সম্পাদকীয়
এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে উত্তরপত্র দেওয়া হচ্ছিল যখন, তখন এক ছাত্রদল নেতা কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিতে থাকেন। এই বীরত্বপূর্ণ ছবি আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার হলে কীভাবে এই ছাত্রদল নেতা ঢুকলেন, তার ব্যাখ্যা যা-ই হোক না কেন, এ যে আমাদের চরম নৈতিকতাহীনতার প্রকাশ, সে কথা বললে অত্যুক্তি হবে না। নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া কলেজের একটি কক্ষে কর্তব্যরত চার পরিদর্শক-শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রসচিব ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকেও শোকজ করা হয়েছে। সবই ঠিক আছে, কিন্তু শোকজ, অব্যাহতি—এই ব্যাপারগুলো কি আদতে পেশিশক্তিকে দমাতে পারবে?
দেশের বড় সব সংকট পাশে রাখলে এই ঘটনাটিকে নিতান্ত তুচ্ছ ব্যাপার বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এতে যে মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে, তা আইন মেনে না চলা, পেশিশক্তির ক্ষমতা প্রদর্শন করার মতো ভয়ংকরতা ফুটিয়ে তুলেছে। দেশের বড় বড় সংকট সৃষ্টির ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনাগুলোই বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। ছোট ঘটনাগুলো আমলে না নিলে জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসে এই ঘটনাগুলো দানবীয় হয়ে ওঠে। তখন বৃহৎ পরিসরে আইনকে থোড়াই কেয়ার করে অনৈতিক ও বেআইনি কাজ করা সম্ভব হয়।
কে না জানে, এইচএসসি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতীত আর কারও প্রবেশাধিকার নেই। পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকা অবস্থায় পরীক্ষাকেন্দ্রে সহযোগীসহ ঢোকার সময় এই ছাত্রদল নেতা কোথাও কোনো বাধা পাননি। এই ছাত্রদল নেতা পরীক্ষার হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের কী ধরনের নির্দেশনা দিতে গিয়েছিলেন? এমন কোনো অমোঘ বাণী কি তিনি ছড়িয়েছিলেন, যে বাণীর মাহাত্ম্যে শিক্ষার্থীদের পুরো জীবন পরিবর্তিত হয়ে গেছে? শিক্ষার্থীদের মনে কি এই প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছিল যে, পরীক্ষা চলাকালে, উত্তরপত্র বিতরণকালে কোনো বহিরাগত পরীক্ষার হলে থাকতে পারবে না? যদি হয়ে থাকে, তাহলে তাঁদের কেউ অথবা শিক্ষকদের কেউ কি সে প্রশ্নটি রেখেছিলেন সেই ছাত্রদল নেতার কাছে?
শিক্ষকেরা যে সে প্রশ্ন রাখেননি, তা চার শিক্ষকের অব্যাহতির নির্দেশ থেকেই বোঝা যায়। শিক্ষার্থীরা কি এর প্রতিবাদ করতে পারতেন? নিশ্চয়ই পারতেন, কিন্তু তাঁরাও করেননি। কেন করেননি? কারণ হিসেবে বলা যায়, এই প্রতিবাদের ফলে আখেরে যে সন্ত্রাসের সৃষ্টি হবে, তা সামলানো যাবে না, এ কথা তাঁরা বোঝেন। অর্থাৎ, বলাই যায়, স্থানীয় পেশিশক্তির অধিকারীর কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাই জিম্মি হয়ে থাকে। এটা কেবল নাটোরের এই কলেজেরই ঘটনা নয়, যেখানেই পেশিশক্তি বা ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সুযোগ আসে, সেখানেই তা ঘটতে থাকে।
ছাত্রদলের এই বীরপুঙ্গবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটা দেখার পাশাপাশি আইন ভঙ্গ করে পরীক্ষার হলে ঢোকার অপরাধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা দেখাও জরুরি।
এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে উত্তরপত্র দেওয়া হচ্ছিল যখন, তখন এক ছাত্রদল নেতা কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিতে থাকেন। এই বীরত্বপূর্ণ ছবি আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার হলে কীভাবে এই ছাত্রদল নেতা ঢুকলেন, তার ব্যাখ্যা যা-ই হোক না কেন, এ যে আমাদের চরম নৈতিকতাহীনতার প্রকাশ, সে কথা বললে অত্যুক্তি হবে না। নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া কলেজের একটি কক্ষে কর্তব্যরত চার পরিদর্শক-শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রসচিব ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকেও শোকজ করা হয়েছে। সবই ঠিক আছে, কিন্তু শোকজ, অব্যাহতি—এই ব্যাপারগুলো কি আদতে পেশিশক্তিকে দমাতে পারবে?
দেশের বড় সব সংকট পাশে রাখলে এই ঘটনাটিকে নিতান্ত তুচ্ছ ব্যাপার বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এতে যে মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে, তা আইন মেনে না চলা, পেশিশক্তির ক্ষমতা প্রদর্শন করার মতো ভয়ংকরতা ফুটিয়ে তুলেছে। দেশের বড় বড় সংকট সৃষ্টির ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনাগুলোই বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। ছোট ঘটনাগুলো আমলে না নিলে জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসে এই ঘটনাগুলো দানবীয় হয়ে ওঠে। তখন বৃহৎ পরিসরে আইনকে থোড়াই কেয়ার করে অনৈতিক ও বেআইনি কাজ করা সম্ভব হয়।
কে না জানে, এইচএসসি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতীত আর কারও প্রবেশাধিকার নেই। পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকা অবস্থায় পরীক্ষাকেন্দ্রে সহযোগীসহ ঢোকার সময় এই ছাত্রদল নেতা কোথাও কোনো বাধা পাননি। এই ছাত্রদল নেতা পরীক্ষার হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের কী ধরনের নির্দেশনা দিতে গিয়েছিলেন? এমন কোনো অমোঘ বাণী কি তিনি ছড়িয়েছিলেন, যে বাণীর মাহাত্ম্যে শিক্ষার্থীদের পুরো জীবন পরিবর্তিত হয়ে গেছে? শিক্ষার্থীদের মনে কি এই প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছিল যে, পরীক্ষা চলাকালে, উত্তরপত্র বিতরণকালে কোনো বহিরাগত পরীক্ষার হলে থাকতে পারবে না? যদি হয়ে থাকে, তাহলে তাঁদের কেউ অথবা শিক্ষকদের কেউ কি সে প্রশ্নটি রেখেছিলেন সেই ছাত্রদল নেতার কাছে?
শিক্ষকেরা যে সে প্রশ্ন রাখেননি, তা চার শিক্ষকের অব্যাহতির নির্দেশ থেকেই বোঝা যায়। শিক্ষার্থীরা কি এর প্রতিবাদ করতে পারতেন? নিশ্চয়ই পারতেন, কিন্তু তাঁরাও করেননি। কেন করেননি? কারণ হিসেবে বলা যায়, এই প্রতিবাদের ফলে আখেরে যে সন্ত্রাসের সৃষ্টি হবে, তা সামলানো যাবে না, এ কথা তাঁরা বোঝেন। অর্থাৎ, বলাই যায়, স্থানীয় পেশিশক্তির অধিকারীর কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাই জিম্মি হয়ে থাকে। এটা কেবল নাটোরের এই কলেজেরই ঘটনা নয়, যেখানেই পেশিশক্তি বা ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সুযোগ আসে, সেখানেই তা ঘটতে থাকে।
ছাত্রদলের এই বীরপুঙ্গবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটা দেখার পাশাপাশি আইন ভঙ্গ করে পরীক্ষার হলে ঢোকার অপরাধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা দেখাও জরুরি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছিলেন, বিএনপি তখন ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চেয়ে আসছিল। তবে গত ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রসঙ্গ এলে তাতে একমত হওয়ার..
২৬ মিনিট আগেআমি তখন ক্লাস টেনের ছাত্র। প্রধান শিক্ষক ডেকে পাঠিয়েছেন শুনে আমি তো রীতিমতো ঘামতে শুরু করে দিয়েছি। এ কে মাহমুদুল হক ছিলেন রাশভারী কিন্তু মজার মানুষ। আবার কড়া বলতে কড়ার গুরু। তিনি ডেকে পাঠাবেন কেন? এই প্রশ্নের জবাব মিলল তাঁর রুমে যাওয়ার পর। হঠাৎ করেই স্কুলে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা...
৩ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবন এক আশ্চর্য দাঁড়িপাল্লার মতো। এক পাশ কানায় কানায় আনন্দ তো অন্য পাশে সমান সমান বিষাদ।
৩ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রামে আলুচাষিরা হিমাগারমালিকদের হারিয়ে দিয়েছেন। হঠাৎ করেই আলুর জন্য হিমাগার ভাড়া বস্তাপ্রতি ৩৫০ টাকার পরিবর্তে কেজিপ্রতি ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করেছিলেন তাঁরা। কৃষকেরা সেই সিদ্ধান্তের তুমুল প্রতিবাদ করেছেন। আন্দোলনের মুখে সব পক্ষ এক হয়ে বসে আগের দামই পুনর্বহাল করে।
৩ ঘণ্টা আগে