সম্পাদকীয়
অপরাধ করেছে সন্তান। আর নাকে ‘খত’ দিয়েছেন মা। এ রকম ‘অভিনব’ বিচার হয়েছে ফেনীতে। বিচার করেছেন বিএনপির এক নেতা। অনেকে বলেন, সন্তানের অপরাধের সাজা নাকি মা-বাবা ভোগ করেন। সেই সাজা মূলত মানসিক পীড়া। সন্তানের অপরাধের শাস্তি হলে মা-বাবার মনোবেদনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা সাজার চেয়ে তো কম কিছু না। কিন্তু ফেনীর এ ঘটনায় সন্তানদের সঙ্গে সমান্তরালভাবে শাস্তি ভোগ করলেন দুই মা। ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যায় ৫ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর থেকে।
সম্প্রতি ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে হাঁস ও কবুতর চুরির অভিযোগ ওঠে দুই কিশোরের বিরুদ্ধে। তাদের ‘বিচার’ করতে এগিয়ে আসেন ইউনিয়ন বিএনপির এক সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলু। তাঁর সালিসকাজের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তাঁকে নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ভিডিওতে দেখা যায়, দেলু লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন এবং কিশোরদের মায়েরা নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইছেন। ভিডিওর আরেকটি অংশে কিশোরদের লাঠিপেটা করতে দেখা গেছে। যদিও দেলু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে তাঁর সব পদ স্থগিত করা হয়েছে।
কোনটা ন্যায়, কিসে অন্যায়, কোনটা ভালো বা মন্দ কাজ কিংবা কোন কাজটি অপরাধ এবং এর শাস্তি সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের সচেতন করতে নিশ্চয়ই পরিবারের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তারা যদি কোনো কারণে অন্যায়-অপরাধ করেই ফেলে, তাহলে তাদের জন্য আমাদের দেশে আলাদা আইন রয়েছে। শিশু-কিশোরদের জন্য জেলখানা নয়, আছে সংশোধনাগার।
এ দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সালিসের প্রচলন রয়েছে। কিন্তু সেসব বিচার-সালিস হওয়া উচিত রাষ্ট্রীয় আইনকানুন মেনে। ফেনীর এ ঘটনায় কিশোরদের বুঝিয়ে সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। উল্টো তাদের মারধর করা হয়। আবার একজনের অপরাধের শাস্তি অন্যজনকেও ভোগ করতে হয়েছে। সবচেয়ে লজ্জাজনক—ওই কিশোরদের মায়েদের নাকে খত দেওয়ার ঘটনা নারীর অবমাননা তো বটেই।
এক মায়ের প্রশ্ন—তাঁর ছেলে ভুল করে থাকলে ছেলেই তো শাস্তি পাবে, তাঁকে কেন পেতে হলো? আরেক মা বলেছেন, শুধু ‘মা’ হওয়ার কারণে তাঁকে অপমান সহ্য করতে হলো। এ দুটি বাক্যের ব্যাখ্যা আসলে নিষ্প্রয়োজন। ছেলেদের গায়ের ক্ষত না হয় সারবে, কিন্তু তাদের মায়েদের মনের এই অপমানের ক্ষত কি আদৌ সারবে? দেলুকে যদি এখন শাস্তি হিসেবে দলের পক্ষ থেকে নাকে খত দেওয়ানো হতো, তাহলে তাঁর কেমন লাগত?
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বিএনপি-সমর্থিত কেউ কেউ ‘ক্ষমতা’ পেয়ে গেছেন বলে ভাবছেন। বিশেষ করে চাঁদাবাজিতে হাত পাকানোর অভিযোগ উঠছে অনেকের বিরুদ্ধে। তবে নজরে এলে দল থেকে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। যেমনটা হয়েছে দেলুর ক্ষেত্রে, অবিবেচক ‘বিচার’ করার ফলে।
এ রকম ইতিবাচক ব্যবস্থা যদি সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে নেওয়া হতো, তাহলে সমাজের ক্ষতগুলো একটু একটু করে সারতে পারত।
অপরাধ করেছে সন্তান। আর নাকে ‘খত’ দিয়েছেন মা। এ রকম ‘অভিনব’ বিচার হয়েছে ফেনীতে। বিচার করেছেন বিএনপির এক নেতা। অনেকে বলেন, সন্তানের অপরাধের সাজা নাকি মা-বাবা ভোগ করেন। সেই সাজা মূলত মানসিক পীড়া। সন্তানের অপরাধের শাস্তি হলে মা-বাবার মনোবেদনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা সাজার চেয়ে তো কম কিছু না। কিন্তু ফেনীর এ ঘটনায় সন্তানদের সঙ্গে সমান্তরালভাবে শাস্তি ভোগ করলেন দুই মা। ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যায় ৫ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর থেকে।
