সম্পাদকীয়
সংখ্যাটা খুব কম। আট বছরে মাত্র ২ হাজার ৬০৬। ১৮ কোটি জনসংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যাটা সামান্যই। এই সামান্যসংখ্যক ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। ঘর-সংসার পেতেছেন ভিনদেশে। অনেকে মনে করতে পারেন—এই স্বল্পসংখ্যক ব্যক্তির বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকলে কিছু যায়-আসে না। কিন্তু একটু গভীরভাবে ভেবে দেখুন, কপালে ভাঁজ পড়বে চিন্তার।
গত সোমবারের আজকের পত্রিকা হাতে নিলেই প্রধান শিরোনামের গোটা গোটা হরফগুলো চোখে পড়ে—নাগরিকত্ব ছাড়ার হার বাড়ছে। সংবাদটিতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করার হিসাব ও নানা কারণ উঠে এসেছে।
২০১৭ সালের আগের নথি হারিয়ে যাওয়ায় নাগরিকত্ব ছাড়ার মোট হিসাব নেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে। তবে দিন দিন এর হার বাড়ছে। আরও বাড়ছে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। বিগত আট বছরে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন। ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেওয়া শুরু করলে এ পর্যন্ত এই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৮৭৫।
এর মধ্যে যাঁরা দেশে টাকা পাঠান, দেশের অর্থনীতিতে নিশ্চয়ই তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু এই নাগরিকত্ব ত্যাগ করার বা দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করার কারণগুলো দেশের ভাবমূর্তির জন্য মোটেও সুখের কথা নয়। খবরেই বলা হয়েছে—দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, নিরন্তর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতির কারণে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও উচ্চ দক্ষতার ব্যক্তিরা ভিনদেশে গিয়ে থিতু হচ্ছেন।
এ ছাড়া অনেকে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। সে ভালো কথা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অনেকে ফিরে আসেন না শুধু দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। যাঁরা দুর্নীতি করে টাকা পাচার করেন, তাঁরা একসময় পরিবারসহ নিজেদেরও পাচার করে নিয়ে যান! একদিকে তাঁরা আইনের শাস্তি থেকে তো বাঁচেনই, আরেক দিকে দেশের সম্পদ লুটে দেশকে ফাঁপা করে দেন। এ দেশে কিচ্ছু নেই—এ কথা ভেবেও হয়তো অনেক সৎ ব্যক্তি দেশ ছেড়ে অন্য কোনো দেশে স্থায়ী হন।
নিরাপত্তাজনিত কারণও বিবেচনার বিষয়। সড়ক দুর্ঘটনা তো বটেই, চুরি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণ—এমন অপরাধ সব সমাজেই হয়। তবে পৃথিবীর অনেক দেশেই কঠোর নিরাপত্তা ও আইনের সুশাসন আছে বলে সেসব দেশে ভিড় করার মানুষের অভাব হয় না। এদিকে আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলার ওপর জনগণ আস্থা রাখতে পারে না। কারণ, জনগণ সেই সব সেবা সঠিকভাবে পায়নি।
অপরাধ আর রাজনৈতিক দূষণ ছাড়াও পরিবেশদূষণে আমরা পিছিয়ে নেই। যাঁরা নির্মল প্রকৃতির মাঝে বাঁচতে চান, তাঁরা নিশ্চয়ই যানবাহনের কালো ধোঁয়ায় দম নিতে নিতে রাস্তায় চলাচল করতে চান না, ময়লার ভাগাড়ের পাশ দিয়ে হাঁটতে চান না, ভেজাল খাবার খেতে চান না। তাঁরা চান আগামী প্রজন্মের নিরাপদ ভবিষ্যৎ, যা এই দেশে এখনো প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি বলেই দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। ব্যাপারটা দেশের জন্য, দেশের শাসকদের জন্য লজ্জাজনক নয় কি?
সংখ্যাটা খুব কম। আট বছরে মাত্র ২ হাজার ৬০৬। ১৮ কোটি জনসংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যাটা সামান্যই। এই সামান্যসংখ্যক ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। ঘর-সংসার পেতেছেন ভিনদেশে। অনেকে মনে করতে পারেন—এই স্বল্পসংখ্যক ব্যক্তির বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকলে কিছু যায়-আসে না। কিন্তু একটু গভীরভাবে ভেবে দেখুন, কপালে ভাঁজ পড়বে চিন্তার।
গত সোমবারের আজকের পত্রিকা হাতে নিলেই প্রধান শিরোনামের গোটা গোটা হরফগুলো চোখে পড়ে—নাগরিকত্ব ছাড়ার হার বাড়ছে। সংবাদটিতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করার হিসাব ও নানা কারণ উঠে এসেছে।
২০১৭ সালের আগের নথি হারিয়ে যাওয়ায় নাগরিকত্ব ছাড়ার মোট হিসাব নেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে। তবে দিন দিন এর হার বাড়ছে। আরও বাড়ছে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। বিগত আট বছরে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন। ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেওয়া শুরু করলে এ পর্যন্ত এই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৮৭৫।
এর মধ্যে যাঁরা দেশে টাকা পাঠান, দেশের অর্থনীতিতে নিশ্চয়ই তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু এই নাগরিকত্ব ত্যাগ করার বা দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করার কারণগুলো দেশের ভাবমূর্তির জন্য মোটেও সুখের কথা নয়। খবরেই বলা হয়েছে—দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, নিরন্তর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতির কারণে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও উচ্চ দক্ষতার ব্যক্তিরা ভিনদেশে গিয়ে থিতু হচ্ছেন।
এ ছাড়া অনেকে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। সে ভালো কথা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অনেকে ফিরে আসেন না শুধু দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। যাঁরা দুর্নীতি করে টাকা পাচার করেন, তাঁরা একসময় পরিবারসহ নিজেদেরও পাচার করে নিয়ে যান! একদিকে তাঁরা আইনের শাস্তি থেকে তো বাঁচেনই, আরেক দিকে দেশের সম্পদ লুটে দেশকে ফাঁপা করে দেন। এ দেশে কিচ্ছু নেই—এ কথা ভেবেও হয়তো অনেক সৎ ব্যক্তি দেশ ছেড়ে অন্য কোনো দেশে স্থায়ী হন।
নিরাপত্তাজনিত কারণও বিবেচনার বিষয়। সড়ক দুর্ঘটনা তো বটেই, চুরি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণ—এমন অপরাধ সব সমাজেই হয়। তবে পৃথিবীর অনেক দেশেই কঠোর নিরাপত্তা ও আইনের সুশাসন আছে বলে সেসব দেশে ভিড় করার মানুষের অভাব হয় না। এদিকে আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলার ওপর জনগণ আস্থা রাখতে পারে না। কারণ, জনগণ সেই সব সেবা সঠিকভাবে পায়নি।
অপরাধ আর রাজনৈতিক দূষণ ছাড়াও পরিবেশদূষণে আমরা পিছিয়ে নেই। যাঁরা নির্মল প্রকৃতির মাঝে বাঁচতে চান, তাঁরা নিশ্চয়ই যানবাহনের কালো ধোঁয়ায় দম নিতে নিতে রাস্তায় চলাচল করতে চান না, ময়লার ভাগাড়ের পাশ দিয়ে হাঁটতে চান না, ভেজাল খাবার খেতে চান না। তাঁরা চান আগামী প্রজন্মের নিরাপদ ভবিষ্যৎ, যা এই দেশে এখনো প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি বলেই দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। ব্যাপারটা দেশের জন্য, দেশের শাসকদের জন্য লজ্জাজনক নয় কি?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি একটি অনন্য মাস। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য যে পথ রচনা করে দিয়েছে, সেই পথই দেশকে পৌঁছে দিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের আপামর ছাত্র-শ্রমিক-জনতা রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে সেই পথকে করেছে মসৃণ...
২ মিনিট আগেবাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি একধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নানা বাধা দেখা যাচ্ছে। এসব ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবন্ধকতা নয়; বরং বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
৫ মিনিট আগেআজ থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এই আয়োজন প্রাণের মেলায় পরিণত হোক, সেই কামনা করি। তবে আজ বইমেলা নিয়ে নয়, বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে যে নাটক অভিনীত হলো, তা নিয়েই কিছু কথা বলা সংগত হবে।
৮ মিনিট আগে২০ বছর আগে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অটিজম শব্দটির অস্তিত্ব প্রায় খুঁজে পাওয়া যেত না। অটিজম বিষয়ে মানুষের ধারণা সীমিত ছিল। ঠিক সেই সময়ে অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘কানন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি চারতলা ভাড়া বাড়িতে...
১৮ ঘণ্টা আগে