সম্পাদকীয়
কাতারের দোহায় আর্থনা সম্মেলনে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই।’
কোনো সন্দেহ নেই, প্রধান উপদেষ্টার এই কথাগুলো আশাজাগানিয়া। দেশের বাস্তব পরিস্থিতি যদি সত্যিই এ রকম কোনো সম্ভাবনার জানান দিত, তাহলে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীই বাংলাদেশের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ফলে লাভবান হতো। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এই আশাবাদকে কাজে পরিণত করার উপযোগী কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
গত বছরের আগস্ট মাসের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদল হওয়ার পর থেকে যতই দিন গেছে, ততই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক জটিলতা বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক—এ কথা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে কাছের মানুষটিও বলবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য সে রকম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাস্তাঘাটে মব সংস্কৃতি এখনো দোর্দণ্ড প্রতাপে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের দিন ঢাকা শহরের সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে অবস্থিত দুটি কলেজের শিক্ষার্থীরা যে তুচ্ছ কারণে পরস্পরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং একটি কলেজের সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলার সময় যেভাবে উপস্থিত পুলিশ নির্বিকারভাবে তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে, তাতে জনগণের না বোঝার কোনো কারণ নেই যে আইনশৃঙ্খলা এখনো অরাজক অবস্থায় রয়েছে। দেশে এখনো ঐকমত্য তো দূরের কথা, বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী সংগঠনের স্বাভাবিক নিয়মে কিছুক্ষণ একসঙ্গে সাধারণ কথাবার্তা বলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, মাস্তানি কিছুই কমেনি। যে ছাত্র নেতৃত্বের দিকে আগ্রহ ও আশা নিয়ে অপেক্ষা করছিল মানুষ, তাঁরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো আশাবাদী কাজ করেননি, যাতে মুগ্ধ হবে জনগণ। বরং ইদানীং সদ্য ভূমিষ্ঠ রাজনৈতিক দলটির কারও কারও বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠছে, এ কারণে দল থেকে কাউকে কাউকে বহিষ্কারও করা হচ্ছে, তাতে খুব শিগগির একটা আশাবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হবে এই দেশ, এ রকম ভরসা রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। আরও ভয়ংকর ব্যাপার, জনগণের সঙ্গে বোঝাপড়া না করেই জনগণ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো সে কথা বলে বেড়াচ্ছে। তাদের মাধ্যমেই জনগণকে জানতে হচ্ছে নিজের মনের কথা, ভাবা যায়! রাজনৈতিক অনৈক্য এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রকটভাবে দৃশ্যমান। এ রকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে আশার বাতিঘর বানানোর স্বপ্ন কতটা আশ্বস্ত করতে পারে দেশের মানুষকে, তা দেশের জনগণ ভেবে দেখতে পারে।
তবে আশার বাতিঘর হোক বাংলাদেশ, এটা সবাই চায়। সেটা হতে হবে পারস্পরিক সহনশীলতা, বাক্স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সততা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্যিকার অঙ্গীকারের মাধ্যমে।
আমরা যত দিন পর্যন্ত সেই অঙ্গীকারের কাছাকাছি না যাব, বরং ক্ষমতা যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে ফ্যাসিবাদের দিকে নিয়ে যেতে থাকবে, তত দিন এই আশা বেদনার বালুচরে আছড়ে পড়তে থাকবে। জনগণ তা থেকে মুক্তি চায়।
কাতারের দোহায় আর্থনা সম্মেলনে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই।’
কোনো সন্দেহ নেই, প্রধান উপদেষ্টার এই কথাগুলো আশাজাগানিয়া। দেশের বাস্তব পরিস্থিতি যদি সত্যিই এ রকম কোনো সম্ভাবনার জানান দিত, তাহলে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীই বাংলাদেশের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ফলে লাভবান হতো। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এই আশাবাদকে কাজে পরিণত করার উপযোগী কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
