সম্পাদকীয়
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েই বাগিয়ে নিতে হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পদগুলো। লিখিত পরীক্ষায় যাঁরা বাকিদের টেক্কা দিতে পারেন, পরবর্তী মওকা তাঁদের জন্য সুরক্ষিত। মৌখিক পরীক্ষায় উতরে গেলেই চাকরি নিজের। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ পায় কী করে কিছু পরীক্ষার্থী—বিষয়টি শুধু অবাকই করে না, হতাশও করে!
এমন ঘটনা নিয়ে গত সোমবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত হয় একটি সংবাদ। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে জনবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ২২ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা তো তাঁরা দেননি, বোঝাই যায়। তবে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়ে যান।
এই ২২ জনের হাতের লেখা মেলেনি লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে। যে নম্বর তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় পেয়েছেন, তার প্রভাব পড়ছিল না গত শনিবার অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায়। ভালো নম্বরধারী অনেকেই মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্নগুলোর ভুলভাল উত্তর দিচ্ছিলেন।
খোদ জেলা প্রশাসক এ সময় সন্দেহ করেন, চিহ্নিত করেন ওই ২২ জনকে। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাঁরা নিজেরাই এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা তাঁদের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়েছেন, তাঁরা কারা? তাঁরা কোথায়? তাঁদের কি শাস্তি হবে না? এসব প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক করবে অন্তত তাঁদের পরিচয় না জানা এবং তাঁরা ধরা না পড়া পর্যন্ত।
সেই প্রক্সিওয়ালারাই যদি এতটা মেধাবী হয়ে থাকেন, তাহলে তো চাকরি তাঁদেরই প্রাপ্য! তাঁরা তো বীর! বীরেরা কেন খামোখা অন্যদের প্রক্সি দিতে যাবেন? জেলা প্রশাসক কার্যালয় তাহলে অযোগ্যদের না ডেকে, খোঁজ করে তাঁদের ডাকুক যাঁরা সত্যিই ভালো নম্বর পেয়েছেন লিখিত পরীক্ষায়! তবে তাঁরা যে অন্যায় করেছেন, তা মার্জনীয় হতে পারে না।
কেউ মেধাবী হলেই যে অন্যায় করে না, এমন ধারণা সঠিক নয়। গাইবান্ধার ডিসি অফিসের এই ঘটনা সেই সাক্ষ্য দেয়। লোভনীয় চাকরির প্রত্যাশা নিশ্চয়ই সবার। কিন্তু শুধু মেধাবীরা সুযোগ পায় যোগ্যতা প্রমাণের জন্য। সেখানে তারা যদি অযোগ্যদের সুযোগ করে দেয়, তাহলে তা নিজেদের মেধার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়, কলুষিত করা হয় নিজেদের যোগ্যতাকে।
এখানে আরেকটি বিষয় টেনে আনতে হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জনবল নিয়োগের পরীক্ষা নিশ্চয়ই অগুরুত্বপূর্ণ নয়। এমন একটি পরীক্ষায় কী করে কেউ অসদুপায়ের সুযোগ পায়—তা কিন্তু খতিয়ে দেখার বিষয়। কার্যালয়েরই কেউ এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কি না, সেটি তদন্ত করা দরকার। জেলা প্রশাসক যেভাবে মৌখিক পরীক্ষার দিন হাতেনাতে অসৎ চাকরিপ্রত্যাশীদের ধরতে পেরেছেন, সেভাবেই নিজের কার্যালয়ে তীক্ষ্ণ নজর রাখবেন বলে আমরা আশা করি। কার্যালয়ের কেউ যদি জড়িত নাও থাকেন, তবু এ ধরনের পরীক্ষায় যেন কোনোভাবেই অসদুপায় অবলম্বন করা না যায়, সেই ব্যবস্থাও নিশ্চয়ই শক্ত হাতে নেবেন তিনি। সেটি দৃষ্টান্ত হবে বাকি জেলার কার্যালয়গুলোর জন্য।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েই বাগিয়ে নিতে হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পদগুলো। লিখিত পরীক্ষায় যাঁরা বাকিদের টেক্কা দিতে পারেন, পরবর্তী মওকা তাঁদের জন্য সুরক্ষিত। মৌখিক পরীক্ষায় উতরে গেলেই চাকরি নিজের। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ পায় কী করে কিছু পরীক্ষার্থী—বিষয়টি শুধু অবাকই করে না, হতাশও করে!
এমন ঘটনা নিয়ে গত সোমবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত হয় একটি সংবাদ। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে জনবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ২২ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা তো তাঁরা দেননি, বোঝাই যায়। তবে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়ে যান।
এই ২২ জনের হাতের লেখা মেলেনি লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে। যে নম্বর তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় পেয়েছেন, তার প্রভাব পড়ছিল না গত শনিবার অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায়। ভালো নম্বরধারী অনেকেই মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্নগুলোর ভুলভাল উত্তর দিচ্ছিলেন।
খোদ জেলা প্রশাসক এ সময় সন্দেহ করেন, চিহ্নিত করেন ওই ২২ জনকে। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাঁরা নিজেরাই এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা তাঁদের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়েছেন, তাঁরা কারা? তাঁরা কোথায়? তাঁদের কি শাস্তি হবে না? এসব প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক করবে অন্তত তাঁদের পরিচয় না জানা এবং তাঁরা ধরা না পড়া পর্যন্ত।
সেই প্রক্সিওয়ালারাই যদি এতটা মেধাবী হয়ে থাকেন, তাহলে তো চাকরি তাঁদেরই প্রাপ্য! তাঁরা তো বীর! বীরেরা কেন খামোখা অন্যদের প্রক্সি দিতে যাবেন? জেলা প্রশাসক কার্যালয় তাহলে অযোগ্যদের না ডেকে, খোঁজ করে তাঁদের ডাকুক যাঁরা সত্যিই ভালো নম্বর পেয়েছেন লিখিত পরীক্ষায়! তবে তাঁরা যে অন্যায় করেছেন, তা মার্জনীয় হতে পারে না।
কেউ মেধাবী হলেই যে অন্যায় করে না, এমন ধারণা সঠিক নয়। গাইবান্ধার ডিসি অফিসের এই ঘটনা সেই সাক্ষ্য দেয়। লোভনীয় চাকরির প্রত্যাশা নিশ্চয়ই সবার। কিন্তু শুধু মেধাবীরা সুযোগ পায় যোগ্যতা প্রমাণের জন্য। সেখানে তারা যদি অযোগ্যদের সুযোগ করে দেয়, তাহলে তা নিজেদের মেধার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়, কলুষিত করা হয় নিজেদের যোগ্যতাকে।
এখানে আরেকটি বিষয় টেনে আনতে হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জনবল নিয়োগের পরীক্ষা নিশ্চয়ই অগুরুত্বপূর্ণ নয়। এমন একটি পরীক্ষায় কী করে কেউ অসদুপায়ের সুযোগ পায়—তা কিন্তু খতিয়ে দেখার বিষয়। কার্যালয়েরই কেউ এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কি না, সেটি তদন্ত করা দরকার। জেলা প্রশাসক যেভাবে মৌখিক পরীক্ষার দিন হাতেনাতে অসৎ চাকরিপ্রত্যাশীদের ধরতে পেরেছেন, সেভাবেই নিজের কার্যালয়ে তীক্ষ্ণ নজর রাখবেন বলে আমরা আশা করি। কার্যালয়ের কেউ যদি জড়িত নাও থাকেন, তবু এ ধরনের পরীক্ষায় যেন কোনোভাবেই অসদুপায় অবলম্বন করা না যায়, সেই ব্যবস্থাও নিশ্চয়ই শক্ত হাতে নেবেন তিনি। সেটি দৃষ্টান্ত হবে বাকি জেলার কার্যালয়গুলোর জন্য।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) যে তদন্ত করেছে, ২৭ জানুয়ারি সে তদন্তের ৫৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এইচআরডব্লিউর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি একটি অনন্য মাস। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য যে পথ রচনা করে দিয়েছে, সেই পথই দেশকে পৌঁছে দিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের আপামর ছাত্র-শ্রমিক-জনতা রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে সেই পথকে করেছে মসৃণ...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি একধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নানা বাধা দেখা যাচ্ছে। এসব ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবন্ধকতা নয়; বরং বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
২ ঘণ্টা আগেআজ থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এই আয়োজন প্রাণের মেলায় পরিণত হোক, সেই কামনা করি। তবে আজ বইমেলা নিয়ে নয়, বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে যে নাটক অভিনীত হলো, তা নিয়েই কিছু কথা বলা সংগত হবে।
২ ঘণ্টা আগে