‘মার্চ ফর ইউনিটি’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘জুলাই প্রক্লেমেশন’ জারি করতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁরা সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার দাবিও জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। এ দিন সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়। এ সময় তাঁরা নানান স্লোগান দেন। জুলাই বিপ্লবের ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত করা হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘যদি আমাদের ন্যায্যতার ভিত্তি, আমাদের রক্তের কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে আগত প্রক্লেমেশনে না পাই, তাহলে আমরা বসে থাকব না। সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে সক্রিয় হোন, যদি তা না পারেন তাহলে জুলাইয়ের বাঘের বাচ্চারা আইন হাতে তুলে নেবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘খুনি হাসিনার আর এই দেশে পুনর্বাসন হবে না। গত ১৬ বছর খুনি হাসিনা প্রত্যেকটা রাজনৈতিক শক্তিকে নির্যাতন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা এই হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। সরকারকে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয় নাই, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হয় নাই। আমরা এখনো ১৬ বছরের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে পারি নাই। এত দিন আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কোনো ঘোষণাপত্র ছিল না। ১৫ জানুয়ারি মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই, সংগ্রাম জারি থাকবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের সামনে এখনো খুনিরা উন্মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে। এদের বিচার হতে হবে। গোপালগঞ্জে কীভাবে এখনো আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়। পুলিশের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা নিরাপত্তা দিতে না পারলে ওই চেয়ারে বসে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। যে স্বপ্ন নিয়ে এত মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে সেই রক্তের সঙ্গে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করার চেষ্টা করে তাদের সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।’
গণপরিষদ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ প্রক্লেমেশন চায়, নতুন সংবিধান চায়, সংস্কার চায়। নতুন সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হবে। আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। এই গণপরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আক্ষেপ করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আমরা জনগণের রাষ্ট্র গড়তে পারি নাই।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ৫ মাস পরেও জুলাই প্রক্লেমেশনের কোনো উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উদ্যোগ নেওয়ার পর সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারকে বলতে চাই, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে প্রক্লেমেশন ঘোষণা করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই কিন্তু এই প্রক্লেমেশন নিয়ে আমরা কোনো কালক্ষেপণ চাই না। আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের প্রতি ন্যায়বিচার হয় নাই।’
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে গত দুদিন ধরে নানা আলোচনা চলেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। ঘোষণাপত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানান তর্কবিতর্ক শুরু হলে সরকার ঘোষণা দেয়, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে। পরে গতকাল সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত আল মাহমুদ, রিফাত রশীদ, মাহিন সরকার, নুসরাত তাবাসসুম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নাঈম আবেদীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা, শহীদ মুগ্ধর বাবাসহ আরও অনেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘জুলাই প্রক্লেমেশন’ জারি করতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁরা সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার দাবিও জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। এ দিন সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়। এ সময় তাঁরা নানান স্লোগান দেন। জুলাই বিপ্লবের ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত করা হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘যদি আমাদের ন্যায্যতার ভিত্তি, আমাদের রক্তের কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে আগত প্রক্লেমেশনে না পাই, তাহলে আমরা বসে থাকব না। সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে সক্রিয় হোন, যদি তা না পারেন তাহলে জুলাইয়ের বাঘের বাচ্চারা আইন হাতে তুলে নেবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘খুনি হাসিনার আর এই দেশে পুনর্বাসন হবে না। গত ১৬ বছর খুনি হাসিনা প্রত্যেকটা রাজনৈতিক শক্তিকে নির্যাতন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা এই হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। সরকারকে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয় নাই, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হয় নাই। আমরা এখনো ১৬ বছরের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে পারি নাই। এত দিন আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কোনো ঘোষণাপত্র ছিল না। ১৫ জানুয়ারি মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই, সংগ্রাম জারি থাকবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের সামনে এখনো খুনিরা উন্মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে। এদের বিচার হতে হবে। গোপালগঞ্জে কীভাবে এখনো আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়। পুলিশের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা নিরাপত্তা দিতে না পারলে ওই চেয়ারে বসে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। যে স্বপ্ন নিয়ে এত মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে সেই রক্তের সঙ্গে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করার চেষ্টা করে তাদের সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।’
গণপরিষদ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ প্রক্লেমেশন চায়, নতুন সংবিধান চায়, সংস্কার চায়। নতুন সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হবে। আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। এই গণপরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আক্ষেপ করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আমরা জনগণের রাষ্ট্র গড়তে পারি নাই।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ৫ মাস পরেও জুলাই প্রক্লেমেশনের কোনো উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উদ্যোগ নেওয়ার পর সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারকে বলতে চাই, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে প্রক্লেমেশন ঘোষণা করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই কিন্তু এই প্রক্লেমেশন নিয়ে আমরা কোনো কালক্ষেপণ চাই না। আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের প্রতি ন্যায়বিচার হয় নাই।’
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে গত দুদিন ধরে নানা আলোচনা চলেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। ঘোষণাপত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানান তর্কবিতর্ক শুরু হলে সরকার ঘোষণা দেয়, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে। পরে গতকাল সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত আল মাহমুদ, রিফাত রশীদ, মাহিন সরকার, নুসরাত তাবাসসুম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নাঈম আবেদীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা, শহীদ মুগ্ধর বাবাসহ আরও অনেকে।
গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা নতুন দল গঠন করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশের সবখানে। উদ্যোক্তারা বলছেন, সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষার্ধেই আত্মপ্রকাশ করবে নতুন দল। নাম-প্রতীক এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে নাম যা-ই হোক, দলটির আদর্শ হবে ‘মধ্যম পন্থা’। চূড়ান্ত ডান বা বাম—কোনো দিকেই...
২৪ মিনিট আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমানের লাশ পেয়েছে তাঁর পরিবার। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
৩৪ মিনিট আগেপতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত বিচারের অভিপ্রায়ে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার পাশাপ
৮ ঘণ্টা আগেজনভোগান্তি লাঘব এবং দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবিতে চলতি মাসেই মাঠের কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা বিএনপির। দেশব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করতে গেলে শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক অটুট রাখা জরুরি বলে মনে করছে দলটি। এ লক্ষ্যে শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। তাদের সঙ্গে
৯ ঘণ্টা আগে