সৌভিক রেজা
তিরিশোত্তর আধুনিক বাঙালি কবিদের মধ্যে অমিয় চক্রবর্তীর মতো আত্মস্থ কবি আমরা খুব কমই দেখতে পাই। জটিল মার্কিন সমাজে দীর্ঘদিন বসবাস করেও এই উপলব্ধি থেকে তিনি কখনো সরে আসেননি: ‘অপার্থিব কী তা আমার জানা নেই, খোলা চোখের সামনে এই আমার অফুরন্ত দু-দিনের দৃশ্যকাব্য।’ তাঁর একান্ত নিজস্ব চেতনার আদলে নির্মিত এই দৃশ্যকাব্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, জীবনানন্দ দাশের ভাষায়, ‘আঙ্গিকের একটা বিচিত্র আবহ’। আর এরই ‘ভিতর দিয়ে জীবনের অনুধ্যান’কে তিনি চিত্রিত করেছিলেন। সে কারণেই তাঁর কবিতা হয়ে উঠেছিল, ‘সরলবক্রচালের জিনিস, অস্বাভাবিকতার যতটা ভ্রান্তি উজিয়ে তোলে মনের ভিতর তার চেয়ে তা সহজ ও স্বাভাবিক।’ তাই তো কাব্যিক উৎকর্ষের ওপর ভর দিয়ে অমিয় চক্রবর্তীর পক্ষেই এমন পঙ্ক্তি রচনা করা সম্ভব হয়েছিল—‘গতিময় ফুলবৃন্ত, চলন্ত বকুল/এনেছিলে স্তব্ধতার ভুল/সুরভি কোরক ওগো, অনিন্দ্য প্রেমের পুষ্পভার/কোথাও চিহ্নই নেই আর।’ (স্রোতস্বিনী)। কবিতার এই সহজ ও স্বাভাবিকতার ধরন আজকের বাঙালি কবিতা-পাঠকের হয়তো ধারণারও বাইরে।
আবার এ-কথাও মনে রাখার যে, এইটিই তাঁর জীবনের সব অর্জনের কেন্দ্রীভূত কাঠামো নয়, এরও রূপান্তর হয়েছে। যার নমুনা দেখি ১৯৩৬ সালের আগস্টে লেখা এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথকে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘মস্কৌ আবার দেখে এলাম। এই ছয় বৎসরে যে কী পরিবর্তন ঘটেছে তা বিশ্বাস করাই শক্ত। অথচ বুঝতে পারি না বিরাট সঙ্ঘ চেতনায় চালিত মানুষের জীবন ধ্রুবকেন্দ্রের বাইরে ধূমকেতুর মতো কোথায় গিয়ে পৌঁছবে। মানবসেবার এতো বড়ো ধ্যানশক্তি আর কোথাও তো কখনো এমনভাবে দেখা যায়নি।’ ওই একই চিঠিতে খানিকটা বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘কী প্রচণ্ড এই কল্যাণধর্মের ব্যবস্থা, কত ত্যাগ, কত বীর্য, জ্ঞানবুদ্ধির কী তপস্যা। সার্থক সাধনার ফল চতুর্দিকে।’ সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন না তিনি, বরং মহাত্মা গান্ধীর রাজনৈতিক কর্মে অমিয় চক্রবর্তী আস্থা প্রকাশ করেছিলেন; তারপরও চোখের সামনে যে বিরাট সত্যিটাকে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন, তাকে কোনোভাবেই অস্বীকার করবার কোনো চেষ্টা তাঁর মধ্যে ছিল না। অমিয় চক্রবর্তীর মধ্যে চিরকালীন কাব্যিক সততা তো ছিলই, সেই সঙ্গে নৈতিক সততারও কখনো অভাব দেখা যায়নি।
তাঁর কাব্যজীবনের প্রথম পর্বে অমিয় চক্রবর্তী এমন এক ‘সংগতি’র কথা বলেছিলেন, যেখানে পোড়োবাড়ির সঙ্গে ভাঙা দরজার মেলাবার স্বপ্ন ছিল। সুর-বেসুরের মধ্যে, পাওয়া না-পাওয়ার মধ্যেও যিনি একটা ‘সংগতি’ দেখতে পেয়েছিলেন। তাঁর সেই ‘সংগতি’র পথটা ছিল এমন—‘জীবন, জীবন-মোহ,/ভাষাহারা বুকে স্বপ্নের বিদ্রোহ/মেলাবেন, তিনি মেলাবেন।’ অমিয় চক্রবর্তী তাঁর কবিতায় যে সংগতির কথা বলতে চেয়েছিলেন, তাতে করে বুদ্ধদেব বসুর মনে হয়েছিল, ‘এই সংগতি তাঁর সকল কাব্যের মূলমন্ত্র।’ কিন্তু আমরা দেখব যে তাঁর পরিণত বয়সে এসে অমিয় চক্রবর্তী নিজের সেই ‘সংগতি’র ধারণা থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর মনে হয়েছে, ‘কোনো শ্রীভগবানের সাধ্য নয় সংসারকে ওভাবে মেলানোর।’ খানিকটা যেন কৈফিয়তের স্বরে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম মানুষের প্রশ্নোত্থিত আত্মশক্তির কথা জানাতে।’ জীবনের সেই পর্বে এসে তাঁর এই বিশ্বাস জন্মেছিল যে, ‘মানুষের সমস্ত শিল্পচারিত্র্য, কৌতুক, স্নেহ মানসিক মহিমায় দীপ্তোজ্জ্বল পরিচয় দিতে পারা ধার্মিকতার চেয়ে ঢের বেশি।’ জীবনের অন্তিমদশায় পৌঁছে এমন একটি বিশ্বাসে উপনীত হতে পারাটাও কম শক্তি ও সাহসের ব্যাপার নয়। তিনি অকপটে স্বীকার করেছিলেন, ‘আমি মানুষের প্রতি আস্থা থেকেই আধ্যাত্মিক চিন্তায় পৌঁছেছিলাম। মানুষের চোখেই ঐশিকতাকে দেখেছি।’
এই মানবনির্ভর ঐশিকতার জোরেই তিনি সমস্ত রকমের গুরুবাদের বিপরীতে নিজেকে দাঁড় করিয়েছিলেন। তাঁর জীবনের প্রাথমিক পর্বেও আমরা এই প্রবণতার আঁচ খানিকটা হলেও পাই। যে কারণে রবীন্দ্রনাথের সংস্পর্শে থেকেও শান্তিনিকেতনের বদ্ধ সীমানার মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখতে চাননি। তাঁর তখন মনে হয়েছিল, ‘মহাপুরুষের ছত্রতলে বিরাজ করার মধ্যে একটা অলীকতা আছে, ঐ রকম আশ্রয় মানুষের আত্মার পক্ষে ক্ষতিকর।’ তিনি এ-ও মনে করতেন, ‘আত্মজীবন, আধ্যাত্মিক জীবন মহাপুরুষের আশ্রয়ে অবসন্ন হয়।’ কেননা, এই যে একধরনের আত্মিক নির্ভরশীলতা, সেটি মানুষের ‘চারিত্র্যশক্তির পরিপন্থী।’ এতটা অর্জনের পরেও আমাদের পাঠক-সমালোচকের একটা অংশ এই কবির রচনাকর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখলেন, যা আমাদের সাহিত্যের জন্য দুর্ভাগ্য বলে মনে হয়।
বাংলার পাঠকসমাজের এই উপেক্ষার দৃষ্টিকে অমিয় চক্রবর্তী যে বুঝতে পারতেন না, তা তো নয়। কিন্তু তিনি ছিলেন, যাঁকে আমরা বলতে পারি ‘স্থিতপ্রজ্ঞ’ কবি। তাই তো জীবনের অন্তিমে পৌঁছেও এমন নিবিষ্টভাবে বলতে পেরেছিলেন, ‘উপরে আকাশ, পাশে দিগন্ত। মাটি, ধরণী, বসুন্ধরা, যে-নামেই হোক ভূমিস্পর্শ অভিযানই আমার স্বপ্রকাশ। তার অন্য ভাষা নেই, ভাষ্য নেই।’ নিজের চারিত্র্যশক্তির ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ানো এমন কবি বাংলা কাব্যের ইতিহাসে খুব বেশি নেই।
১০ এপ্রিল (১৯০১) এই কবির জন্মদিন। তাঁর স্মৃতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা।
লেখক: সৌভিক রেজা
অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
তিরিশোত্তর আধুনিক বাঙালি কবিদের মধ্যে অমিয় চক্রবর্তীর মতো আত্মস্থ কবি আমরা খুব কমই দেখতে পাই। জটিল মার্কিন সমাজে দীর্ঘদিন বসবাস করেও এই উপলব্ধি থেকে তিনি কখনো সরে আসেননি: ‘অপার্থিব কী তা আমার জানা নেই, খোলা চোখের সামনে এই আমার অফুরন্ত দু-দিনের দৃশ্যকাব্য।’ তাঁর একান্ত নিজস্ব চেতনার আদলে নির্মিত এই দৃশ্যকাব্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, জীবনানন্দ দাশের ভাষায়, ‘আঙ্গিকের একটা বিচিত্র আবহ’। আর এরই ‘ভিতর দিয়ে জীবনের অনুধ্যান’কে তিনি চিত্রিত করেছিলেন। সে কারণেই তাঁর কবিতা হয়ে উঠেছিল, ‘সরলবক্রচালের জিনিস, অস্বাভাবিকতার যতটা ভ্রান্তি উজিয়ে তোলে মনের ভিতর তার চেয়ে তা সহজ ও স্বাভাবিক।’ তাই তো কাব্যিক উৎকর্ষের ওপর ভর দিয়ে অমিয় চক্রবর্তীর পক্ষেই এমন পঙ্ক্তি রচনা করা সম্ভব হয়েছিল—‘গতিময় ফুলবৃন্ত, চলন্ত বকুল/এনেছিলে স্তব্ধতার ভুল/সুরভি কোরক ওগো, অনিন্দ্য প্রেমের পুষ্পভার/কোথাও চিহ্নই নেই আর।’ (স্রোতস্বিনী)। কবিতার এই সহজ ও স্বাভাবিকতার ধরন আজকের বাঙালি কবিতা-পাঠকের হয়তো ধারণারও বাইরে।
