সম্পাদকীয়
বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টানটান উত্তেজনার মধ্যে ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট। কিন্তু এই সম্পাদকীয় লেখার সময় পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, তিনি পেয়েছেন ২৯৫টি ইলেকটোরাল ভোট।
আগের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হলেও এবার কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন ইতিহাস গড়ে। বিজয়ী হওয়ার পর উল্লসিত ট্রাম্প নিজের বিজয়কে ‘চমৎকার বিজয়’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এটা আমাদের আমেরিকাকে আবারও মহান করার সুযোগ দেবে। এটি আমেরিকার স্বর্ণযুগ গড়বে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নজর পৃথিবীর ছোট-বড় সব দেশেরই থাকে। কারণ দেশে দেশে যেমন সরকার থাকে, তেমনি সেইসব সরকারের ওপর খবরদারি করা যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঘোষিত নীতি। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংস কামনা করে যে বিপ্লবী স্লোগান তোলেন, তিনিও বিশ্বজোড়া মার্কিন প্রভাবের বিষয়টি অস্বীকার করতে পারেন না।
এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে শুধু প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পেয়েছেন তা-ই নয়, রিপাবলিকান পার্টি বাজিমাত করেছে দেশটির আইনসভা কংগ্রেসেও। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টই এমন নজিরবিহীন সুবিধাজনক অবস্থানে আসতে পারেননি। শুধু আইনসভায় নয়, ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন বিচার বিভাগেও। কারণ দেশটির ফেডারেল বিচার বিভাগের অধিকাংশ বিচারকই তাঁর আগের আমলে নিয়োগ দেওয়া। মার্কিন রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। এমন অভূতপূর্ব জয় পেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ দেশসহ বিশ্বব্যাপী চাইলেই অনেক কিছু পাল্টে দিতে পারেন।
কেউ কেউ বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হলেও দেশটির পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন হয় না। কিন্তু কিছু পরিবর্তন যে হয় সেটা ট্রাম্পের আগের আমলে দেখা গেছে। সম্ভবত সে জন্যই ভোটের ফলাফলে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী মিত্র ইইউ তথা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটা শুরু করেছে। কারণ, তারা জানে, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ফিরে আসায় বিশ্বের বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক ঘটনার গতিপথ পরিবর্তন হবে।
ট্রাম্পের জয়ে অনেকে যেমন খুশি, তেমনি কারও কারও কপালে উদ্বেগের ভাঁজও দেখা যাচ্ছে। ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর্থিক ও সামরিক সহযোগিতা দিয়ে আসছিল বাইডেন প্রশাসন। এবার ট্রাম্প ওই সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন। তাঁর মেয়াদে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের তিক্ততা কমতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের ‘নীতি-আদর্শের’ মিল থাকা নিয়ে প্রচারণা আছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে এশিয়ার সংযোগস্থল এবং বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে থাকায় বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক একটা আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের নজর রয়েছে।
জানুয়ারিতে শপথ নিয়ে কাজ শুরু করলেই স্পষ্ট হবে কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়াবে। এখন এই ইতিহাস গড়া বিজয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আমাদের অভিনন্দন।
বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টানটান উত্তেজনার মধ্যে ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট। কিন্তু এই সম্পাদকীয় লেখার সময় পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, তিনি পেয়েছেন ২৯৫টি ইলেকটোরাল ভোট।
আগের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হলেও এবার কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন ইতিহাস গড়ে। বিজয়ী হওয়ার পর উল্লসিত ট্রাম্প নিজের বিজয়কে ‘চমৎকার বিজয়’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এটা আমাদের আমেরিকাকে আবারও মহান করার সুযোগ দেবে। এটি আমেরিকার স্বর্ণযুগ গড়বে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নজর পৃথিবীর ছোট-বড় সব দেশেরই থাকে। কারণ দেশে দেশে যেমন সরকার থাকে, তেমনি সেইসব সরকারের ওপর খবরদারি করা যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঘোষিত নীতি। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংস কামনা করে যে বিপ্লবী স্লোগান তোলেন, তিনিও বিশ্বজোড়া মার্কিন প্রভাবের বিষয়টি অস্বীকার করতে পারেন না।
এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে শুধু প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পেয়েছেন তা-ই নয়, রিপাবলিকান পার্টি বাজিমাত করেছে দেশটির আইনসভা কংগ্রেসেও। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টই এমন নজিরবিহীন সুবিধাজনক অবস্থানে আসতে পারেননি। শুধু আইনসভায় নয়, ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন বিচার বিভাগেও। কারণ দেশটির ফেডারেল বিচার বিভাগের অধিকাংশ বিচারকই তাঁর আগের আমলে নিয়োগ দেওয়া। মার্কিন রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। এমন অভূতপূর্ব জয় পেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ দেশসহ বিশ্বব্যাপী চাইলেই অনেক কিছু পাল্টে দিতে পারেন।
কেউ কেউ বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হলেও দেশটির পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন হয় না। কিন্তু কিছু পরিবর্তন যে হয় সেটা ট্রাম্পের আগের আমলে দেখা গেছে। সম্ভবত সে জন্যই ভোটের ফলাফলে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী মিত্র ইইউ তথা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটা শুরু করেছে। কারণ, তারা জানে, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ফিরে আসায় বিশ্বের বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক ঘটনার গতিপথ পরিবর্তন হবে।
ট্রাম্পের জয়ে অনেকে যেমন খুশি, তেমনি কারও কারও কপালে উদ্বেগের ভাঁজও দেখা যাচ্ছে। ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর্থিক ও সামরিক সহযোগিতা দিয়ে আসছিল বাইডেন প্রশাসন। এবার ট্রাম্প ওই সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন। তাঁর মেয়াদে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের তিক্ততা কমতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের ‘নীতি-আদর্শের’ মিল থাকা নিয়ে প্রচারণা আছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে এশিয়ার সংযোগস্থল এবং বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে থাকায় বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক একটা আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের নজর রয়েছে।
জানুয়ারিতে শপথ নিয়ে কাজ শুরু করলেই স্পষ্ট হবে কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়াবে। এখন এই ইতিহাস গড়া বিজয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আমাদের অভিনন্দন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) যে তদন্ত করেছে, ২৭ জানুয়ারি সে তদন্তের ৫৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এইচআরডব্লিউর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি একটি অনন্য মাস। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য যে পথ রচনা করে দিয়েছে, সেই পথই দেশকে পৌঁছে দিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের আপামর ছাত্র-শ্রমিক-জনতা রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে সেই পথকে করেছে মসৃণ...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি একধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নানা বাধা দেখা যাচ্ছে। এসব ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবন্ধকতা নয়; বরং বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
২ ঘণ্টা আগেআজ থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এই আয়োজন প্রাণের মেলায় পরিণত হোক, সেই কামনা করি। তবে আজ বইমেলা নিয়ে নয়, বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে যে নাটক অভিনীত হলো, তা নিয়েই কিছু কথা বলা সংগত হবে।
২ ঘণ্টা আগে