সম্পাদকীয়
প্রতিকূলে চলা মানুষেরাই। আমাদের খাই খাই স্বভাবের সমাজে একজন ব্যতিক্রমী মানুষের উদাহরণ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাহাড়ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলী। তিনি একাই ১ লাখ ১০ হাজার তালগাছ রোপণ করেছেন। এ জন্য তিনি নিজের জমি বিক্রি করতেও কার্পণ্য করেননি। আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নন খোরশেদ। অভাব-অনটন তাঁর সংসারে লেগে থাকে। এ জন্য তিনি পল্লিচিকিৎসা ও কৃষিকাজ করার পর বাড়তি আয়ের জন্য একটি মসজিদে ইমামতি করেন। তবে তিনি মানসিক প্রশান্তি পান গাছ লাগিয়ে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৭ ডিসেম্বর একটি উদ্দীপনাকারী সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
খোরশেদ আলী এই গাছ লাগানোর কাজটি শুরু করেছেন নিজ উদ্যোগে। এ জন্য তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। গাছের পরিচর্যার জন্য শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা—কোনো কিছুই তাঁকে থামিয়ে রাখতে পারে না। শুধু গাছ লাগানোই নয়, গাছের পরিচর্যাও করেন সারা বছর একাই। এ জন্য তিনি এলাকাবাসীর কাছে ‘পাগল’ উপাধিও পেয়েছেন। কিন্তু তিনি থমকে যাননি।
২০১৪ সাল থেকে নিজের গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা ছাড়িয়ে এখন পাশের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রাস্তার ধারেও তিনি তালগাছ লাগিয়েছেন। শুধু তালগাছই নয়, ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারাও রোপণ করেছেন। তবে তাঁর তালগাছ লাগানোর পেছনের উদ্দেশ্যটি সংবাদ হওয়ার প্রধান কারণ বলা যায়। মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে তিনি তালগাছ রোপণের কাজটি করছেন। তিনি মনে করেন, তালগাছগুলো একদিকে পরিবেশ বাঁচাবে এবং বজ্রপাত ঠেকাতে সহায়তা করবে, অন্যদিকে এই গাছ দেখলে মানুষের শহীদদের কথা মনে পড়বে।
দুর্নীতিগ্রস্ত, প্রদর্শনবাতিকগ্রস্ত এ সমাজে এমন একজন সাদা মনের মানুষের কর্মকাণ্ড আমাদের অবশ্যই আশার আলো দেখায়। এখনো যে সমাজটা পচেগলে নষ্ট হয়ে যায়নি, তার বড় প্রমাণ হলো তাঁর কর্মপ্রয়াসটি।
সমাজে খোরশেদ আলীর মতো কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা অন্যের কল্যাণের জন্যই আত্মনিবেদিত, অথচ বিনিময়ে তাঁরা কোনো প্রচার বা পদক চান না। অন্যের প্রশংসারও প্রত্যাশা করেন না। তাঁরাই বাংলাদেশের খাঁটি সোনার মানুষ। ইতিহাস বলে, স্রোতের প্রতিকূলে থাকা এ ধরনের মানুষ স্রোতের অনুকূলে থাকা বিশাল সংখ্যার মানুষের সঙ্গে প্রায় একাই লড়েন। এ জন্যই তাঁরা সমাজে নিজেকে ব্যতিক্রম হিসেবে স্থান করে নেন। স্রোতের অনুকূলে চলা মানুষগুলো কালের গর্ভে হারিয়ে যান, কিন্তু স্রোতের প্রতিকূলে চলা ব্যক্তিরা মানুষের মণিকোঠায় জায়গা করে নেন। তার বড় একটি উদাহরণ যেন খোরশেদ আলী।
এভাবে সারা বাংলাদেশে নেপথ্যে থাকা সত্যিকারের অবদান রাখা নিবেদিতপ্রাণ ও আত্মপ্রচারবিমুখ ব্যক্তিদের স্থানীয় প্রশাসন বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সম্মাননার ব্যবস্থা করা দরকার। পাশাপাশি তাঁর কাজটি সহজ করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাও প্রয়োজন।
প্রতিকূলে চলা মানুষেরাই। আমাদের খাই খাই স্বভাবের সমাজে একজন ব্যতিক্রমী মানুষের উদাহরণ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাহাড়ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলী। তিনি একাই ১ লাখ ১০ হাজার তালগাছ রোপণ করেছেন। এ জন্য তিনি নিজের জমি বিক্রি করতেও কার্পণ্য করেননি। আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নন খোরশেদ। অভাব-অনটন তাঁর সংসারে লেগে থাকে। এ জন্য তিনি পল্লিচিকিৎসা ও কৃষিকাজ করার পর বাড়তি আয়ের জন্য একটি মসজিদে ইমামতি করেন। তবে তিনি মানসিক প্রশান্তি পান গাছ লাগিয়ে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৭ ডিসেম্বর একটি উদ্দীপনাকারী সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