আবার এ-কথাও মনে রাখার যে, এইটিই তাঁর জীবনের সব অর্জনের কেন্দ্রীভূত কাঠামো নয়, এরও রূপান্তর হয়েছে। যার নমুনা দেখি ১৯৩৬ সালের আগস্টে লেখা এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথকে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘মস্কৌ আবার দেখে এলাম। এই ছয় বৎসরে যে কী পরিবর্তন ঘটেছে তা বিশ্বাস করাই শক্ত। অথচ বুঝতে পারি না বিরাট সঙ্ঘ চেতনায় চালিত মানুষের জীবন ধ্রুবকেন্দ্রের বাইরে ধূমকেতুর মতো কোথায় গিয়ে পৌঁছবে। মানবসেবার এতো বড়ো ধ্যানশক্তি আর কোথাও তো কখনো এমনভাবে দেখা যায়নি।’ ওই একই চিঠিতে খানিকটা বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘কী প্রচণ্ড এই কল্যাণধর্মের ব্যবস্থা, কত ত্যাগ, কত বীর্য, জ্ঞানবুদ্ধির কী তপস্যা। সার্থক সাধনার ফল চতুর্দিকে।’ সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন না তিনি, বরং মহাত্মা গান্ধীর রাজনৈতিক কর্মে অমিয় চক্রবর্তী আস্থা প্রকাশ করেছিলেন; তারপরও চোখের সামনে যে বিরাট সত্যিটাকে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন, তাকে কোনোভাবেই অস্বীকার করবার কোনো চেষ্টা তাঁর মধ্যে ছিল না। অমিয় চক্রবর্তীর মধ্যে চিরকালীন কাব্যিক সততা তো ছিলই, সেই সঙ্গে নৈতিক সততারও কখনো অভাব দেখা যায়নি।
তাঁর কাব্যজীবনের প্রথম পর্বে অমিয় চক্রবর্তী এমন এক ‘সংগতি’র কথা বলেছিলেন, যেখানে পোড়োবাড়ির সঙ্গে ভাঙা দরজার মেলাবার স্বপ্ন ছিল। সুর-বেসুরের মধ্যে, পাওয়া না-পাওয়ার মধ্যেও যিনি একটা ‘সংগতি’ দেখতে পেয়েছিলেন। তাঁর সেই ‘সংগতি’র পথটা ছিল এমন—‘জীবন, জীবন-মোহ,/ভাষাহারা বুকে স্বপ্নের বিদ্রোহ/মেলাবেন, তিনি মেলাবেন।’ অমিয় চক্রবর্তী তাঁর কবিতায় যে সংগতির কথা বলতে চেয়েছিলেন, তাতে করে বুদ্ধদেব বসুর মনে হয়েছিল, ‘এই সংগতি তাঁর সকল কাব্যের মূলমন্ত্র।’ কিন্তু আমরা দেখব যে তাঁর পরিণত বয়সে এসে অমিয় চক্রবর্তী নিজের সেই ‘সংগতি’র ধারণা থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর মনে হয়েছে, ‘কোনো শ্রীভগবানের সাধ্য নয় সংসারকে ওভাবে মেলানোর।’ খানিকটা যেন কৈফিয়তের স্বরে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম মানুষের প্রশ্নোত্থিত আত্মশক্তির কথা জানাতে।’ জীবনের সেই পর্বে এসে তাঁর এই বিশ্বাস জন্মেছিল যে, ‘মানুষের সমস্ত শিল্পচারিত্র্য, কৌতুক, স্নেহ মানসিক মহিমায় দীপ্তোজ্জ্বল পরিচয় দিতে পারা ধার্মিকতার চেয়ে ঢের বেশি।’ জীবনের অন্তিমদশায় পৌঁছে এমন একটি বিশ্বাসে উপনীত হতে পারাটাও কম শক্তি ও সাহসের ব্যাপার নয়। তিনি অকপটে স্বীকার করেছিলেন, ‘আমি মানুষের প্রতি আস্থা থেকেই আধ্যাত্মিক চিন্তায় পৌঁছেছিলাম। মানুষের চোখেই ঐশিকতাকে দেখেছি।’