গত বছরের আগস্ট মাসের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদল হওয়ার পর থেকে যতই দিন গেছে, ততই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক জটিলতা বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক—এ কথা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে কাছের মানুষটিও বলবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য সে রকম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাস্তাঘাটে মব সংস্কৃতি এখনো দোর্দণ্ড প্রতাপে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের দিন ঢাকা শহরের সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে অবস্থিত দুটি কলেজের শিক্ষার্থীরা যে তুচ্ছ কারণে পরস্পরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং একটি কলেজের সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলার সময় যেভাবে উপস্থিত পুলিশ নির্বিকারভাবে তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে, তাতে জনগণের না বোঝার কোনো কারণ নেই যে আইনশৃঙ্খলা এখনো অরাজক অবস্থায় রয়েছে। দেশে এখনো ঐকমত্য তো দূরের কথা, বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী সংগঠনের স্বাভাবিক নিয়মে কিছুক্ষণ একসঙ্গে সাধারণ কথাবার্তা বলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, মাস্তানি কিছুই কমেনি। যে ছাত্র নেতৃত্বের দিকে আগ্রহ ও আশা নিয়ে অপেক্ষা করছিল মানুষ, তাঁরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো আশাবাদী কাজ করেননি, যাতে মুগ্ধ হবে জনগণ। বরং ইদানীং সদ্য ভূমিষ্ঠ রাজনৈতিক দলটির কারও কারও বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠছে, এ কারণে দল থেকে কাউকে কাউকে বহিষ্কারও করা হচ্ছে, তাতে খুব শিগগির একটা আশাবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হবে এই দেশ, এ রকম ভরসা রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। আরও ভয়ংকর ব্যাপার, জনগণের সঙ্গে বোঝাপড়া না করেই জনগণ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো সে কথা বলে বেড়াচ্ছে। তাদের মাধ্যমেই জনগণকে জানতে হচ্ছে নিজের মনের কথা, ভাবা যায়! রাজনৈতিক অনৈক্য এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রকটভাবে দৃশ্যমান। এ রকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে আশার বাতিঘর বানানোর স্বপ্ন কতটা আশ্বস্ত করতে পারে দেশের মানুষকে, তা দেশের জনগণ ভেবে দেখতে পারে।
তবে আশার বাতিঘর হোক বাংলাদেশ, এটা সবাই চায়। সেটা হতে হবে পারস্পরিক সহনশীলতা, বাক্স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সততা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্যিকার অঙ্গীকারের মাধ্যমে।
আমরা যত দিন পর্যন্ত সেই অঙ্গীকারের কাছাকাছি না যাব, বরং ক্ষমতা যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে ফ্যাসিবাদের দিকে নিয়ে যেতে থাকবে, তত দিন এই আশা বেদনার বালুচরে আছড়ে পড়তে থাকবে। জনগণ তা থেকে মুক্তি চায়।
‘আপনি তো ভাই এক চোখে নুন বেচেন, আর এক চোখে তেল!’ কথাটি শুনে শুরুতে আমি একটু হকচকিয়ে যাই। ভদ্রলোক যে আমার অনেক দিনের পরিচিত, তা নয়। আমি যেখানে ভাড়া থাকি, তার গলিতে মাঝেমধ্যে দেখা হয়। সালাম বিনিময় হয়। তিনি জানেন আমি সাংবাদিকতা করি, টেলিভিশনের টক শোতে মাঝেমধ্যে যাই।
১৮ ঘণ্টা আগেকজন হাসতে পারে? হাসি এখন অনেকটা বিরল বলা যায়। দিন দিন হাসি বিরল বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মানবজাতির টিকে থাকার যে সংগ্রাম, ছোটাছুটি তাতে বিরহ-বেদনা, রাগ, ক্ষোভ, প্রতিশোধ আর প্রতিহিংসার ঘটনাপ্রবাহই বেশি দৃশ্যমান এবং মুখ্য হয়ে ওঠে। এটা না বললেই নয় যে আধুনিকতা ও বিজ্ঞানসভ্যতা মানুষের জীবনযাত্রা, জীবনধারাকে
১৮ ঘণ্টা আগেআজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে আপাকে স্মরণ করবে তাঁর স্পর্শ পাওয়া সংগঠনগুলো। ‘নতুন করে পাব বলে’—এই কটি শব্দে জড়ানো থাকবে সন্জীদা স্মরণ। যাঁরা পেয়েছে তাঁর প্রাণের স্পর্শ, তাঁরা আসবেন এখানে।
১৮ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার ৫০ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণির জীবনমান ও অধিকার নিশ্চিতকরণে রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি দেওয়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের মন্তব্য একটি গভীর বাস্তবতার
১ দিন আগে