Ajker Patrika

সারের দাম কমানোর দাবি সিপিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ২৩: ৪৪
সারের দাম কমানোর দাবি সিপিবির

আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দফায় দফায় ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি, এমওপি সারের দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে সারের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানায় দলটির নেতা-কর্মীরা। 

সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, কৃষকেরা ফসল উৎপাদনে চরম লোকসান দিচ্ছে, এরই মধ্যে আবারও সকল প্রকার সারের দাম বাড়ানো হলো। এতে বিঘাপ্রতি কৃষকের মোট ৮৫০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। বিভিন্ন কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। অথচ কৃষক তাঁর ফসলের লাভজনক দাম পাচ্ছে না। 

তিনি আরও বলেন, সরকারি সার কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হলেও বছরের অধিকাংশ সময় কারখানাগুলোর উৎপাদন বন্ধ থাকে। এ সময় তিনি সার কারখানা আধুনিকায়ন করে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়মিত সার উৎপাদন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। 

সমাবেশে দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে সরকারের গৃহীত এই সিদ্ধান্ত একটি কৃষক ও জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত। পৃথিবীতে করোনাকালে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য আমাদের কৃষকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সরকারের উচিত কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান করে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু সেটা না করে ব্যবসায়ী-মুনাফালোভী এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার বারবার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যা আমাদের কৃষি খাতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’ 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, লাকী আক্তার, আবিদ হোসেন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে, ঠেকাতে দরকার স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন: দুদু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল, যারা স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে এবং স্বাধীনতার পক্ষে লড়েছে।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিভিন্ন মহল থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বলে একধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। সেই অপপ্রচার তারা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে লাগাতারভাবে চালিয়ে গেছে। কিন্তু এখন আর তা করছে না। কারণ, সারা বিশ্ব জানে—বাংলার মানুষ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমান—সবাই হাজার বছরের সংস্কৃতি ধারণ করে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে।’

ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘সবার রাজনৈতিক অধিকার আছে, আমরা তা অস্বীকার করি না। কিন্তু যারা গণহত্যা করেছে, তাদের আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তারা আগে সেই টাকা দেশে ফেরত আনুক। তারপরে দেশের জনগণ ভেবে দেখবে, তারা নির্বাচন করতে পারবে কি না।’

শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘এই দেশ গণমানুষের দেশ, গরিব মানুষের, কৃষক-শ্রমিকের দেশ। আগে তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। বর্তমানে এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার দাম বাড়েনি, মানুষের আয় ক্রমশ কমে যাচ্ছে। চাকরির সুযোগ নেই বললেই চলে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই—কর্মসংস্থান করুন, নাহলে দেশ সঠিকভাবে চালানো কঠিন হবে।’

দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক এমপি লিংকন, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগামীকাল সব জেলায় মিছিল করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আটটি দল
আটটি দল

আগামীকাল সোমবার দেশের সব জেলা শহরে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আটটি দল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দাবিতে এটি তাদের চতুর্থ পর্বের আন্দোলন।

১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন দলগুলোর নেতারা। এ ছাড়া আজ রোববার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পুনরায় গণমাধ্যমকে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠায় দলগুলো।

যুগপৎ আন্দোলনের পাঁচটি দাবির মধ্যে রয়েছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে অথবা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

এর আগে একই দাবিতে তিন পর্বের কর্মসূচি পালন করেছে দলগুলো।

যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ( জাগপা) এবং নতুন যুক্ত হওয়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাস্তায় আন্দোলন নয়, এখন জনগণের কাছে যেতে হবে: আমীর খসরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ রোববার গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: ফোকাস বাংলা
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ রোববার গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: ফোকাস বাংলা

সংঘাতের পথে না গিয়ে সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে আগামীর রাজনীতির পথ তৈরির তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এখন রাস্তায় আন্দোলন নয়, এখন জনগণের কাছে আমাদের যেতে হবে। আমরা সাংঘর্ষিক রাজনীতির দিকে যেতে পারব না। আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির দিকে যেতে পারব না।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সহনশীল হতে হবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখতে হবে। দ্বিমত পোষণ করেও তার মতকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমাদের এই চর্চাগুলো আনতে হবে। আরেকজনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করব; তারপরও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তো আমাদের অসুবিধা নেই। আমাদের এই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে যদি রাজনীতি করে যাই, তাহলে আবার সেই পুরোনো কালচারে আমাদের ফিরে যেতে হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দলগুলোর একসঙ্গে বসার চর্চা কোনো সময় ছিল না। কেউ কারও চেহারা দেখত না। আজকে কিন্তু আমরা এখানে বসেছি সবাই। আমরা বসে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা বলছি। আমরা এখানে বসে আগামী নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করে দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনব, সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই চলছি যার যার অবস্থান থেকে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে ১৪ মাস আমরা অতিক্রম করছি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসেনি। আমরা যুদ্ধ করেছি একটি নির্বাচিত সরকারের জন্য। সেটা এখনো আমরা পাইনি। এ জন্য আজ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাই জাতীয় সনদে সই করেছি। এখন আমাদের বাকি কাজ যেটা আছে—আগামী নির্বাচনে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা।’

আলোচনা সভায় গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অটুট রাখতে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরও এক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ভেঙে গেলে সেটাই ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলে দেবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিজয় অর্জন করেছি। সেই ঐক্যের ফলে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। স্বৈরাচার পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এটি নষ্ট হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা থেমে যাবে।’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবাইকে এক থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে সব দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।

জুলাই সনদকে ‘জাতীয় ঐক্যের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত জাতীয় সংসদই হবে উপযুক্ত ফোরাম।’

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘তাদের (এনসিপি) অনেক প্রস্তাব আমরা সমর্থন করি। তবে এসব প্রস্তাব যেন বাস্তবসম্মত হয় এবং ভবিষ্যতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিসিএস নিয়ে পিএসসিতে এনসিপির ১৫ দফা প্রস্তাবনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেয় এনসিপির ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ছবি: ফেসবুক
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেয় এনসিপির ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ছবি: ফেসবুক

বিসিএসের অগ্রগতির বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) ১৫ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেয় এনসিপির প্রতিনিধিদল।

তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

এনসিপির ১৫ প্রস্তাবনা হলো:

১. ২৩ নন-ক্যাডার বিধি সংশোধনের জন্য পিএসসি থেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে দ্রুত চিঠি ইস্যু করা। ৪৩তম বিসিএস থেকেই এ সমন্বয় শুরু করা।

২. ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদে দ্রুত সুপারিশ কার্যক্রম সম্পন্ন করা।

৩. ৪৪তম বিসিএসে অধিযাচিত ৮৭০ পোস্ট বৃদ্ধি ও চলমান সপ্তাহেই পুনরায় ফলাফল প্রকাশ। চলতি বছরেই গেজেট প্রকাশ নিশ্চিত করা।

৪. ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধির সংশোধন ত্বরান্বিত করে ৪৩ থেকে ৪৭তম বিসিএসে সর্বোচ্চ নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ অব্যাহত রাখা।

৫. ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডারে পূর্বে ১২ গ্রেডের হেড টিচার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্তদের মেধার ভিত্তিতে নতুন সার্কুলারে অন্তর্ভুক্ত করা।

৬. ৪৫তম বিসিএস ভাইভার হাজিরা পত্রে ভাইভার নম্বর ১০০ আপডেট করা।

৭. স্বচ্ছতা রক্ষায় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ।

৮. চূড়ান্ত নম্বরপত্র ওয়েবসাইটে রোল নম্বর দিয়ে দেখা।

৯. পুলিশ ভ্যারিফিকেশন জটিলতা হ্রাস ও এক মাসের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করা।

১০. ক্যালেন্ডার ইয়ারে প্রতিটি বিসিএস শেষ করা।

১১. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য স্পেশাল বিসিএসে প্যানেল সিস্টেম রাখা।

১২. ভাইভা বোর্ডভিত্তিক নম্বরের তারতম্য হ্রাসে ক্যাটাগরি নির্ধারণ।

১৩. প্রিলিমিনারি থেকে লিখিত পরীক্ষার মধ্যবর্তী সময় দুই মাস বা ৫০ দিন রাখা ও লিখিত রুটিন আগে প্রকাশ।

১৪. চূড়ান্ত রেজাল্টের আগে ক্রস চেক করে সম বা নিচের ক্যাডার না পাওয়া নিশ্চিত করা।

১৫. পিএসসির পরীক্ষাগুলো গ্রেডভিত্তিক (ক্লাস্টার বা সমন্বিত) আয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত