সম্পাদকীয়
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গৃহীত উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি আনলেও এর ব্যয়ের হিসাব অনেককে তাজ্জব করে দিয়েছে। মাত্র ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি বাঁধ সংস্কারে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা এবং প্রতি ফুটে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা খরচের যে অভিযোগ উঠেছে, তা যেকোনো সচেতন মানুষকে হতবিহ্বল করবে। এ নিয়ে ৬ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
একটি ছোট বাঁধ সংস্কারে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া এই প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া সরকারি অর্থ লুটপাট করার একটা হীন চেষ্টা হয়েছে। এভাবে দু-এক বছর পরপর বর্ষার আগে একই স্থানে বালুর বস্তা ফেলে সংস্কার করাটা সন্দেহজনক বৈকি।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, বাঁধের ওপরের দিকে ১২ মিটার ব্লক এবং নিচে ১৫ মিটার বালুর বস্তা ফেলা হবে। তবে এই কাজের জন্য এত বিশাল অঙ্কের অর্থ কেন প্রয়োজন, তার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। বরং পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলীর তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের পরামর্শ এবং অন্যান্য কর্মকর্তার নীরবতা এই অস্বচ্ছতাকে আরও সন্দেহজনক করে তুলেছে।
বাঁধের ঠিক বিপরীতেই পুলিশ লাইনসের ভেতরে একটি পুকুর রয়েছে। দুটি জলাধারের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে মাটির নিচ দিয়ে পানি চলাচল বাঁধের ক্ষতি করতে পারে। যদি এটিই বারবার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মূল কারণ হয়, তবে শুধু বালুর বস্তা ফেলে দায়সারা গোছের সংস্কার না করে এর একটি স্থায়ী ও বিজ্ঞানসম্মত সমাধান খোঁজা জরুরি ছিল। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধানের পথ না খুঁজে, শুধু অর্থ লোপাটের জন্য দু-এক বছর পরপর বালুর বস্তা ফেলে ক্ষণস্থায়ী সংস্কার করা হচ্ছে কেন? এই ঘটনা একদিকে যেমন সরকারি অর্থের অপচয় ও দুর্নীতির একটি সম্ভাব্য চিত্র উন্মোচন করে, তেমনি অন্যদিকে উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবকেও প্রকট করে তোলে।
এই অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা
প্রণয়ন এবং তার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি। একই সঙ্গে পদ্মার এই
বাঁধের একটি স্থায়ী ও টেকসই সমাধান করা খুব জরুরি।
সরকারি যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা। যাতে পরবর্তী সময়ে অন্য কোথাও যেন একই রকমের অপরাধ সংঘটিত হতে না পারে। উন্নয়ন প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্যই এটা করতে হবে। অন্যথায় উন্নয়নের নামে সরকারি অর্থের হরিলুট চলতেই থাকবে এবং জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হবে।
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গৃহীত উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি আনলেও এর ব্যয়ের হিসাব অনেককে তাজ্জব করে দিয়েছে। মাত্র ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি বাঁধ সংস্কারে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা এবং প্রতি ফুটে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা খরচের যে অভিযোগ উঠেছে, তা যেকোনো সচেতন মানুষকে হতবিহ্বল করবে। এ নিয়ে ৬ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
একটি ছোট বাঁধ সংস্কারে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া এই প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া সরকারি অর্থ লুটপাট করার একটা হীন চেষ্টা হয়েছে। এভাবে দু-এক বছর পরপর বর্ষার আগে একই স্থানে বালুর বস্তা ফেলে সংস্কার করাটা সন্দেহজনক বৈকি।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, বাঁধের ওপরের দিকে ১২ মিটার ব্লক এবং নিচে ১৫ মিটার বালুর বস্তা ফেলা হবে। তবে এই কাজের জন্য এত বিশাল অঙ্কের অর্থ কেন প্রয়োজন, তার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। বরং পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলীর তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের পরামর্শ এবং অন্যান্য কর্মকর্তার নীরবতা এই অস্বচ্ছতাকে আরও সন্দেহজনক করে তুলেছে।
বাঁধের ঠিক বিপরীতেই পুলিশ লাইনসের ভেতরে একটি পুকুর রয়েছে। দুটি জলাধারের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে মাটির নিচ দিয়ে পানি চলাচল বাঁধের ক্ষতি করতে পারে। যদি এটিই বারবার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মূল কারণ হয়, তবে শুধু বালুর বস্তা ফেলে দায়সারা গোছের সংস্কার না করে এর একটি স্থায়ী ও বিজ্ঞানসম্মত সমাধান খোঁজা জরুরি ছিল। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধানের পথ না খুঁজে, শুধু অর্থ লোপাটের জন্য দু-এক বছর পরপর বালুর বস্তা ফেলে ক্ষণস্থায়ী সংস্কার করা হচ্ছে কেন? এই ঘটনা একদিকে যেমন সরকারি অর্থের অপচয় ও দুর্নীতির একটি সম্ভাব্য চিত্র উন্মোচন করে, তেমনি অন্যদিকে উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবকেও প্রকট করে তোলে।
এই অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা
প্রণয়ন এবং তার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি। একই সঙ্গে পদ্মার এই
বাঁধের একটি স্থায়ী ও টেকসই সমাধান করা খুব জরুরি।
সরকারি যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা। যাতে পরবর্তী সময়ে অন্য কোথাও যেন একই রকমের অপরাধ সংঘটিত হতে না পারে। উন্নয়ন প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্যই এটা করতে হবে। অন্যথায় উন্নয়নের নামে সরকারি অর্থের হরিলুট চলতেই থাকবে এবং জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হবে।
গত সংখ্যায় লিখেছিলাম, এখন আর ছাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না, চারদিকে পরীক্ষার্থী। কিন্তু দ্রুতই দেখা যাচ্ছে, ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রদের একটা বৃহদাংশ রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের অঙ্গুলি হেলনে বড় বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম প্রাথমিক শিক্ষা
১৫ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানীরা বিংশ শতাব্দীজুড়ে বহির্জাগতিক প্রাণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। খুঁজেছেন কার্বনভিত্তিক, সিলিকনভিত্তিক বা অ্যামোনিয়া যৌগনির্ভর প্রাণ। এটা আমাদের জানা জরুরি যে প্রাণের প্রকৃতি, আর অন্য জায়গায় প্রাণ আছে কি না, তা আসলে একই প্রশ্নের দুটো দিক। তা হলো, ‘কেন আমরা এখানে?’ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে,
১৫ ঘণ্টা আগেপরিবার হলো মূলত রক্ত-সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সংগঠন, যেখানে সব সদস্যের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং বিনোদনের আয়োজন হয়ে থাকে। পরিবার কখন কী কারণে গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগের মত হলো, মানুষ সমতলে বসবাস করার সময় কৃষিকাজ শিখে ফেলে। কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য গোলাঘর
১৫ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, এ কথা নতুন নয়। এবং এ ব্যাপারে প্রমাণের অভাব নেই। একটা কিছু নিষিদ্ধ করলেই যে তা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ভাবাটাই ভুল। ধরুন, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে সেই দলটি যে ছদ্মবেশে বা তলে তলে রাজনীতি করবে না, সেই গ্যারান্টি কে দিতে পারে? তেমনি কেউ
১৫ ঘণ্টা আগে