সম্পাদকীয়
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সাহাদাত আলী সবুজের দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা এবং একই সঙ্গে বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি সরকারি কলেজের শিক্ষার সংকটকে তুলে ধরে। মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে একজন অধ্যক্ষ কীভাবে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলতে পারেন? এতে একদিকে যেমন সরকারি নিয়মনীতির চরম লঙ্ঘন হয়েছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে ১৩ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
একজন অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে শুধু প্রশাসনিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন, পুরো কলেজের সবকিছু তাঁর নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়। তাঁর অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নিয়ে আসে, ব্যাহত হয় পাঠদান প্রক্রিয়া। শিক্ষকেরা যখন তাঁদের প্রধানকে কাছে পান না, তখন তাঁদের কাজের স্পৃহা কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। পাঠদানে অবহেলাও দেখা দিতে পারে কোনো কোনো শিক্ষকের মধ্যে। অভিযোগ উঠেছে, পাকেরহাট সরকারি কলেজেও অধ্যক্ষের অনুপস্থিতির কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই একটি সুষ্ঠু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না।
ওই অধ্যক্ষ একটি ফৌজদারি মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি। চাঁদাবাজি ও বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের মতো গুরুতর অভিযোগের আসামি হয়েও তিনি কীভাবে স্বপদে বহাল থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন, তা বোধগম্য নয়। যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তবে এটি সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সরকারি অর্থের অপচয়।
এমন পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের পরিচালকের শুধু কলেজ পরিদর্শন ও তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা যথেষ্ট নয়। একজন পলাতক আসামিকে কীভাবে একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের পদে বহাল রাখা যায়, তা নিয়ে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং যোগ্য ও নীতিমান ব্যক্তিদেরই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। নিয়মিত মনিটরিংয়ের অভাব এবং জবাবদিহির দুর্বলতাও এই ধরনের অনিয়মের জন্ম দেয়। কর্তৃপক্ষের উচিত নিয়মিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম তদারকি করা এবং কোনো ধরনের অনিয়ম ধরা পড়লে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
পাকেরহাট সরকারি কলেজের এই ঘটনা একটি সতর্কবার্তা। সরকারি কলেজে এ ধরনের অনিয়ম কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থাই ভেঙে পড়ে না, বরং নতুন নতুন সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড, আর এই মেরুদণ্ডকে দুর্বল করার কোনো সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সাহাদাত আলী সবুজের দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা এবং একই সঙ্গে বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি সরকারি কলেজের শিক্ষার সংকটকে তুলে ধরে। মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে একজন অধ্যক্ষ কীভাবে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলতে পারেন? এতে একদিকে যেমন সরকারি নিয়মনীতির চরম লঙ্ঘন হয়েছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে ১৩ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
একজন অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে শুধু প্রশাসনিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন, পুরো কলেজের সবকিছু তাঁর নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়। তাঁর অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নিয়ে আসে, ব্যাহত হয় পাঠদান প্রক্রিয়া। শিক্ষকেরা যখন তাঁদের প্রধানকে কাছে পান না, তখন তাঁদের কাজের স্পৃহা কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। পাঠদানে অবহেলাও দেখা দিতে পারে কোনো কোনো শিক্ষকের মধ্যে। অভিযোগ উঠেছে, পাকেরহাট সরকারি কলেজেও অধ্যক্ষের অনুপস্থিতির কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই একটি সুষ্ঠু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না।
ওই অধ্যক্ষ একটি ফৌজদারি মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি। চাঁদাবাজি ও বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের মতো গুরুতর অভিযোগের আসামি হয়েও তিনি কীভাবে স্বপদে বহাল থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন, তা বোধগম্য নয়। যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তবে এটি সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সরকারি অর্থের অপচয়।
এমন পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের পরিচালকের শুধু কলেজ পরিদর্শন ও তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা যথেষ্ট নয়। একজন পলাতক আসামিকে কীভাবে একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের পদে বহাল রাখা যায়, তা নিয়ে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং যোগ্য ও নীতিমান ব্যক্তিদেরই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। নিয়মিত মনিটরিংয়ের অভাব এবং জবাবদিহির দুর্বলতাও এই ধরনের অনিয়মের জন্ম দেয়। কর্তৃপক্ষের উচিত নিয়মিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম তদারকি করা এবং কোনো ধরনের অনিয়ম ধরা পড়লে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
পাকেরহাট সরকারি কলেজের এই ঘটনা একটি সতর্কবার্তা। সরকারি কলেজে এ ধরনের অনিয়ম কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থাই ভেঙে পড়ে না, বরং নতুন নতুন সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড, আর এই মেরুদণ্ডকে দুর্বল করার কোনো সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
আমরা এক অদ্ভুত দৈত্যের কবলে পড়েছি। সে দৈত্যের শক্তি দিন দিন বাড়ছে আর আমরা শক্তিহীন হয়ে পড়ছি। হাঁসফাঁস করেও যেন সে দৈত্যের কবল থেকে নিজেদের ছাড়াতে পারছি না। বরং সে দৈত্যকে শক্তিমান হতে আমরা মানুষেরাই যেন বেশি করে সাহায্য করছি আর পরিণতিতে আমরা আরও বেশি সংকটে পড়ছি।
১৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কয়েক দিন আগে একটি সভায় বলেছেন, দেশে একটি ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন (সত্য ও পুনর্মিলন কমিশন) গঠন করা হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য এটি খুবই প্রয়োজন। ভালো হতো যদি বাহাত্তর সালেই এ রকম একটি কমিশন গঠন করা হতো। তিনি বলেছেন...
২ দিন আগেযে বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলন হয়েছিল আমাদের সামনে, তার কতখানি পূরণের পথে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যৌক্তিক হবে। ফরাসি বিপ্লব স্বাধীনতা, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের দাবিতে সংঘটিত হয়েছিল। সেটা কেবল একজন রাজাকে অপসারণ করার উদ্দেশ্যে ছিল না; বরং সমাজকাঠামোকেই নতুন করে গড়ে তোলার ঘোষণা ছিল...
২ দিন আগেপারিবারিক যেকোনো দিবসে যখন আমরা পরিবারের বন্ধন, ভালোবাসা ও সমর্থনের কথা বলি, তখন একটি মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়—একজন পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যা। এই ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং আমাদের সমাজে পারিবারিক কলহের ভয়াবহ পরিণতির একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।
২ দিন আগে