ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর-৩ সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শামসুল হকের ওপর হামলা হয়েছে। হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই চোখেও আঘাত পেয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মোমিনখার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শামসুল হক জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ভোলা মাস্টার নামেই বেশি পরিচিত। নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথার মাঝখানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, চারটি সেলাই লেগেছে। এ ছাড়া দুই চোখের মাঝখানে আঘাত লেগেছে। মাথার সিটি স্ক্যান করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ হামলায় আরও পাঁচজন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন পান্নু, সজিব, খোকন সরদার ও কাইয়ুম হাসান। চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ ব্যাপারীর নেতৃত্বে কবির ব্যাপারী, শাহজাহান ব্যাপারী, কুদ্দুস ব্যাপারীসহ ২০ থেকে ২৫ জন এ হামলায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন আহতরা।
আহতরা জানান, ভোলা মাস্টারসহ তাঁরা ছয়জন গাড়িতে করে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল তাঁদের আক্রমণ করে। তারা হকিস্টিক, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। প্রথমে ভোলা মাস্টারের মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। ঠেকাতে গেলে অন্যদেরও লাঠিপেটা করে। এ সময় তাঁদের মাইক্রোবাসটিও ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান এ কে আজাদ। নেতা-কর্মীরাও হাসপাতালে ভিড় করেন। হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ভোলা মাস্টারের মেয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শামসুননাহার।
হামলার বিষয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাব। ইলেকশন কমিশনার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, যদি কোনো প্রার্থী সহিংসতার ঘটনা ঘটায়, তাহলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। আমি চাইব, শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করা হোক। আর যারা এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। আমি এই মুহূর্তে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি। তাঁরা যেন ভোটকে নির্বিঘ্ন করতে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
তবে নৌকার সমর্থকেরা হামলা চালায়নি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অমিতাভ বোস। তিনি বলেন, ‘ভোলা মাস্টার এলাকায় দীর্ঘদিন মানুষের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করেছেন, অনেকের জমি দখল করেছেন। এখন হয়তো নৌকার সঙ্গে না থাকার সুযোগে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমি হাসপাতালে গিয়েছি। যতটুকু জেনেছি, উনি লোকজন নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ওনার সঙ্গে পারিবারিক লোকজনের কথা-কাটাকাটির জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর-৩ সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শামসুল হকের ওপর হামলা হয়েছে। হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই চোখেও আঘাত পেয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মোমিনখার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শামসুল হক জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ভোলা মাস্টার নামেই বেশি পরিচিত। নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথার মাঝখানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, চারটি সেলাই লেগেছে। এ ছাড়া দুই চোখের মাঝখানে আঘাত লেগেছে। মাথার সিটি স্ক্যান করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ হামলায় আরও পাঁচজন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন পান্নু, সজিব, খোকন সরদার ও কাইয়ুম হাসান। চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ ব্যাপারীর নেতৃত্বে কবির ব্যাপারী, শাহজাহান ব্যাপারী, কুদ্দুস ব্যাপারীসহ ২০ থেকে ২৫ জন এ হামলায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন আহতরা।
আহতরা জানান, ভোলা মাস্টারসহ তাঁরা ছয়জন গাড়িতে করে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল তাঁদের আক্রমণ করে। তারা হকিস্টিক, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। প্রথমে ভোলা মাস্টারের মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। ঠেকাতে গেলে অন্যদেরও লাঠিপেটা করে। এ সময় তাঁদের মাইক্রোবাসটিও ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান এ কে আজাদ। নেতা-কর্মীরাও হাসপাতালে ভিড় করেন। হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ভোলা মাস্টারের মেয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শামসুননাহার।
হামলার বিষয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাব। ইলেকশন কমিশনার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, যদি কোনো প্রার্থী সহিংসতার ঘটনা ঘটায়, তাহলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। আমি চাইব, শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করা হোক। আর যারা এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। আমি এই মুহূর্তে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি। তাঁরা যেন ভোটকে নির্বিঘ্ন করতে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
তবে নৌকার সমর্থকেরা হামলা চালায়নি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অমিতাভ বোস। তিনি বলেন, ‘ভোলা মাস্টার এলাকায় দীর্ঘদিন মানুষের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করেছেন, অনেকের জমি দখল করেছেন। এখন হয়তো নৌকার সঙ্গে না থাকার সুযোগে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমি হাসপাতালে গিয়েছি। যতটুকু জেনেছি, উনি লোকজন নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ওনার সঙ্গে পারিবারিক লোকজনের কথা-কাটাকাটির জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা নতুন দল গঠন করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশের সবখানে। উদ্যোক্তারা বলছেন, সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষার্ধেই আত্মপ্রকাশ করবে নতুন দল। নাম-প্রতীক এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে নাম যা-ই হোক, দলটির আদর্শ হবে ‘মধ্যম পন্থা’। চূড়ান্ত ডান বা বাম—কোনো দিকেই...
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমানের লাশ পেয়েছে তাঁর পরিবার। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
২ ঘণ্টা আগেপতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত বিচারের অভিপ্রায়ে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার পাশাপ
১০ ঘণ্টা আগেজনভোগান্তি লাঘব এবং দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবিতে চলতি মাসেই মাঠের কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা বিএনপির। দেশব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করতে গেলে শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক অটুট রাখা জরুরি বলে মনে করছে দলটি। এ লক্ষ্যে শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। তাদের সঙ্গে
১১ ঘণ্টা আগে