খোরশেদ আলী এই গাছ লাগানোর কাজটি শুরু করেছেন নিজ উদ্যোগে। এ জন্য তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। গাছের পরিচর্যার জন্য শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা—কোনো কিছুই তাঁকে থামিয়ে রাখতে পারে না। শুধু গাছ লাগানোই নয়, গাছের পরিচর্যাও করেন সারা বছর একাই। এ জন্য তিনি এলাকাবাসীর কাছে ‘পাগল’ উপাধিও পেয়েছেন। কিন্তু তিনি থমকে যাননি।
২০১৪ সাল থেকে নিজের গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা ছাড়িয়ে এখন পাশের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রাস্তার ধারেও তিনি তালগাছ লাগিয়েছেন। শুধু তালগাছই নয়, ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারাও রোপণ করেছেন। তবে তাঁর তালগাছ লাগানোর পেছনের উদ্দেশ্যটি সংবাদ হওয়ার প্রধান কারণ বলা যায়। মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে তিনি তালগাছ রোপণের কাজটি করছেন। তিনি মনে করেন, তালগাছগুলো একদিকে পরিবেশ বাঁচাবে এবং বজ্রপাত ঠেকাতে সহায়তা করবে, অন্যদিকে এই গাছ দেখলে মানুষের শহীদদের কথা মনে পড়বে।
দুর্নীতিগ্রস্ত, প্রদর্শনবাতিকগ্রস্ত এ সমাজে এমন একজন সাদা মনের মানুষের কর্মকাণ্ড আমাদের অবশ্যই আশার আলো দেখায়। এখনো যে সমাজটা পচেগলে নষ্ট হয়ে যায়নি, তার বড় প্রমাণ হলো তাঁর কর্মপ্রয়াসটি।
সমাজে খোরশেদ আলীর মতো কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা অন্যের কল্যাণের জন্যই আত্মনিবেদিত, অথচ বিনিময়ে তাঁরা কোনো প্রচার বা পদক চান না। অন্যের প্রশংসারও প্রত্যাশা করেন না। তাঁরাই বাংলাদেশের খাঁটি সোনার মানুষ। ইতিহাস বলে, স্রোতের প্রতিকূলে থাকা এ ধরনের মানুষ স্রোতের অনুকূলে থাকা বিশাল সংখ্যার মানুষের সঙ্গে প্রায় একাই লড়েন। এ জন্যই তাঁরা সমাজে নিজেকে ব্যতিক্রম হিসেবে স্থান করে নেন। স্রোতের অনুকূলে চলা মানুষগুলো কালের গর্ভে হারিয়ে যান, কিন্তু স্রোতের প্রতিকূলে চলা ব্যক্তিরা মানুষের মণিকোঠায় জায়গা করে নেন। তার বড় একটি উদাহরণ যেন খোরশেদ আলী।
এভাবে সারা বাংলাদেশে নেপথ্যে থাকা সত্যিকারের অবদান রাখা নিবেদিতপ্রাণ ও আত্মপ্রচারবিমুখ ব্যক্তিদের স্থানীয় প্রশাসন বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সম্মাননার ব্যবস্থা করা দরকার। পাশাপাশি তাঁর কাজটি সহজ করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাও প্রয়োজন।
২০ বছর আগে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অটিজম শব্দটির অস্তিত্ব প্রায় খুঁজে পাওয়া যেত না। অটিজম বিষয়ে মানুষের ধারণা সীমিত ছিল। ঠিক সেই সময়ে অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘কানন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি চারতলা ভাড়া বাড়িতে...
১৪ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয় দেশটা বুঝি ট্রায়াল অ্যান্ড এররের ভিত্তিতে চলছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, এমনকি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও নানা ধরনের পরীক্ষামূলক তত্ত্ব দেখতে পাচ্ছি। প্রথমে নতুন কিছু একটা বলা হয় বা চালু করা হয়। তারপর দেখা হয়—কতটা বিতর্ক হয় সেটা নিয়ে।
১৯ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়া ও অস্থায়ী আবাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলে কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার পরও প্রত্যাশিত দাবির বাস্তবায়ন না দেখে আবারও...
১৯ ঘণ্টা আগেআকৃষ্ট করেছিল, সে বাণী যেন কথার কথায় পরিণত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ভালো একটি ভবিষ্যতের আশা ক্রমেই ধূসরতার দিকে যাচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকার মধ্যে থাকা ৫৭টি মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এই মার্কেটগুলো থেকে প্রতি মাসে সেবা খাত...
১৯ ঘণ্টা আগে