সম্পাদকীয়
আমাদের দেশে কী করে যেন শিশু ধর্ষণের ব্যাপারটা ডালভাত হয়ে গেছে। মানুষে-মানুষে সম্পর্ক কেমন যেন শিথিল হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে সামাজিক বন্ধন। খুব কাছের কারও জীবনে ট্র্যাজিক কিছু না ঘটলে কেউ যেন তা অনুভব করে না।
৫৫ বছর বয়সী এক পুরুষ ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে ফরিদপুরে। ধর্ষণ করার পর তাকে হত্যাও করেছে। শিশুটি খেলতে গিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায়। শিশুদের তো খেলারই কথা। খেলতেই তো যাবে সে। কিন্তু পাল্টে যাওয়া পৃথিবীতে এই সত্য নিয়েও রয়েছে সংশয়। এ যুগে খেলার মাঠে শিশুদের খুব কম দেখা যায়। মোবাইল হাতে কিংবা টিভির মনিটরেই বরং তাদের বেশি খুঁজে পাওয়া যায়। কেবল টিভির বদৌলতে পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। সিরিয়াল বা সিনেমা দেখে অনেকে, আর স্মার্ট ফোন? স্মার্ট ফোনই তো এখন খেলার মাঠের জায়গা নিয়েছে। ৭ বছরের শিশুটি এ যুগের এইসব ক্যারিশমা হয়তো জানতই না। তাই আগের যুগের মতো খেলতে চলে গেছে মাঠে। আর সে সুযোগটাই নিয়েছে ৫৫ বছর বয়সী এক পাষণ্ড।
নিখোঁজ হওয়া শিশুটির খোঁজ পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বজনদের অনেকেই পোস্ট করেন। পুলিশে জানানো হয়। পুলিশও খুঁজতে থাকে শিশুটিকে।
এইটুকু বলে একটু থামতে হবে। যখন সবদিকে খোঁজা হচ্ছে শিশুটিকে, তখনো কি কেউ জানত, শিশুটির সঙ্গে কী ঘটছিল সে সময়? প্রায় বৃদ্ধ এক ব্যক্তির লালসার শিকার হচ্ছে তখন শিশুটি। ঘটনাটিকে কি মানসিক বিকার বলে স্বীকার করে নিলেই ল্যাঠা চুকে যাবে? নাকি এই মানসিক বিকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক হতে হবে? কিন্তু সতর্ক হওয়ার উপায় কী? এ জন্য তো পরিবারে, মহল্লায়, নগরে বা গ্রামে একধরনের নৈতিক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। কোনটা নৈতিক, কোনটা অনৈতিক, সে বোধ তো থাকতে হবে? ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষকে নৈতিকভাবে বলীয়ান করবে কে?
ধর্ষককে শনাক্ত করা গেছে, তাঁরই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭ বছর বয়সী শিশুর লাশ। উত্তেজিত জনতার রোষে গণপিটুনিতে মারা গেছে সেই ধর্ষকও। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পুলিশের উপস্থিতিকে পরোয়া না করে নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়ার এই প্রবণতাও তো কাম্য নয়। আইনি পথে এই অন্যায়ের সুরাহা হবে না—এভাবে সাধারণ মানুষ ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু সেটাও তো নৈতিকতাহীন এক শিক্ষা। এ থেকেইবা বের হওয়ার উপায় কী?
