Ajker Patrika

জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখী বাম জোটের বিক্ষোভে পুলিশের বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও ধাপে ধাপে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে এবং বিদ্যুৎ খাতের বিপর্যয় ও সংকটের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত ও বিচারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখী বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। 

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভের আয়োজন করে বাম জোট। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর জোটের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে পল্টন মোড়ে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়েন তারা। এ সময় পুলিশ ও জোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পর পল্টন মোড়েই ব্যারিকেডের সামনে বসেন পড়েন জোটের নেতা-কর্মীরা। 

এ সময় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের দাম কমানোর যৌক্তিক দাবিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমাদের মিছিলে বাধা দিয়ে প্রকারান্তরে জনগণের দাবির প্রতি অবহেলা করা হলো।’ 

শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশি বাধা ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের দাবির মিছিল না ঠেকিয়ে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করুন। যাদের নীতির কারণে আজ বিদ্যুৎ খাত জনগণের এবং জাতীয় অর্থনীতির গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে, তাদেরকে গ্রেপ্তার ও বিচার করুন।’ 

অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়লে শুধু গ্যাসের বিল বাড়ে না, সর্বত্র উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়। এমনিতেই সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে, এর ওপরে সর্বত্র মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপরে যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির বিল ঘণ্টা প্রতি ৩০ টাকা বেড়ে গেছে।’ 

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে গণশুনানি করার কথা। অতীতে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে আমরা এবং দেশের বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ করেছিলাম যে সরকার ব্যবসায়ী ও লুটেরাদের সুযোগ দেওয়ার জন্য আমদানিনির্ভর জ্বালানির ওপর বিদ্যুৎ খাত দাঁড় করাচ্ছে, যা দেশের জন্য এক সময় বিপর্যয় ডেকে আনবে।’ 

সোমবার জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখী বাম জোটের বিক্ষোভে পুলিশের বাধাজ্বালানি মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে নয় বরং বিদেশি কোম্পানি ও দেশি-বিদেশি লুটেরা ব্যবসায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘আমরা বিকল্প তুলে ধরে বলেছিলাম, দেশের স্থল ও সমুদ্র ভাগে গ্যাস উত্তোলন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপরে নির্ভর করে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে, জ্বালানি খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে।’ 

সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত