Ajker Patrika

জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে: ডা. জাফরুল্লাহ

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জুন ২০২১, ২১: ৪২
জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে: ডা. জাফরুল্লাহ

ঢাকা: সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আজকে হাঁট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত সবকিছু খোলা, শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকে পরীক্ষা নিচ্ছেন না, অটো পাস  দিচ্ছেন, এটা জঘন্য ভুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার  জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের’ ব্যানারে  আয়োজিত এক মানববন্ধনে  এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মানববন্ধন থেকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে ঘোষণা না আসলে জুলাইয়ের শুরুতে শাহবাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। 

আবাসিক হল না খুলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা পরীক্ষা নেবেন, কিন্তু হল খুলবেন না। এর চেয়ে বড় ভুল কি কিছু হতে পারে?   ছাত্ররা কি মাঠে থাকবে নাকি রাস্তায় থাকবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রাম থেকে আসা। হল না খুললে, তারা শহরে এসে  কোথায় থাকবে? প্রশ্ন তুলেন ডা. জাফরুল্লাহ 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহ-ই যথেষ্ট। আমরা শাহবাগের মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করব। উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সত্যটা তুলে ধরব। বাংলাদেশে কত পুলিশ আছে যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেবে না। অন্ধকারের লুকিয়ে থাকলে দেশ তো আরও অন্ধকারে ডুবে যাবে। সুতরাং একটা সংঘবদ্ধ আন্দোলন দরকার।

সরকার সবকিছুতে ‘ভুল পথে হাঁটছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশে দরকার ২০ কোটি ভ্যাকসিন, আর আমরা দু-চার লাখের পেছনে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সরকার সবকিছুতেই ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই বিনা ভোটের ভুল সরকারের সকল সিদ্ধান্তই ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংসদে আজ পরীমণি  নিয়ে আলোচনা হয় কিন্তু শিক্ষা নিয়ে একটা কথাও হয় না। বর্তমান সরকার বিনা ভোটের সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার। এই সরকার সব ভুল সিদ্ধান্ত নেবে, এটাই স্বাভাবিক।

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের একজন বিদ্বান শিক্ষামন্ত্রী আছেন, উনি কিছুদিন আগে বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে তার ওপরে নাকি চাপ নাই, কেউ চাচ্ছে না এগুলো খোলা হোক। অথচ তিনি দেখছেন না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে কিন্ডার গার্টেনের একজন প্রিন্সিপাল নিজেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে পাওনা শোধ করেছেন, তারপর গ্রামে গিয়ে বাজারে চা বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, এমনকি অনেক শিক্ষিত মানুষ তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আজকে তারা ভ্যান গাড়ি চালায়, রিকশা চালায়। বাংলাদেশের শিক্ষার চূড়ান্ত অপমান হচ্ছে, আর বসে বসে ঢুগঢুগি বাজায় যে, আমরা উন্নতির মহাসড়কে উঠে গেছি।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, অভিভাবকদের অনেকে  ফেসবুকে লিখেছেন, কচি কিশোর, কেবল যৌবনে পা দিচ্ছে, তার অনলাইন ক্লাসের নামে ইন্টারনেটে ঢুকে আজ সমস্ত অশ্লীলতার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। আমরা কী প্রজন্ম তৈরি করছি? শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছেন, ছাত্রদের ধ্বংস করে ফেলছেন, শিক্ষকদের শেষ পর্যন্ত ভিক্ষা-ভিত্তিতে নামালেন।

তিনি আরও বলেন, এমন একটি পরিস্থিতির প্রতিকার দরকার। এই সমাবেশই শেষ নয়, আমরা পুরো ঢাকা শহরের হাঁটব আর দাবি করব, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চাই। ছাত্রদের বাঁচাতে চাই, দেশ বাঁচাতে চাই। আর দেশ যারা ধ্বংস করছে, তাদের ধ্বংস চাই। বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের নিয়ে আমরা রাজপথে নামব।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা জানি, একটি জাতিকে যদি ধ্বংস করতে হয়, তাহলে তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হবে। তরুণদের মেধাবিকাশের পথকে রুদ্ধ করতে হবে। তাহলেই সেই জাতি আর সামনে এগোতে পারবে না, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। আজ যে কাজটা হচ্ছে, এটা আত্মঘাতী। আমি এর কোনো কারণ খুঁজে পাই না।

অনলাইন ক্লাস শহর ও গ্রামের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্য তৈরি করছে দাবি করে তিনি বলেন, অনলাইনে ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের অনেকের স্মার্টফোন বা ডিভাইস নেই, কারও ডিভাইস থাকলেও সেখানে ইন্টারনেটের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এই বৈষম্য দিন দিন  আরও প্রকট হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ছেলে-মেয়েরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের প্রতি এই বিমাতাসুলভ আচরণের পরিণতি ভয়ানক হবে।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া বলেন, আজকে সরকার মনে করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়বে এবং সেই বিক্ষোভ নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মতো ছড়িয়ে পড়বে। তাহলে সরকার পালাবার পথও খুঁজে পাবে না। সেই জন্য সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  বন্ধ করে রেখেছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলতে চাই, ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকের ব্যানারে আজকে আমরা রিহার্সাল দিলাম।  আমরা সরকারকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, ৩০ জুনের মধ্যে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা না দেওয়া হয়, তাহলে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে আমরা বাধ্য হব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিতে। তখন কিন্তু আপনার সঙ্গে আমাদের খেলা হবে।   সেই খেলাতে আপনি আসেন, সেটা আমরা চাই না। আমরা চাই, দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেন।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বক্তব্য রাখেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি, যে কেউ লাথি দিতে পারে: হাসনাত আবদুল্লাহ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতিহাসকে যেন আর ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। আওয়ামী লীগ এখন ডেড চ্যাপটার। এটা এখন মরা হাতি—এটাকে এখন যে ইচ্ছা, সে লাথি দিতে পারে। তবে আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে, না হলে ঝামেলা হতে পারে।’

আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘ব্যুরোক্রেসিকে গতিশীল করতে হবে। তারা গতিশীল না হলে যে ক্ষোভ জমছে, তাতে বিস্ফোরণ হবেই। আমলাতন্ত্র ঠিক না করতে পারলে, যেই ক্ষমতায় আসুক, ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৪৭
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হক হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এনসিপি এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাটওয়ারী। তাঁর দাবি, ঘোষণা অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদেরও রাখতে হবে। ওই দিন এনসিপি সনদে সই করবে বলেও জানান তিনি।

পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, জুলাই সনদ বর্তমানে আইন কমিশনে আছে। আমরা দেখতে চাই ড. আসিফ নজরুল স্যার কোনো টালবাহানা ছাড়াই জনগণের পক্ষে থেকে দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে শহীদ মিনারে আসবেন।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া জুলাই শহীদ ও জনগণের বড় অর্জন। জুলাই সনদ সই না করার কারণে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। তবে রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে অবস্থান নিয়েছে এনসিপি। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে এর সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।’

এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাহাত্তরের পচা সংবিধান দিয়ে এ দেশ আর চলতে পারে না। এ সংবিধান আমাদের ভাইদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে।’

এই নেতা বলেন, ‘রক্তের ট্যাংকার দিয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে, বুলেট রেভল্যুশনের পর ব্যালট রেভল্যুশনের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। দলীয় দাস হিসেবে কেউ সংস্কার রুখতে চাইলে সেফ এক্সিট পাবে না তারা, মানুষ তাদের বিচার করবেই।’

এনসিপি সরকার গঠন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কারণ, পেছনের দরজা দিয়ে এনসিপি ক্যান্টনমেন্টে যাবে না, কোনো অ্যাম্বাসিতেও যাবে না। তাই মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবে।’

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অথর্ব নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যে লাউ সেই কদুর নির্বাচন চায় না এনসিপি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী বিরোধী নাটক করছে। তারা একদল ভারতে, আরেক দল পাকিস্তানে পা দিয়ে রেখেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যারা গণভোটকে ভয় পায়, তারা গণতন্ত্র মানে না: মুজিবুর রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মুজিবুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মুজিবুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

যারা গণভোটকে ভয় পায়, তারা গণতন্ত্র মানে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজার এলাকায় জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে আয়োজন করা হয় এই বিক্ষোভ সমাবেশ।

মুজিবুর রহমান বলেন, যারা গণভোটকে ভয় করে, তারা মানুষের অধিকার স্বীকার করতে চায় না, তারা দলীয় স্বার্থকে চরিতার্থ করতে চায়। দল-জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অবশ্যই গণভোটের দাবিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘যে সনদ ঘোষণা করা হয়েছে, সেটিকে সাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি প্রতিষ্ঠিত করা না হয়, ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরাচার আবার আবির্ভাব হলে জুলাইয়ে যারা আন্দোলন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। সে জন্য আমরা বলতে চাই, অনতিবিলম্বে নভেম্বরের মধ্যে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, অনলাইনের বদৌলতে ২৮ অক্টোবরে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগ সরকার...সারা দুনিয়ার মানুষ সেদিন দেখেছিল। শেখ হাসিনা এই মামলাকে মেরে ফেলেছে, এই মৃত মামলাকে পুনরায় জীবিত করতে হবে এবং যথোপযুক্ত কায়দায় তার বিচার করতে হবে।’

দলের ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি আতিকুর রহমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৮
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

গণভোটে পাস হওয়া জুলাই জাতীয় সনদের প্রস্তাবগুলো সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে অনুমোদন না করলে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ করেছে, এর কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের সামনে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

এর আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই কার্যক্রম শেষ করায় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বিএনপির এ নেতা। একই সঙ্গে কমিশন ‘জাতীয় অনৈক্যের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে’ বলেও ধন্যবাদের সুরে অভিযোগ করেন তিনি।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এখানে একটা নতুন বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে, সংবিধান সংস্কার পরিষদ নামের একটা আইডিয়া এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে, যেটা আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের টেবিলে ছিল না, আলোচিত হয়নি। এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্য হয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আশ্চর্য হওয়ার বিষয়, তাঁরা একটা টাইম লিমিট নির্ধারণ করে দিয়েছেন যে, ২৭০ পঞ্জিকা দিন মানে ক্যালেন্ডার ডের মধ্যে এই সমস্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো গৃহীত না হলে অটোমেটিক সেটা সংবিধানে সংযুক্ত হবে—এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার! সংবিধানের কোনো বিষয় সংশোধিত হওয়ার পরে এটা একটা আইন। সেই আইনটা পার্লামেন্টে যথাযথভাবে পাস হওয়ার পরে যখন স্পিকার সই করে রাষ্ট্রপতির কাছে দেবেন, রাষ্ট্রপতি সই হওয়ার পরে সেটা তখন আইন হিসেবে পরিণত হবে। সেটা সংবিধান সংশোধন হোক বা অন্য যেকোনো আইন—অটোমেটিক বা পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না। এগুলো কীভাবে সুপারিশে এল আমি জানি না!

এই আইনগুলো সংশোধন ও সুপারিশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আরও অনেক বিষয় আছে। এখানে কয়েক শ পৃষ্ঠার সংযুক্তি আছে। এগুলো দেখে আমরা খুব শিগগির কালকে অথবা তার পরের দিন বিস্তারিত কথা বলব।’

এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আলোচনা তো চার–পাঁচ দিন হয়েছে। কিন্তু যাহা আলোচনা করিলাম, তাহা এখানে নাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত