নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ হত্যাকারীরা গুম করেছিল। ফলে সেই লাশ কেউ পায়নি। লাশ না থাকলেও সেটাকে কবর বানিয়ে সম্মান দেখানো ইতিহাসের বিকৃতি। আওয়ামী লীগ নেতারা ইতিহাসের এই বিকৃতি বন্ধ করার কথা বলছেন। আজ বুধবার নিজ মন্ত্রণালয়ে অপারেশন জ্যাকপট গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল।
আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, `জিয়াউর রহমানকে যেদিন হত্যা করা হয়, তিনি যেভাবেই হোক রাষ্ট্রপতি তো ছিলেন। একজন রাষ্ট্রপতির সবকিছু ধারণ করা হয়। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। কেউ কাউকে বেআইনিভাবে হত্যা করবে এটা সমর্থনযোগ্য নয়। আমি বলেছি, তাঁর লাশ তারা ফেলে রাখে নাই। হত্যাকারীরা সেই লাশ গুম করেছিল, তাই লাশ কেউ পায়নি।'
জিয়াকে হত্যার পর অল্প কিছু সময় চট্টগ্রাম হত্যাকারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, `সারা দেশে বিএনপি সরকারই প্রতিষ্ঠিত ছিল। তাই ছবি তোলার সুযোগ ছিল। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সেই লাশ পাওয়া গেছে। তাহলে তো ছবি দেখান। উনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যদু-মধু-রাম-শ্যাম তো ছিলেন না। তার তো ডেডবডির একটা ছবি থাকবে।'
‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, জিয়ার পোস্টমর্টেম হয়েছে। পোস্টমর্টেম হলে কোন হাসপাতালে হয়েছে? কে করেছেন? ফখরুল ডা. তোফায়েল সাহেবের নাম বলেছেন। কোন হাসপাতালে হয়েছে? হাসপাতালে যদি নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে তবে ছবি তোলা সম্ভব। পোস্টমর্টেমের একটা ফরম্যাট আছে, সেই ফরম্যাট আছে কিনা সেটা দেখান, প্রকাশ করেন। একটা সাদা প্যাডে একজন লিখে দিল, পোস্টমর্টেম আমি করেছি, ২২টি বুলেট পেল, কোনো ছবি নেই! তাকে গোসল করিয়েছে, কাফন পরিয়েছে কিন্তু কোনো ছবি নেই!’
মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন কফিনের ওপর কাচ দিয়ে ঢাকা ছিল, উনি কাচের মধ্য দিয়ে স্বচক্ষে লাশ দেখেছেন। চোখ দিয়ে দেখলেন, ছবি তুলতে পারলেন না। আপনার কাছে ক্যামেরা না থাকতে পারে, ছবি তোলার লোক আছে তো। তা না হলে ডিএনএ টেস্ট করুন। ব্যক্তি জিয়ার সঙ্গে আমাদের বিরোধ নয়। আমরা বলছি ইতিহাসের মিথ্যাচার নয়। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে, যে কোনোখানেই কবর দেওয়া হোক, মানুষ সম্মান জানাতে চায়, সে সম্মান জানাতে পারবে। কিন্তু তার লাশ যদি না থাকে সেটাকে যদি কবর বানিয়ে সম্মান দেখানো হয়, এটা হলো ইতিহাসের বিকৃতি। আমরা ইতিহাসের বিকৃতি বন্ধ করতে বলছি।’
সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়ার কবরসহ নকশাবহির্ভূত অন্যান্য স্থাপনা সরানো নিয়ে এক প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সেটার অগ্রগতি মাননীয় স্পিকার বলবেন। অগ্রগতিটা আমার জানা নেই।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা কিনা, সেই প্রমাণ চেয়েছেন মির্জা ফখরুল। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মোজাম্মেল হক বলেন, `সব কথার তো জবাব দেওয়ার দরকার হয় না। মির্জা ফখরুল ইসলামের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আমার অধীনে যুদ্ধ করেছেন। ওনাকে আমি জিজ্ঞেস করার জন্য বলব। এ ছাড়া গাজীপুর জেলার বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকার, তাঁদের কাছে জিজ্ঞেস করলে আমি খুশি হব।'
‘অনেকে বলে ওনার (ফখরুলের) পিতা কী করেছেন। আমি ব্যক্তিগত বিষয়ে যেতে চাই না। কী করেছেন সেটা দেশের মানুষকে জিজ্ঞেস করুন। উনি যে চীনাপন্থী রাজনীতি করেছেন, যারা বলেছিল- আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হচ্ছে দুই কুকুরের কামড়া-কামড়ি। উনি সেই দলের সদস্য ছিলেন। যদিও ওনার ভূমিকা কী ছিল আমার ব্যক্তিগতভাবে জানা নেই। ওনারটা উনি যদি পরিষ্কার করেন। আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজের চেহারাটা ভেসে উঠে। উনি বোধ হয় ওনার চেহারাটা দেখে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন আমর ভূমিকা কী? উনি ওনার সহকর্মীদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।'
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ হত্যাকারীরা গুম করেছিল। ফলে সেই লাশ কেউ পায়নি। লাশ না থাকলেও সেটাকে কবর বানিয়ে সম্মান দেখানো ইতিহাসের বিকৃতি। আওয়ামী লীগ নেতারা ইতিহাসের এই বিকৃতি বন্ধ করার কথা বলছেন। আজ বুধবার নিজ মন্ত্রণালয়ে অপারেশন জ্যাকপট গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল।
আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, `জিয়াউর রহমানকে যেদিন হত্যা করা হয়, তিনি যেভাবেই হোক রাষ্ট্রপতি তো ছিলেন। একজন রাষ্ট্রপতির সবকিছু ধারণ করা হয়। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। কেউ কাউকে বেআইনিভাবে হত্যা করবে এটা সমর্থনযোগ্য নয়। আমি বলেছি, তাঁর লাশ তারা ফেলে রাখে নাই। হত্যাকারীরা সেই লাশ গুম করেছিল, তাই লাশ কেউ পায়নি।'
জিয়াকে হত্যার পর অল্প কিছু সময় চট্টগ্রাম হত্যাকারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, `সারা দেশে বিএনপি সরকারই প্রতিষ্ঠিত ছিল। তাই ছবি তোলার সুযোগ ছিল। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সেই লাশ পাওয়া গেছে। তাহলে তো ছবি দেখান। উনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যদু-মধু-রাম-শ্যাম তো ছিলেন না। তার তো ডেডবডির একটা ছবি থাকবে।'
‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, জিয়ার পোস্টমর্টেম হয়েছে। পোস্টমর্টেম হলে কোন হাসপাতালে হয়েছে? কে করেছেন? ফখরুল ডা. তোফায়েল সাহেবের নাম বলেছেন। কোন হাসপাতালে হয়েছে? হাসপাতালে যদি নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে তবে ছবি তোলা সম্ভব। পোস্টমর্টেমের একটা ফরম্যাট আছে, সেই ফরম্যাট আছে কিনা সেটা দেখান, প্রকাশ করেন। একটা সাদা প্যাডে একজন লিখে দিল, পোস্টমর্টেম আমি করেছি, ২২টি বুলেট পেল, কোনো ছবি নেই! তাকে গোসল করিয়েছে, কাফন পরিয়েছে কিন্তু কোনো ছবি নেই!’
মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন কফিনের ওপর কাচ দিয়ে ঢাকা ছিল, উনি কাচের মধ্য দিয়ে স্বচক্ষে লাশ দেখেছেন। চোখ দিয়ে দেখলেন, ছবি তুলতে পারলেন না। আপনার কাছে ক্যামেরা না থাকতে পারে, ছবি তোলার লোক আছে তো। তা না হলে ডিএনএ টেস্ট করুন। ব্যক্তি জিয়ার সঙ্গে আমাদের বিরোধ নয়। আমরা বলছি ইতিহাসের মিথ্যাচার নয়। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে, যে কোনোখানেই কবর দেওয়া হোক, মানুষ সম্মান জানাতে চায়, সে সম্মান জানাতে পারবে। কিন্তু তার লাশ যদি না থাকে সেটাকে যদি কবর বানিয়ে সম্মান দেখানো হয়, এটা হলো ইতিহাসের বিকৃতি। আমরা ইতিহাসের বিকৃতি বন্ধ করতে বলছি।’
সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়ার কবরসহ নকশাবহির্ভূত অন্যান্য স্থাপনা সরানো নিয়ে এক প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সেটার অগ্রগতি মাননীয় স্পিকার বলবেন। অগ্রগতিটা আমার জানা নেই।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা কিনা, সেই প্রমাণ চেয়েছেন মির্জা ফখরুল। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মোজাম্মেল হক বলেন, `সব কথার তো জবাব দেওয়ার দরকার হয় না। মির্জা ফখরুল ইসলামের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আমার অধীনে যুদ্ধ করেছেন। ওনাকে আমি জিজ্ঞেস করার জন্য বলব। এ ছাড়া গাজীপুর জেলার বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকার, তাঁদের কাছে জিজ্ঞেস করলে আমি খুশি হব।'
‘অনেকে বলে ওনার (ফখরুলের) পিতা কী করেছেন। আমি ব্যক্তিগত বিষয়ে যেতে চাই না। কী করেছেন সেটা দেশের মানুষকে জিজ্ঞেস করুন। উনি যে চীনাপন্থী রাজনীতি করেছেন, যারা বলেছিল- আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হচ্ছে দুই কুকুরের কামড়া-কামড়ি। উনি সেই দলের সদস্য ছিলেন। যদিও ওনার ভূমিকা কী ছিল আমার ব্যক্তিগতভাবে জানা নেই। ওনারটা উনি যদি পরিষ্কার করেন। আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজের চেহারাটা ভেসে উঠে। উনি বোধ হয় ওনার চেহারাটা দেখে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন আমর ভূমিকা কী? উনি ওনার সহকর্মীদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।'
১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি আছে প্রচারপত্র বিলি; ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ; ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ; ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রয়েছে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ডাক...
১ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা নতুন দল গঠন করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশের সবখানে। উদ্যোক্তারা বলছেন, সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষার্ধেই আত্মপ্রকাশ করবে নতুন দল। নাম-প্রতীক এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে নাম যা-ই হোক, দলটির আদর্শ হবে ‘মধ্যম পন্থা’। চূড়ান্ত ডান বা বাম—কোনো দিকেই...
৪ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমানের লাশ পেয়েছে তাঁর পরিবার। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
৪ ঘণ্টা আগেপতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত বিচারের অভিপ্রায়ে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার পাশাপ
১২ ঘণ্টা আগে