাচনী তামাশা দেশবাসী ধরে ফেলেছে: বাম গণতান্ত্রিক জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ২০১৮ সালে নিশি ভোটে এবং আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা ডামি নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতা দখলে রাখতে তৎপর জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, আমি আর ডামির নির্বাচনী তামাশা দেশবাসী ধরে ফেলেছে। 

আজ শনিবার দুপুরে ‘ভোট ডাকাতির ৫ বছর; কালো দিবস’—উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলা নেতারা। বাম গণতান্ত্রিক জোট এই কর্মসূচির আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয় নগর ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। 

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিরোধী দলহীন এই একতরফা নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখানোর অপচেষ্টা হিসেবেই যে এই আমি আর ডামির নির্বাচনী তামাশা তা দেশবাসী ধরে ফেলেছে। ফলে ভোটের মাঠে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই। সরকার চালাকি করে জনগণকে ধোঁকা দিতে গিয়ে এখন নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে পড়েছে। যার প্রকাশ ঘটছে সারা দেশে নৌকা আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি-খুনোখুনির মধ্য দিয়ে। 

তারা আরও বলেন, এই নির্বাচন যে নির্লজ্জ প্রহসন তা ভোটের প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া দেখলেই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। একদিকে আওয়ামী নৌকার প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী, ১৪ দলের উচ্ছিষ্ট ভোগী শরিকদের প্রার্থী, সুবিধাভোগী জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী সবাইকেই গণভবন থেকে শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিচ্ছে। 

সমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরাআওয়ামী লীগের সমালোচনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ যে বর্তমানে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী, ব্যাংক ডাকাত, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারীদের পাহারাদার দল এবং পার্লামেন্ট কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে তা মন্ত্রী এমপিদের এবং সরকার দলীয় প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বৃদ্ধির বিবরণী দেখলেই পরিষ্কার বুঝা যায়। এবারে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে ৮৭% কোটিপতি রয়েছে। পাতানো নির্বাচনের সংসদে এই কোটিপতি প্রার্থীরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, লুটপাটকারী, পাচারকারীদের স্বার্থ রক্ষা করবে। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে সরকার দেশকে এক ভয়ংকর সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। নির্বাচন বন্ধ করে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্যথায় দেশ এক ভয়ানক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটে নিপতিত হবে। 

বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ মার্ক্সবাদী নেতা জয়দীপ ভট্টাচার্য, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত