নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘গণহত্যাকারী’ দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গতকাল শুক্রবার সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে।’ সে সময় পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি মানবতা-বিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও আছে। এই দাবির প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনে সংশোধনী আনার উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।
এ নিয়ে সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের পক্ষ থেকে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গুলি করে মানুষ হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ৫ আগস্টের পর থেকেই ছিল। কিন্তু অভ্যুত্থানের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ ছিল না। গত বুধবার রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় এই দাবি আবারও জোরালো হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। রাতভর তাঁরা সেখানে অবস্থান নেন। গতকাল সকালে তাঁদের কর্মসূচিতে সমর্থন জানায় জামায়াত, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলাম, এনডিএমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এদিন বিকেলে শাহবাগে অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচিতে ‘দ্বিতীয় অভ্যুত্থান’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থানের ঘোষণা দেন তাঁরা।
বিষয়টি এত দূর পর্যন্ত আসতে দেওয়া উচিত হয়নি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনরায় সুযোগ দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, গণ-অভ্যুত্থানকারীদের মেরে ফেলা। কারণ, দলটি আবার সুযোগ পেলে তাদের ছাড়বে না। এটাকে এত দূর গড়াতে দেওয়া উচিত হয় নাই।’
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কোনো দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে। এই আইনের অধীনে গত ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। একই আইনে বিগত সরকার গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দুটি সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শিগগির এই আইনের অধীন নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সরকারের জন্য জটিল সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত আদৌ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কি না, তা বোঝা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হলে আগে ঠিক করতে হবে, তারা আসলেই অপরাধী কি না। হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিষিদ্ধ করলে এটা দেশে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
সরকারের সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই আন্দোলনের পক্ষে থাকা দলগুলোর মতামত নেবেন। সব দলের সঙ্গে ঐকমত্য হলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পথে এগোবে সরকার। এ ক্ষেত্রে আইসিটি আইন সংশোধন করে সংগঠনের বিচারের বিধানটি যুক্ত করা হবে। দলগুলো সম্মতি দিলে বিচার শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের সব ধরনের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশ দেওয়া হতে পারে। এর বাইরে দলগুলোর সায় মিললে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর অধীনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
জানতে চাইলে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলোচনার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিক আলোচনা শিগগির হবে।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান বিক্ষোভ-সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গতকাল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না, তা বিএনপির বক্তব্যের বিষয় নয়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছে। আমরা বিএনপি হিসেবে তো এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক নই। আমাদের মহাসচিব ইতিমধ্যে তো বলেছেন, জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয় এটি। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, তারা নির্বাচন করবে কি করবে না। এটা হচ্ছে আমাদের বক্তব্য।’
বিষয়টি জানতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চলার বিষয়টি জানি। তবে দলীয় অবস্থান জানতে মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘গণহত্যাকারী’ দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গতকাল শুক্রবার সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে।’ সে সময় পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি মানবতা-বিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও আছে। এই দাবির প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনে সংশোধনী আনার উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।
এ নিয়ে সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের পক্ষ থেকে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গুলি করে মানুষ হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ৫ আগস্টের পর থেকেই ছিল। কিন্তু অভ্যুত্থানের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ ছিল না। গত বুধবার রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় এই দাবি আবারও জোরালো হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। রাতভর তাঁরা সেখানে অবস্থান নেন। গতকাল সকালে তাঁদের কর্মসূচিতে সমর্থন জানায় জামায়াত, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলাম, এনডিএমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এদিন বিকেলে শাহবাগে অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচিতে ‘দ্বিতীয় অভ্যুত্থান’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থানের ঘোষণা দেন তাঁরা।
বিষয়টি এত দূর পর্যন্ত আসতে দেওয়া উচিত হয়নি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনরায় সুযোগ দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, গণ-অভ্যুত্থানকারীদের মেরে ফেলা। কারণ, দলটি আবার সুযোগ পেলে তাদের ছাড়বে না। এটাকে এত দূর গড়াতে দেওয়া উচিত হয় নাই।’
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কোনো দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে। এই আইনের অধীনে গত ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। একই আইনে বিগত সরকার গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দুটি সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শিগগির এই আইনের অধীন নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সরকারের জন্য জটিল সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত আদৌ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কি না, তা বোঝা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হলে আগে ঠিক করতে হবে, তারা আসলেই অপরাধী কি না। হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিষিদ্ধ করলে এটা দেশে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
সরকারের সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই আন্দোলনের পক্ষে থাকা দলগুলোর মতামত নেবেন। সব দলের সঙ্গে ঐকমত্য হলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পথে এগোবে সরকার। এ ক্ষেত্রে আইসিটি আইন সংশোধন করে সংগঠনের বিচারের বিধানটি যুক্ত করা হবে। দলগুলো সম্মতি দিলে বিচার শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের সব ধরনের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশ দেওয়া হতে পারে। এর বাইরে দলগুলোর সায় মিললে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর অধীনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
