কর্মিসভার অনুষ্ঠানে হামলা ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। সভায় হামলাকারীদের উদ্দেশে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বলেছেন, ‘আমার ছেলেদের কর্মিসভায় চেয়ার-টেবিল ভাঙার কাজটা খুবই অন্যায় হয়েছে, ঠিক হয় নাই। এ জন্য বলছি, মাফ চাইয়ো, না হলে কিন্তু খবর আছে, অসুবিধায় পড়বা!’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুর্চি মোড়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। গতকাল সোমবার একই স্থানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মিসভায়, আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারী একদল লোক গিয়ে সভাস্থলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক মো. আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল সোমবার বিকেলে কর্মিসভার প্রস্তুতি চলাকালে আওয়ামী লীগ পরিচয়দানকারী কয়েকজন এসে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বলে, এখানে শুধু তাদের মিটিং হবে। আর কারও মিটিং হবে না। সে সময় তারা আমাদের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার প্রতিবাদ সভায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এক মাঘে কিন্তু শীত যায় না। বারবার মাঘ ফিরে আসে। দেশ কী অবস্থায় আছে, কেমন চলছে, এইটা আমার বোইনেরে জিজ্ঞেস করেন গিয়ে। এখানে গুন্ডামি করতে আইসেন না।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘তারা সারের দাম কমানোর কথা দিয়েছিল, কমায়নি। পাটের দাম দেওয়ার কথা ছিল দেয় নাই। সে জন্য আমি আওয়ামী লীগ ছেড়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গামছার দল বানাইছি। আজ দেশে পানি নাই, নৌকা চলে না। বাদামের নৌকাও না, বইঠার নৌকাও না, লগির নৌকাও না। দুই চারটা যা আছে সেগুলো ইঞ্জিনের। সেগুলাকে নৌকা বলে না, ট্রলার বলে। ট্রলার আর ডলারে দেশ খেয়ে ফেলেছে। নৌকার নেতা যদি শেখ হাসিনা না হতেন, তাহলে নৌকা আমি পাড়া দিয়া ডুবিয়ে দিতাম।’
বীর প্রতীক কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন আপনারা, আমি ভাইসা আসি নাই। মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে, পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে এসেছি, আমি সেই মানুষ। বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর একটা নেতাও ছিল না প্রতিবাদ করার। প্রতিবাদ করতে বেরিয়ে ১৬ বছর দেশে ফিরি নাই। সেই ফল হিসেবে আপনার নৌকা মার্কা সরকারে।’
বিএনপির উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনারা আন্দোলন করছেন করেন, কে না করছে? কিন্তু গাড়িঘোড়া পুড়াইয়েন না। আপনারা ২৮ তারিখের পর যে ক্ষতিগ্রস্ত হইছেন, আট বছরেও এই ক্ষতি পোষাতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আমেরিকার সাপোর্ট নিয়ে সরকারে যাবেন, আমরা আমেরিকার সাপোর্ট কেন নিতে যাব। ওরা তো মুসলিম হত্যাকারী! কী ভাবে আমেরিকা? ওদের পক্ষ নিলে বাংলাদেশের জনগণ বিএনপি, ধানের শীষে ভোট দিবে? আমি তো মনে করি না! আমেরিকার অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিএনপি একটা কথাও বলে না, এ জন্যই বিএনপিকে কেউ ভোট দিবে না।’
দেশের প্রধান তিন দলকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি জো বাইডেনকেও বলি, আপনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, আপনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট না। আপনার রাষ্ট্রদূতকে এত দৌড়াদৌড়ি করতে দিচ্ছেন কেন? আপনারা বলছেন, আপনারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আছেন। তাহলে তিন দলকে দাওয়াত দিলেন কেন?’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘দুষ্ট লোকেরা, ঘুষখোরেরা, দুর্নীতিবাজেরা দেশটাকে যে নোংরা করেছে, তা গামছা দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে চাই। একজন শ্রমিক যেমন সারা দিন পরিশ্রম করে গোসলের পর গামছা দিয়ে শরীরটা পরিষ্কার করে, তেমনভাবে এই দেশটাকে গামছা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে চাই আমি।’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক মো. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ারসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
কর্মিসভার অনুষ্ঠানে হামলা ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। সভায় হামলাকারীদের উদ্দেশে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বলেছেন, ‘আমার ছেলেদের কর্মিসভায় চেয়ার-টেবিল ভাঙার কাজটা খুবই অন্যায় হয়েছে, ঠিক হয় নাই। এ জন্য বলছি, মাফ চাইয়ো, না হলে কিন্তু খবর আছে, অসুবিধায় পড়বা!’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুর্চি মোড়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। গতকাল সোমবার একই স্থানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মিসভায়, আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারী একদল লোক গিয়ে সভাস্থলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক মো. আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল সোমবার বিকেলে কর্মিসভার প্রস্তুতি চলাকালে আওয়ামী লীগ পরিচয়দানকারী কয়েকজন এসে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বলে, এখানে শুধু তাদের মিটিং হবে। আর কারও মিটিং হবে না। সে সময় তারা আমাদের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার প্রতিবাদ সভায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এক মাঘে কিন্তু শীত যায় না। বারবার মাঘ ফিরে আসে। দেশ কী অবস্থায় আছে, কেমন চলছে, এইটা আমার বোইনেরে জিজ্ঞেস করেন গিয়ে। এখানে গুন্ডামি করতে আইসেন না।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘তারা সারের দাম কমানোর কথা দিয়েছিল, কমায়নি। পাটের দাম দেওয়ার কথা ছিল দেয় নাই। সে জন্য আমি আওয়ামী লীগ ছেড়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গামছার দল বানাইছি। আজ দেশে পানি নাই, নৌকা চলে না। বাদামের নৌকাও না, বইঠার নৌকাও না, লগির নৌকাও না। দুই চারটা যা আছে সেগুলো ইঞ্জিনের। সেগুলাকে নৌকা বলে না, ট্রলার বলে। ট্রলার আর ডলারে দেশ খেয়ে ফেলেছে। নৌকার নেতা যদি শেখ হাসিনা না হতেন, তাহলে নৌকা আমি পাড়া দিয়া ডুবিয়ে দিতাম।’
বীর প্রতীক কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন আপনারা, আমি ভাইসা আসি নাই। মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে, পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে এসেছি, আমি সেই মানুষ। বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর একটা নেতাও ছিল না প্রতিবাদ করার। প্রতিবাদ করতে বেরিয়ে ১৬ বছর দেশে ফিরি নাই। সেই ফল হিসেবে আপনার নৌকা মার্কা সরকারে।’
বিএনপির উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনারা আন্দোলন করছেন করেন, কে না করছে? কিন্তু গাড়িঘোড়া পুড়াইয়েন না। আপনারা ২৮ তারিখের পর যে ক্ষতিগ্রস্ত হইছেন, আট বছরেও এই ক্ষতি পোষাতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আমেরিকার সাপোর্ট নিয়ে সরকারে যাবেন, আমরা আমেরিকার সাপোর্ট কেন নিতে যাব। ওরা তো মুসলিম হত্যাকারী! কী ভাবে আমেরিকা? ওদের পক্ষ নিলে বাংলাদেশের জনগণ বিএনপি, ধানের শীষে ভোট দিবে? আমি তো মনে করি না! আমেরিকার অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিএনপি একটা কথাও বলে না, এ জন্যই বিএনপিকে কেউ ভোট দিবে না।’
দেশের প্রধান তিন দলকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি জো বাইডেনকেও বলি, আপনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, আপনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট না। আপনার রাষ্ট্রদূতকে এত দৌড়াদৌড়ি করতে দিচ্ছেন কেন? আপনারা বলছেন, আপনারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আছেন। তাহলে তিন দলকে দাওয়াত দিলেন কেন?’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘দুষ্ট লোকেরা, ঘুষখোরেরা, দুর্নীতিবাজেরা দেশটাকে যে নোংরা করেছে, তা গামছা দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে চাই। একজন শ্রমিক যেমন সারা দিন পরিশ্রম করে গোসলের পর গামছা দিয়ে শরীরটা পরিষ্কার করে, তেমনভাবে এই দেশটাকে গামছা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে চাই আমি।’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক মো. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ারসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নতুন সহযোগী সংগঠন হিসেবে ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এতে আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল নির্বাচিত হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারকে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিন বিষয় একসঙ্গে চালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
১৮ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ডন। এক সম্পাদকীয়তে তারা বলেছে, কোনো বড় রাজনৈতিক শক্তিকে বাদ দিলে দেশের গণতন্ত্র দুর্বল হবে এবং সেনা হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বাড়বে।
২০ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি ন্যায্য উল্লেখ করে সরকারকে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
২১ ঘণ্টা আগে