সম্পাদকীয়
একবার পুজোর ছুটিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুরে বেড়াতে গেছেন। সেখান থেকে দুই মাতুল সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় আর গিরীন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে স্টিমারে করে কলকাতায় ফিরছেন। সে সময় পাটনা থেকে কলকাতায় নিয়মিত স্টিমার সার্ভিস ছিল।
বিকেলে স্টিমারটি থেমেছিল কাহালগাঁ নামের একটি স্টেশনে। সেখানে অল্প সময়ের জন্যই থামে স্টিমার। কিন্তু মাল বোঝাই হবে বলে একটু সময় নিচ্ছিল। শরৎচন্দ্র নেমে গেলেন স্টিমার থেকে। স্টিমার ছাড়ার সময় হয়ে আসছে দেখে মামা দুজন অস্থির হয়ে উঠলেন। তাঁরা খুঁজতে বের হলেন ভাগনেকে। কিছু দূর গিয়ে দেখেন স্টিমার ঘাটের অদূরে যে খাবারের দোকানটি আছে, তার সামনের মাঠে বসে আছেন শরৎচন্দ্র। আর তাঁর চারপাশে পনেরো–কুড়িটি কুকুর দই-চিড়ে খাচ্ছে। একটি বারো-তেরো বছর বয়সী ছেলের হাতে দই-চিড়া মাখানো। বোঝা গেল, সে-ই হলো পরিবেশক। ছেলেটাকে মজুরি দিলেন শরৎচন্দ্র। তারপর দোকানিকে খাবারের দাম দিলেন। খুচরো পয়সা আর নিলেন না। বললেন রেখে দিতে।
কেন হঠাৎ পথের ধারের কুকুরদের খাওয়ালেন, স্টিমারে ফিরে আসতে আসতে মামাদের কাছে সেই গল্প করলেন শরৎচন্দ্র।
একবার এক ধনী পরিবার থেকে নিমন্ত্রণ এল। সেই বাড়ির মেয়েরা শরৎচন্দ্রের বই পড়েন। মারবেল পাথরের মেঝেতে জমকালো আসন। সেখানেই খাবারের আয়োজন। খাবারের বৈচিত্র্য আর পরিমাণ দেখে মনে হতে পারে শরৎবাবু রাক্ষস! শরৎচন্দ্র দেখলেন, বাড়ির উঠোনে বেজায় রোগা একদল কুকুর দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি বাড়ির কর্তাকে বললেন, ‘একটা গামলা দিতে পারেন?’ তিনি গামলা নিয়ে এলে খাবারের একটা বড় অংশ নিয়ে কুকুরদের সামনে খেতে দিলেন।
পরে গৃহকর্তা জিজ্ঞেস করলেন, ‘খাবার তো ছেলেপুলেরাও খেতে পারত!’
শরৎচন্দ্র বলেছিলেন, ‘তারা তো রোজই খায়। কিন্তু কুকুরগুলো আজ খেয়ে বাঁচল।’
এরপর তিনি বলেছেন, ‘যারা সত্যিই খেতে পায় না, তারা খেলেই হয় অপব্যয়!’
সূত্র: গোপালচন্দ্র রায়, শরৎচন্দ্রের বৈঠকি গল্প, পৃষ্ঠা ২৪-২৫
একবার পুজোর ছুটিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুরে বেড়াতে গেছেন। সেখান থেকে দুই মাতুল সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় আর গিরীন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে স্টিমারে করে কলকাতায় ফিরছেন। সে সময় পাটনা থেকে কলকাতায় নিয়মিত স্টিমার সার্ভিস ছিল।
বিকেলে স্টিমারটি থেমেছিল কাহালগাঁ নামের একটি স্টেশনে। সেখানে অল্প সময়ের জন্যই থামে স্টিমার। কিন্তু মাল বোঝাই হবে বলে একটু সময় নিচ্ছিল। শরৎচন্দ্র নেমে গেলেন স্টিমার থেকে। স্টিমার ছাড়ার সময় হয়ে আসছে দেখে মামা দুজন অস্থির হয়ে উঠলেন। তাঁরা খুঁজতে বের হলেন ভাগনেকে। কিছু দূর গিয়ে দেখেন স্টিমার ঘাটের অদূরে যে খাবারের দোকানটি আছে, তার সামনের মাঠে বসে আছেন শরৎচন্দ্র। আর তাঁর চারপাশে পনেরো–কুড়িটি কুকুর দই-চিড়ে খাচ্ছে। একটি বারো-তেরো বছর বয়সী ছেলের হাতে দই-চিড়া মাখানো। বোঝা গেল, সে-ই হলো পরিবেশক। ছেলেটাকে মজুরি দিলেন শরৎচন্দ্র। তারপর দোকানিকে খাবারের দাম দিলেন। খুচরো পয়সা আর নিলেন না। বললেন রেখে দিতে।
কেন হঠাৎ পথের ধারের কুকুরদের খাওয়ালেন, স্টিমারে ফিরে আসতে আসতে মামাদের কাছে সেই গল্প করলেন শরৎচন্দ্র।
একবার এক ধনী পরিবার থেকে নিমন্ত্রণ এল। সেই বাড়ির মেয়েরা শরৎচন্দ্রের বই পড়েন। মারবেল পাথরের মেঝেতে জমকালো আসন। সেখানেই খাবারের আয়োজন। খাবারের বৈচিত্র্য আর পরিমাণ দেখে মনে হতে পারে শরৎবাবু রাক্ষস! শরৎচন্দ্র দেখলেন, বাড়ির উঠোনে বেজায় রোগা একদল কুকুর দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি বাড়ির কর্তাকে বললেন, ‘একটা গামলা দিতে পারেন?’ তিনি গামলা নিয়ে এলে খাবারের একটা বড় অংশ নিয়ে কুকুরদের সামনে খেতে দিলেন।
পরে গৃহকর্তা জিজ্ঞেস করলেন, ‘খাবার তো ছেলেপুলেরাও খেতে পারত!’
শরৎচন্দ্র বলেছিলেন, ‘তারা তো রোজই খায়। কিন্তু কুকুরগুলো আজ খেয়ে বাঁচল।’
এরপর তিনি বলেছেন, ‘যারা সত্যিই খেতে পায় না, তারা খেলেই হয় অপব্যয়!’
সূত্র: গোপালচন্দ্র রায়, শরৎচন্দ্রের বৈঠকি গল্প, পৃষ্ঠা ২৪-২৫
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
১ দিন আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
১ দিন আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
১ দিন আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
২ দিন আগে