সম্প্রতি ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে হাঁস ও কবুতর চুরির অভিযোগ ওঠে দুই কিশোরের বিরুদ্ধে। তাদের ‘বিচার’ করতে এগিয়ে আসেন ইউনিয়ন বিএনপির এক সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলু। তাঁর সালিসকাজের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তাঁকে নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ভিডিওতে দেখা যায়, দেলু লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন এবং কিশোরদের মায়েরা নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইছেন। ভিডিওর আরেকটি অংশে কিশোরদের লাঠিপেটা করতে দেখা গেছে। যদিও দেলু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে তাঁর সব পদ স্থগিত করা হয়েছে।
কোনটা ন্যায়, কিসে অন্যায়, কোনটা ভালো বা মন্দ কাজ কিংবা কোন কাজটি অপরাধ এবং এর শাস্তি সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের সচেতন করতে নিশ্চয়ই পরিবারের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তারা যদি কোনো কারণে অন্যায়-অপরাধ করেই ফেলে, তাহলে তাদের জন্য আমাদের দেশে আলাদা আইন রয়েছে। শিশু-কিশোরদের জন্য জেলখানা নয়, আছে সংশোধনাগার।
এ দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সালিসের প্রচলন রয়েছে। কিন্তু সেসব বিচার-সালিস হওয়া উচিত রাষ্ট্রীয় আইনকানুন মেনে। ফেনীর এ ঘটনায় কিশোরদের বুঝিয়ে সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। উল্টো তাদের মারধর করা হয়। আবার একজনের অপরাধের শাস্তি অন্যজনকেও ভোগ করতে হয়েছে। সবচেয়ে লজ্জাজনক—ওই কিশোরদের মায়েদের নাকে খত দেওয়ার ঘটনা নারীর অবমাননা তো বটেই।
এক মায়ের প্রশ্ন—তাঁর ছেলে ভুল করে থাকলে ছেলেই তো শাস্তি পাবে, তাঁকে কেন পেতে হলো? আরেক মা বলেছেন, শুধু ‘মা’ হওয়ার কারণে তাঁকে অপমান সহ্য করতে হলো। এ দুটি বাক্যের ব্যাখ্যা আসলে নিষ্প্রয়োজন। ছেলেদের গায়ের ক্ষত না হয় সারবে, কিন্তু তাদের মায়েদের মনের এই অপমানের ক্ষত কি আদৌ সারবে? দেলুকে যদি এখন শাস্তি হিসেবে দলের পক্ষ থেকে নাকে খত দেওয়ানো হতো, তাহলে তাঁর কেমন লাগত?
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বিএনপি-সমর্থিত কেউ কেউ ‘ক্ষমতা’ পেয়ে গেছেন বলে ভাবছেন। বিশেষ করে চাঁদাবাজিতে হাত পাকানোর অভিযোগ উঠছে অনেকের বিরুদ্ধে। তবে নজরে এলে দল থেকে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। যেমনটা হয়েছে দেলুর ক্ষেত্রে, অবিবেচক ‘বিচার’ করার ফলে।
এ রকম ইতিবাচক ব্যবস্থা যদি সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে নেওয়া হতো, তাহলে সমাজের ক্ষতগুলো একটু একটু করে সারতে পারত।
বাংলাদেশে এখন আমের মৌসুম। এ সময়টায় কৃষকের চোখে-মুখে থাকে আশার আলো। সারা বছরের পরিশ্রমে ফলানো ফসল বিক্রি করে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কিছু ভুল ধারণা ও অজ্ঞতার কারণে ‘কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো’ অভিযোগে টন টন আম প্রশাসনের হাতে জব্দ ও ধ্বংস হচ্ছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরায় প্রায়
১ ঘণ্টা আগেআপনি, রবীন্দ্রনাথ, রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতেন না; বিশ্বাস করতেন সমাজে। ভারতবর্ষে সমাজই বড়, রাষ্ট্র এখানে একটি উৎপাতবিশেষ—এ আপনার ধারণার অন্তর্গত ছিল। রাষ্ট্র ছিল বাইরের। সমাজ আমাদের নিজস্ব। সমাজকে আমরা নিজের মতো গড়ে তুলব—এই আস্থা আপনার ছিল।
১৪ ঘণ্টা আগে১৯৪৭ সালের ভারত দেশ বিভাগের বিভীষিকা যাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন, সেই প্রজন্ম দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ ভারত ও পাকিস্তান দুপাশের সীমান্তে এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এর মূল কারণই হলো, যাঁরা এই উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিংবা সরাসরি এতে জড়িত ছিলেন, তাঁরা পরে এ নিয়ে অনুশোচনা ও আফসোস করেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেট্রাম্প নিজে ঘোষণা করেছিলেন, রিপাবলিকান পার্টি অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না। যুদ্ধের প্রায় তিন বছর পরে ক্ষমতায় রিপাবলিকান পার্টি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই সারা বিশ্ব মনে করেছিল তিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই যুদ্ধের ইতি ঘটবে।
১৫ ঘণ্টা আগে