একই ঘটনায় দুটি সংকট দেখা যাচ্ছে। শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা, অন্যটি ধর্ষককে হত্যা। দুটি ঘটনা নিয়েই ভাবতে হবে। শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে দেশের মানুষকে। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তো হতে হবেই, সঙ্গে ধর্ষণবিরোধী প্রচারণা বাড়াতে হবে। আইন যদি ঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে সাধারণ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নেবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।
আমাদের দেশে কী করে যেন শিশু ধর্ষণের ব্যাপারটা ডালভাত হয়ে গেছে। মানুষে-মানুষে সম্পর্ক কেমন যেন শিথিল হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে সামাজিক বন্ধন। খুব কাছের কারও জীবনে ট্র্যাজিক কিছু না ঘটলে কেউ যেন তা অনুভব করে না।
৫৫ বছর বয়সী এক পুরুষ ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে ফরিদপুরে। ধর্ষণ করার পর তাকে হত্যাও করেছে। শিশুটি খেলতে গিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায়। শিশুদের তো খেলারই কথা। খেলতেই তো যাবে সে। কিন্তু পাল্টে যাওয়া পৃথিবীতে এই সত্য নিয়েও রয়েছে সংশয়। এ যুগে খেলার মাঠে শিশুদের খুব কম দেখা যায়। মোবাইল হাতে কিংবা টিভির মনিটরেই বরং তাদের বেশি খুঁজে পাওয়া যায়। কেবল টিভির বদৌলতে পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। সিরিয়াল বা সিনেমা দেখে অনেকে, আর স্মার্ট ফোন? স্মার্ট ফোনই তো এখন খেলার মাঠের জায়গা নিয়েছে। ৭ বছরের শিশুটি এ যুগের এইসব ক্যারিশমা হয়তো জানতই না। তাই আগের যুগের মতো খেলতে চলে গেছে মাঠে। আর সে সুযোগটাই নিয়েছে ৫৫ বছর বয়সী এক পাষণ্ড।
নিখোঁজ হওয়া শিশুটির খোঁজ পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বজনদের অনেকেই পোস্ট করেন। পুলিশে জানানো হয়। পুলিশও খুঁজতে থাকে শিশুটিকে।
এইটুকু বলে একটু থামতে হবে। যখন সবদিকে খোঁজা হচ্ছে শিশুটিকে, তখনো কি কেউ জানত, শিশুটির সঙ্গে কী ঘটছিল সে সময়? প্রায় বৃদ্ধ এক ব্যক্তির লালসার শিকার হচ্ছে তখন শিশুটি। ঘটনাটিকে কি মানসিক বিকার বলে স্বীকার করে নিলেই ল্যাঠা চুকে যাবে? নাকি এই মানসিক বিকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক হতে হবে? কিন্তু সতর্ক হওয়ার উপায় কী? এ জন্য তো পরিবারে, মহল্লায়, নগরে বা গ্রামে একধরনের নৈতিক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। কোনটা নৈতিক, কোনটা অনৈতিক, সে বোধ তো থাকতে হবে? ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষকে নৈতিকভাবে বলীয়ান করবে কে?
ধর্ষককে শনাক্ত করা গেছে, তাঁরই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭ বছর বয়সী শিশুর লাশ। উত্তেজিত জনতার রোষে গণপিটুনিতে মারা গেছে সেই ধর্ষকও। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পুলিশের উপস্থিতিকে পরোয়া না করে নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়ার এই প্রবণতাও তো কাম্য নয়। আইনি পথে এই অন্যায়ের সুরাহা হবে না—এভাবে সাধারণ মানুষ ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু সেটাও তো নৈতিকতাহীন এক শিক্ষা। এ থেকেইবা বের হওয়ার উপায় কী?
একই ঘটনায় দুটি সংকট দেখা যাচ্ছে। শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা, অন্যটি ধর্ষককে হত্যা। দুটি ঘটনা নিয়েই ভাবতে হবে। শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে দেশের মানুষকে। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তো হতে হবেই, সঙ্গে ধর্ষণবিরোধী প্রচারণা বাড়াতে হবে। আইন যদি ঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে সাধারণ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নেবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।
দেশ কোন পথে যাত্রা করেছে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে দেশের জনগণ। এক বছর আগে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে যে ঐক্য দেখা দিয়েছিল, এখন সেই ঐক্যের ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না কোথাও। বিভিন্ন দল তাদের নিজেদের পথ বেছে নিয়েছে। একে অন্যের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন দল বিভিন্ন...
৭ ঘণ্টা আগে‘জুলাই আন্দোলনের সময় যাঁরা রাজপথে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই নারীরা আজ ঘরে বসে আছেন। তাঁরা মুখ লুকিয়ে ফেলেছেন। এটা আমাদের জন্য ভালো বার্তা নয়।’—মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের এই বক্তব্য শুধু হতাশার প্রকাশ নয়, বরং এক ব্যর্থ সময়ের স্বীকারোক্তি। নারী যখন রাষ্ট্রবিরোধী নয়, বরং রাষ্ট্র
৭ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে কঠোর হয়েছে সে দেশের সরকার। গত সোমবার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে সন্দেহভাজন যে ১৩১ জনকে ফেরত পাঠানো হয়, তার ৯৬ জনই বাংলাদেশি। শুধু মালয়েশিয়ায়ই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণপ্রত্যাশী বাংলাদেশিরা ভিসা সমস্যায় পড়ছেন। ঘটনাটি উদ্বেগজনক।
৭ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়। এই আন্দোলন কেবল রাজপথের ঘটনা ছিল না; এর পেছনে ছিল এক গভীর সাংস্কৃতিক জাগরণ। অথচ আজ, এই ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে আমরা এক বিষণ্ন চিত্র দেখছি। যে রাষ্ট্র এই আন্দোলনের ফসল, সেই রাষ্ট্রই যেন বই, লেখক আর পাঠকের অস্তিত্বক
২১ ঘণ্টা আগে