জানতে চাইলে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলোচনার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিক আলোচনা শিগগির হবে।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান বিক্ষোভ-সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গতকাল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না, তা বিএনপির বক্তব্যের বিষয় নয়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছে। আমরা বিএনপি হিসেবে তো এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক নই। আমাদের মহাসচিব ইতিমধ্যে তো বলেছেন, জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয় এটি। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, তারা নির্বাচন করবে কি করবে না। এটা হচ্ছে আমাদের বক্তব্য।’
বিষয়টি জানতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চলার বিষয়টি জানি। তবে দলীয় অবস্থান জানতে মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’ পুনরায় বিলুপ্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিল।
২০ মিনিট আগেবৈঠক শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি সব সময় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিএনপি আপনাদের সঙ্গে অর্থাৎ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে এবং আপনাদের পাশে থাকবে, তাদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবে। তাদের সমাজে ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার জন্য ক
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেছেন বিএনপি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’ পুনরায় বিলুপ্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিল। তার সুফল দেশ এখনো পাচ্ছে। তবে ওই সব উদ্যোগকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়নি। ফলে পূর্ণ সুফল মেলেনি। দেশের সমস্যা সমাধানে প্রধান উদ্যোগের একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা। আমাদের সময়ে (বিএনপির আমলে) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্ত করা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় গেলে পুনরায় তা বিলুপ্ত করা হবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার সমাপনী বক্তব্য দেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কখনো বাংলাদেশ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রাজনৈতিক নিয়োগ দিইনি। বাংলাদেশের ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নয়, সংস্থাটিকে স্বাধীনতা দিতে হবে।’
আমীর খসরু বলেন, অর্থনীতির সবকিছু অটোমেশন করে ফেলতে হবে। তাহলে দুর্নীতি কমে আসবে। ক্যাশলেস লেনদেনই হলো এখন ভবিষ্যৎ। সামনে সেদিকে যেতে হবে।
টাকা ছাপানোর সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বিমান কেনার জন্য সরকার টাকা দেবে, এটা হতে পারে না। বিমান বন্ড ছেড়ে টাকা তুলতে পারে। সরকারের টাকা খরচ হওয়া উচিত সমাজের উন্নয়নে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে সরকার খরচ করতে পারে।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’ পুনরায় বিলুপ্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিল। তার সুফল দেশ এখনো পাচ্ছে। তবে ওই সব উদ্যোগকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়নি। ফলে পূর্ণ সুফল মেলেনি। দেশের সমস্যা সমাধানে প্রধান উদ্যোগের একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা। আমাদের সময়ে (বিএনপির আমলে) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্ত করা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় গেলে পুনরায় তা বিলুপ্ত করা হবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার সমাপনী বক্তব্য দেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কখনো বাংলাদেশ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রাজনৈতিক নিয়োগ দিইনি। বাংলাদেশের ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নয়, সংস্থাটিকে স্বাধীনতা দিতে হবে।’
আমীর খসরু বলেন, অর্থনীতির সবকিছু অটোমেশন করে ফেলতে হবে। তাহলে দুর্নীতি কমে আসবে। ক্যাশলেস লেনদেনই হলো এখন ভবিষ্যৎ। সামনে সেদিকে যেতে হবে।
টাকা ছাপানোর সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বিমান কেনার জন্য সরকার টাকা দেবে, এটা হতে পারে না। বিমান বন্ড ছেড়ে টাকা তুলতে পারে। সরকারের টাকা খরচ হওয়া উচিত সমাজের উন্নয়নে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে সরকার খরচ করতে পারে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘গণহত্যাকারী’ দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গতকাল শুক্রবার সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
১০ মে ২০২৫বৈঠক শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি সব সময় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিএনপি আপনাদের সঙ্গে অর্থাৎ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে এবং আপনাদের পাশে থাকবে, তাদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবে। তাদের সমাজে ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার জন্য ক
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেছেন বিএনপি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসেছিলাম আমাদের কতগুলো রাজনৈতিক কনসার্ন নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে এই মুহূর্তে যেটা প্রয়োজন, অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় তাদের যেতে হবে। এ জন্য প্রথমেই যেটা প্রয়োজন হবে, প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ একটা ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনায় যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে সেখান থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসেন।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে এসেছি।’
এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কোনো উপদেষ্টার কথা বলা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে কিছু বলেননি ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিশেষ করে, সচিবালয়ে এখনো যাঁরা আছেন, যাঁরা চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট, তাঁদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। আমরা বলেছি, প্রশাসনেও, জেলা প্রশাসনে বিশেষ করে, সেখানেও একইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
পুলিশে নিয়োগের বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কিছু কথা বলে এসেছি, যেগুলো আমরা মনে করেছি, তারা এখনো পুরোনো সরকারের স্বার্থ পূরণ করছে। তাদের অপসারণের কথা আমরা বলে এসেছি। আমরা সেই সঙ্গে পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যে সমস্ত নতুন করে আবার নিয়োগ দেওয়া হবে অথবা পদোন্নতি দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা বলেছি।’
বিচার বিভাগে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগের কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলে এসেছি, বিচার বিভাগে বিশেষ করে উচ্চ আদালতে এখনো যে সমস্ত ফ্যাসিস্টের দোসর আছে, তাদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ বিচারকদের নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এটা বিচার বিভাগের বিষয়, এরপরেও প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু সবকিছুর দায়িত্বে আছেন, তাঁর কাছে আমাদের কথাটা জানিয়ে এসেছি।’
