সম্পাদকীয়
আগস্টে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর সেপ্টেম্বরে নেত্রকোনা জেলায়ও আকস্মিক ও ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মূলত উজানের পাহাড়ি ঢল থেকে নেমে আসা পানি এবং অতিবৃষ্টির কারণে নেত্রকোনায় এবারের বন্যা দেখা দেয়। নেত্রকোনায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর তার ক্ষতির চিহ্ন এখন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বন্যার কারণে জেলার নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, পূর্বধলা, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে এলাকার প্রধান সড়ক, পুকুরের মাছ, ফসল ও সবজির। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৭১ কোটি টাকা।
আমাদের দেশে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। কারণ, অসময়ে বন্যা হওয়ার কারণে নতুনভাবে ধান চাষ করা সম্ভব হয় না। নতুন করে ধান চাষ করতে না পারলে পরিবারে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। ধান রোপণ করার জন্য একটি ব্যয় আছে। বন্যার পর নতুন করে রোপণের মতো আর্থিক সংগতি থাকে না অধিকাংশ কৃষকের। ফলে ধান চাষ করতে না পারলে এর প্রভাব পড়ে পুরো পরিবারের ওপর। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। অধিকাংশ কৃষক পরিবারের সঞ্চয়ের সামর্থ্য থাকে না।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন মাছচাষিরাও। বন্যায় আক্রান্ত এলাকায় অধিকাংশ পুকুর তলিয়ে যায় এবং পুকুরের পাড় ভেঙে যায়। ফলে পুকুর থেকে মাছ বাইরে চলে যায়। বন্যার পর নতুন করে পুকুর সংস্কার করে পোনা ছাড়া সম্ভব হয় না।
বন্যায় বড় ক্ষতি হয় এলাকার সড়কগুলোর। এলাকার লোকজন এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না।
যেকোনো একটি অঞ্চলে বন্যা হলে তার পুরো প্রভাব পড়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ব্যাপকভাবে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে দেশের সামগ্রিক খাদ্য মজুতের ওপর প্রভাব পড়ে।
তবে বন্যা হলে পলি পড়ে। পরবর্তী সময়ে পলির কারণে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায়। কিন্তু আমাদের মতো দেশে বন্যার উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিক বেশি পরিলক্ষিত হয়।
বন্যাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। পৃথিবীর অনেক দেশে বন্যা আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিলেও আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে তা অভিশাপ। এ দেশে আগে থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। নদীগুলোকে আগে থেকে খনন করে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করা গেলে অনেক ক্ষেত্রে বন্যার ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত নদী দখল করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কারণে এর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। আবার দখলের কারণে দেশের অধিকাংশ নদী অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে।
নেত্রকোনায় অসময়ে বন্যার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় আছেন কৃষক ও মাছচাষিরা। তাঁদের যদি এখন সরকারিভাবে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া যায়, তাহলে তাঁরা অন্তত নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
আগস্টে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর সেপ্টেম্বরে নেত্রকোনা জেলায়ও আকস্মিক ও ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মূলত উজানের পাহাড়ি ঢল থেকে নেমে আসা পানি এবং অতিবৃষ্টির কারণে নেত্রকোনায় এবারের বন্যা দেখা দেয়। নেত্রকোনায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর তার ক্ষতির চিহ্ন এখন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বন্যার কারণে জেলার নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, পূর্বধলা, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে এলাকার প্রধান সড়ক, পুকুরের মাছ, ফসল ও সবজির। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৭১ কোটি টাকা।
আমাদের দেশে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। কারণ, অসময়ে বন্যা হওয়ার কারণে নতুনভাবে ধান চাষ করা সম্ভব হয় না। নতুন করে ধান চাষ করতে না পারলে পরিবারে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। ধান রোপণ করার জন্য একটি ব্যয় আছে। বন্যার পর নতুন করে রোপণের মতো আর্থিক সংগতি থাকে না অধিকাংশ কৃষকের। ফলে ধান চাষ করতে না পারলে এর প্রভাব পড়ে পুরো পরিবারের ওপর। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। অধিকাংশ কৃষক পরিবারের সঞ্চয়ের সামর্থ্য থাকে না।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন মাছচাষিরাও। বন্যায় আক্রান্ত এলাকায় অধিকাংশ পুকুর তলিয়ে যায় এবং পুকুরের পাড় ভেঙে যায়। ফলে পুকুর থেকে মাছ বাইরে চলে যায়। বন্যার পর নতুন করে পুকুর সংস্কার করে পোনা ছাড়া সম্ভব হয় না।
বন্যায় বড় ক্ষতি হয় এলাকার সড়কগুলোর। এলাকার লোকজন এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না।
যেকোনো একটি অঞ্চলে বন্যা হলে তার পুরো প্রভাব পড়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ব্যাপকভাবে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে দেশের সামগ্রিক খাদ্য মজুতের ওপর প্রভাব পড়ে।
তবে বন্যা হলে পলি পড়ে। পরবর্তী সময়ে পলির কারণে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায়। কিন্তু আমাদের মতো দেশে বন্যার উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিক বেশি পরিলক্ষিত হয়।
বন্যাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। পৃথিবীর অনেক দেশে বন্যা আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিলেও আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে তা অভিশাপ। এ দেশে আগে থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। নদীগুলোকে আগে থেকে খনন করে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করা গেলে অনেক ক্ষেত্রে বন্যার ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত নদী দখল করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কারণে এর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। আবার দখলের কারণে দেশের অধিকাংশ নদী অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে।
নেত্রকোনায় অসময়ে বন্যার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় আছেন কৃষক ও মাছচাষিরা। তাঁদের যদি এখন সরকারিভাবে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া যায়, তাহলে তাঁরা অন্তত নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তা কি খুব অপ্রত্যাশিত ছিল? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। কিন্তু ঘটনা এত বড় হবে, সে তথ্য ছিল না।’ অর্থাৎ ছোটখাটো ঘটনা ঘটবে, সেটা সরকারের জানা ছিল।
৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ফেনীসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। গত বছরও ফেনী, নোয়াখালীতে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, বন্যার পানি যত না ভয়ংকর, তার চেয়েও বেশি বিপদ হয় নিরাপদ আশ্রয় আর খাদ্যসংকট নিয়ে।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা ওয়াসার নকশাকারক পদে আছেন জি এম আব্দুল গফফার। তাঁর নিয়োগ হয়েছিল পাম্প অপারেটর পদে। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি প্রভাব খাটিয়ে পাম্প থেকে প্রধান কার্যালয়ে চলে আসেন।
৪ ঘণ্টা আগেআবারও বন্যা, আবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দেশের পূর্বাঞ্চলে, বিশেষত ফেনী অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে একাধিক নদীর প্লাবন এবং সেই সঙ্গে অবিরাম বর্ষণের ফলে উত্তরবঙ্গও বন্যা প্লাবিত হতে পারে।
১ দিন আগে