এই মানবনির্ভর ঐশিকতার জোরেই তিনি সমস্ত রকমের গুরুবাদের বিপরীতে নিজেকে দাঁড় করিয়েছিলেন। তাঁর জীবনের প্রাথমিক পর্বেও আমরা এই প্রবণতার আঁচ খানিকটা হলেও পাই। যে কারণে রবীন্দ্রনাথের সংস্পর্শে থেকেও শান্তিনিকেতনের বদ্ধ সীমানার মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখতে চাননি। তাঁর তখন মনে হয়েছিল, ‘মহাপুরুষের ছত্রতলে বিরাজ করার মধ্যে একটা অলীকতা আছে, ঐ রকম আশ্রয় মানুষের আত্মার পক্ষে ক্ষতিকর।’ তিনি এ-ও মনে করতেন, ‘আত্মজীবন, আধ্যাত্মিক জীবন মহাপুরুষের আশ্রয়ে অবসন্ন হয়।’ কেননা, এই যে একধরনের আত্মিক নির্ভরশীলতা, সেটি মানুষের ‘চারিত্র্যশক্তির পরিপন্থী।’ এতটা অর্জনের পরেও আমাদের পাঠক-সমালোচকের একটা অংশ এই কবির রচনাকর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখলেন, যা আমাদের সাহিত্যের জন্য দুর্ভাগ্য বলে মনে হয়।
বাংলার পাঠকসমাজের এই উপেক্ষার দৃষ্টিকে অমিয় চক্রবর্তী যে বুঝতে পারতেন না, তা তো নয়। কিন্তু তিনি ছিলেন, যাঁকে আমরা বলতে পারি ‘স্থিতপ্রজ্ঞ’ কবি। তাই তো জীবনের অন্তিমে পৌঁছেও এমন নিবিষ্টভাবে বলতে পেরেছিলেন, ‘উপরে আকাশ, পাশে দিগন্ত। মাটি, ধরণী, বসুন্ধরা, যে-নামেই হোক ভূমিস্পর্শ অভিযানই আমার স্বপ্রকাশ। তার অন্য ভাষা নেই, ভাষ্য নেই।’ নিজের চারিত্র্যশক্তির ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ানো এমন কবি বাংলা কাব্যের ইতিহাসে খুব বেশি নেই।
১০ এপ্রিল (১৯০১) এই কবির জন্মদিন। তাঁর স্মৃতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা।
লেখক: সৌভিক রেজা
অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সূর্যোদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার যে নববর্ষের আগমন, তা রাঙিয়ে দিয়ে যাক প্রত্যেক মানুষের জীবন। বাংলা নববর্ষের উজ্জীবনী সুধায় স্নান করুক মানুষ। আশা ও আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নপূরণে সার্থক হোক পৃথিবী। গ্লানি, জ্বরা মুছে গিয়ে অগ্নিস্নানে ধরণিকে শুচি করার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ...
১ দিন আগেবাংলা নববর্ষ বরণকে কেন্দ্র করে আমাদের নগরকেন্দ্রিক জীবনে উপচানো আবেগ-উচ্ছ্বাস উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই আবেগ-উচ্ছ্বাস জাতিগত পারস্পরিক সৌহার্দ্যের নয়, সমষ্টিগতও নয়, একান্তই আত্মকেন্দ্রিকতায় সীমাবদ্ধ।
১ দিন আগেনতুন বছরে প্রবেশ করলাম আমরা। পৃথিবীব্যাপী বসবাসরত নানা জনগোষ্ঠী যেমন নতুন বছরকে উৎসবের মাধ্যমে বরণ করে নেয়, তেমনি বাঙালিও নানা আনন্দ-আয়োজনের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। একটি নতুন আশা, উদ্দীপনা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বছরের প্রথম দিনটিতে।
১ দিন আগেআশেকা ইরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক চেয়ারপারসন। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র জেন্ডার, ভূ-কৌশলগত ও আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়ে। ফিলিস্তিন পরিস্থিতিতে আরব বিশ্বের ভূমিকা...
২ দিন আগে