যমুনায় প্রবেশের আগে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী উনি আজকে সময় দিয়েছেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, প্রশাসনের কিছু বিষয়সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসেছিলাম আমাদের কতগুলো রাজনৈতিক কনসার্ন নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে এই মুহূর্তে যেটা প্রয়োজন, অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় তাদের যেতে হবে। এ জন্য প্রথমেই যেটা প্রয়োজন হবে, প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ একটা ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনায় যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে সেখান থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসেন।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে এসেছি।’
এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কোনো উপদেষ্টার কথা বলা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে কিছু বলেননি ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিশেষ করে, সচিবালয়ে এখনো যাঁরা আছেন, যাঁরা চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট, তাঁদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। আমরা বলেছি, প্রশাসনেও, জেলা প্রশাসনে বিশেষ করে, সেখানেও একইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
পুলিশে নিয়োগের বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কিছু কথা বলে এসেছি, যেগুলো আমরা মনে করেছি, তারা এখনো পুরোনো সরকারের স্বার্থ পূরণ করছে। তাদের অপসারণের কথা আমরা বলে এসেছি। আমরা সেই সঙ্গে পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যে সমস্ত নতুন করে আবার নিয়োগ দেওয়া হবে অথবা পদোন্নতি দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা বলেছি।’
বিচার বিভাগে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগের কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলে এসেছি, বিচার বিভাগে বিশেষ করে উচ্চ আদালতে এখনো যে সমস্ত ফ্যাসিস্টের দোসর আছে, তাদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ বিচারকদের নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এটা বিচার বিভাগের বিষয়, এরপরেও প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু সবকিছুর দায়িত্বে আছেন, তাঁর কাছে আমাদের কথাটা জানিয়ে এসেছি।’
যমুনায় প্রবেশের আগে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী উনি আজকে সময় দিয়েছেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, প্রশাসনের কিছু বিষয়সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘গণহত্যাকারী’ দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গতকাল শুক্রবার সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
১০ মে ২০২৫বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’ পুনরায় বিলুপ্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিল।
২০ মিনিট আগেবিএনপি সব সময় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিএনপি আপনাদের সঙ্গে অর্থাৎ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে এবং আপনাদের পাশে থাকবে, তাদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবে। তাদের সমাজে ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার জন্য ক
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেছেন বিএনপি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি সব সময় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিএনপি আপনাদের সঙ্গে অর্থাৎ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে এবং আপনাদের পাশে থাকবে, তাদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবে। তাদের সমাজে ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আসুন, আমরা এক সঙ্গে দেশটাকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে কাজ করি।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাসের কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী উদ্যোক্তা সান্তানু স্নিতা নকরেক, স্বপ্ন আজিম প্রমুখ তাঁদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।
বিএনপি মহাসচিব তাঁদের সমস্যাসমূহ অবহিত হয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী উদ্যোক্তাদের সহজ ও স্বল্প শর্তে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ সহযোগিতার ব্যবস্থা করবে।
বিএনপি সব সময় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিএনপি আপনাদের সঙ্গে অর্থাৎ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে এবং আপনাদের পাশে থাকবে, তাদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবে। তাদের সমাজে ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আসুন, আমরা এক সঙ্গে দেশটাকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে কাজ করি।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাসের কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী উদ্যোক্তা সান্তানু স্নিতা নকরেক, স্বপ্ন আজিম প্রমুখ তাঁদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।
বিএনপি মহাসচিব তাঁদের সমস্যাসমূহ অবহিত হয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী উদ্যোক্তাদের সহজ ও স্বল্প শর্তে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ সহযোগিতার ব্যবস্থা করবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘গণহত্যাকারী’ দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গতকাল শুক্রবার সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
১০ মে ২০২৫বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’ পুনরায় বিলুপ্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিল।
২০ মিনিট আগেবৈঠক শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেছেন বিএনপি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেছেন বিএনপি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন তাঁরা। বৈঠক শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
যমুনায় প্রবেশের আগে প্রতিনিধিদলের সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী উনি আজকে সময় দিয়েছেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন এবং প্রশাসনের কিছু বিষয়সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেছেন বিএনপি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন তাঁরা। বৈঠক শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
যমুনায় প্রবেশের আগে প্রতিনিধিদলের সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী উনি আজকে সময় দিয়েছেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন এবং প্রশাসনের কিছু বিষয়সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘গণহত্যাকারী’ দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গতকাল শুক্রবার সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
১০ মে ২০২৫বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’ পুনরায় বিলুপ্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিল।
২০ মিনিট আগেবৈঠক শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি সব সময় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিএনপি আপনাদের সঙ্গে অর্থাৎ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে এবং আপনাদের পাশে থাকবে, তাদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবে। তাদের সমাজে ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার জন্য ক
৩ ঘণ্টা আগে