নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্র-জনগণের ওপর যেন আমলাতন্ত্র জেঁকে না বসে এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে—এমন আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও শিল্পীসমাজ। আজ রোববার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের সময় এসব কথা বলেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা শিল্পকলার মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদকেও পুনর্বহালের দাবি জানান।
‘গণ-অভ্যুত্থানের গণ-আকাঙ্ক্ষা, আমলাতন্ত্রের সাথে আপস না, শিল্পকলার স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করো এবং সৈয়দ জামিল আহমেদকে মহাপরিচালক হিসেবে পুনর্বহাল করো’—এই শিরোনামে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, শিল্পী ও নাগরিকবৃন্দ।
শিক্ষার্থী রিয়াসাত সালেকিনের সঞ্চালনায় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগিব নাঈম বলেন, ‘আমলাতন্ত্র যেন জনগণের ওপর জেঁকে না বসে। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দেশ তৈরি হয়েছে, তাতে আমলাতন্ত্র যেন জেঁকে না বসে—তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি নিশ্চিত না হলে আবার ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে। শিল্পকলা একাডেমি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমাদের উপদেষ্টারা সেই আমলাতান্ত্রিকতার মধ্য দিয়েই হাঁটছেন।’
আলোকচিত্রী ও নাট্যকর্মী মারিয়াম রুপা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পরে যদি আমলাতন্ত্রের পোষ্য হতে হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ চাই না, শুধু এতটুকুই বলব।’
শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী আল মামুন বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা অভ্যুত্থান শুরু করেছিলাম, সেই লক্ষ্যে কি আমরা পৌঁছেছি? আমরা পারিনি। ব্যর্থ হচ্ছি। আমরা প্রত্যেকেই জানি, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার সময় তিনি নিতে চাননি। তাঁকে সরকার থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, তিনি নিয়েছেন। কিন্তু পাঁচ মাস যেতেই তাঁকে কেন চলে যেতে হবে। একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এ রকম ভয়াবহ দুর্নীতি। তাহলে আমরা কিসের জন্য অভ্যুত্থান করেছি? এটা একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তাঁকে সেভাবে কাজ করতে দিতে হবে। অল্প সময়ের মধ্যে এর বিহিত করতে হবে।’
শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সাখাওয়াত ফাহাদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল নতুন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংস্কৃতি হবে। কিন্তু দেখেছি যে আগের রূপই এখনো বহাল আছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য তাদের আন্দোলন করতে হয়। সুতরাং আমলাতন্ত্র যে কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তা আমরা দেখছি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সচিবালয় ঠিকমতো কাজ করছে না।’
এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনী, ইব্রাহিম এলিন, অনিরুদ্ধ অনু প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের কথায় উঠে আসে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির সমাধান করতে হবে। তাঁরা বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্ত না হলে হাসিনার মতো আপনাদেরও মানুষ টেনে নামাবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টার খোলাখুলি বলা উচিত। এত দিন একাত্তরকে বিক্রি করা হয়েছে; এখন জুলাইকে বেচবেন আর এসি রুমে বসে আপনারা সিদ্ধান্ত দেবেন, এটা হবে না। সৈয়দ জামিল আহমেদ আসার পরে শিল্পকলার ওয়েবসাইটে পুরো হিসাব দেওয়া হয় প্রত্যেক অনুষ্ঠানের পরে। এতে কাদের সমস্যা হয়, জাতি সব জানে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলায় এক অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, শিল্পকলায় তাঁকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনেন তিনি। এর বিপরীতে ফারুকীও জামিল আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে অভিযোগ করে পাল্টা পোস্ট দেন।
রাষ্ট্র-জনগণের ওপর যেন আমলাতন্ত্র জেঁকে না বসে এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে—এমন আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও শিল্পীসমাজ। আজ রোববার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের সময় এসব কথা বলেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা শিল্পকলার মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদকেও পুনর্বহালের দাবি জানান।
‘গণ-অভ্যুত্থানের গণ-আকাঙ্ক্ষা, আমলাতন্ত্রের সাথে আপস না, শিল্পকলার স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করো এবং সৈয়দ জামিল আহমেদকে মহাপরিচালক হিসেবে পুনর্বহাল করো’—এই শিরোনামে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, শিল্পী ও নাগরিকবৃন্দ।
শিক্ষার্থী রিয়াসাত সালেকিনের সঞ্চালনায় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগিব নাঈম বলেন, ‘আমলাতন্ত্র যেন জনগণের ওপর জেঁকে না বসে। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দেশ তৈরি হয়েছে, তাতে আমলাতন্ত্র যেন জেঁকে না বসে—তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি নিশ্চিত না হলে আবার ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে। শিল্পকলা একাডেমি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমাদের উপদেষ্টারা সেই আমলাতান্ত্রিকতার মধ্য দিয়েই হাঁটছেন।’
আলোকচিত্রী ও নাট্যকর্মী মারিয়াম রুপা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পরে যদি আমলাতন্ত্রের পোষ্য হতে হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ চাই না, শুধু এতটুকুই বলব।’
শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী আল মামুন বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা অভ্যুত্থান শুরু করেছিলাম, সেই লক্ষ্যে কি আমরা পৌঁছেছি? আমরা পারিনি। ব্যর্থ হচ্ছি। আমরা প্রত্যেকেই জানি, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার সময় তিনি নিতে চাননি। তাঁকে সরকার থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, তিনি নিয়েছেন। কিন্তু পাঁচ মাস যেতেই তাঁকে কেন চলে যেতে হবে। একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এ রকম ভয়াবহ দুর্নীতি। তাহলে আমরা কিসের জন্য অভ্যুত্থান করেছি? এটা একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তাঁকে সেভাবে কাজ করতে দিতে হবে। অল্প সময়ের মধ্যে এর বিহিত করতে হবে।’
শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সাখাওয়াত ফাহাদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল নতুন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংস্কৃতি হবে। কিন্তু দেখেছি যে আগের রূপই এখনো বহাল আছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য তাদের আন্দোলন করতে হয়। সুতরাং আমলাতন্ত্র যে কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তা আমরা দেখছি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সচিবালয় ঠিকমতো কাজ করছে না।’
এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনী, ইব্রাহিম এলিন, অনিরুদ্ধ অনু প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের কথায় উঠে আসে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির সমাধান করতে হবে। তাঁরা বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্ত না হলে হাসিনার মতো আপনাদেরও মানুষ টেনে নামাবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টার খোলাখুলি বলা উচিত। এত দিন একাত্তরকে বিক্রি করা হয়েছে; এখন জুলাইকে বেচবেন আর এসি রুমে বসে আপনারা সিদ্ধান্ত দেবেন, এটা হবে না। সৈয়দ জামিল আহমেদ আসার পরে শিল্পকলার ওয়েবসাইটে পুরো হিসাব দেওয়া হয় প্রত্যেক অনুষ্ঠানের পরে। এতে কাদের সমস্যা হয়, জাতি সব জানে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলায় এক অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, শিল্পকলায় তাঁকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনেন তিনি। এর বিপরীতে ফারুকীও জামিল আহমেদকে নিয়ে ফেসবুকে অভিযোগ করে পাল্টা পোস্ট দেন।
জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তনই ‘টেকসই’ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না, যদি জনগণের ম্যান্ডেট না থাকে। ১০ জন লোক ঢাকায় বসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবে না।’
৬ ঘণ্টা আগেফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকাতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও পরিকল্পিতভাবে তা ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। ফেব্রুয়ারির
৭ ঘণ্টা আগেজিয়াউর রহমান কাদের নিয়ে দল গঠন করেছেন জানেন? শাহ আজিজ। তিনি ছিলেন এক নম্বর রাজাকার। জিয়াউর রহমান তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। অথচ আজ বিএনপি স্লোগান দেয়, এই দেশে রাজাকার থাকবে না! কী আজিব জাহেল! আওয়ামী লীগের বিএনপির ওপর ক্ষোভটাই ছিল—জিয়াউর রহমান রাজাকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দলটির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি নাই ফ্যাসিবাদী পতিত শক্তি গোপালগঞ্জে হোক আর যেখানে হোক, গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর
৮ ঘণ্টা আগে