সম্পাদকীয়
আগে কখনো এমনটি দেখা যায়নি; এখন তা বারবার ঘটছে। এখনই কেন তা বারবার ঘটছে? আর তা কেন পদ্মা সেতুতেই হবে? আর কিছু কি নেই ধাক্কা খাওয়ার জন্য? ঘুরেফিরে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাতটা লাগছে, কেন? এ ঘটনার পর বারবার একটি প্রশ্ন মনে ঘুরছে, তা হলো—এটা যে বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু, ফেরিগুলো ‘চিনিল কেমনে!’
গণমাধ্যমে খবর হয়েছে, দুই মাসে চারবার পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত ২০ জুলাই প্রথম পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল রো রো ফেরি শাহ মখদুমের। পরে ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালাল ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়।
৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা লাগে। এরপর গত শুক্রবার কাকলী নামের একটি কে-টাইপ ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ১০ নম্বর পিলারেই ধাক্কা লেগেছে দুই দফায়।
কয়েক বছর ধরে সেতুর কাজ চলছে। আর কখনোই ধাক্কা লাগেনি। এখন সেতুর কাজ যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখন নিয়মিত বিরতিতে ধাক্কা লাগছে। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে? সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না বলে মত দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। এসব ঘটনায় ফেরিচালকদের অসাবধানতা ও অদক্ষতাকেও দায়ী করেন কেউ কেউ।
এটা কোনো ষড়যন্ত্র নয় তা ধরে নিয়েও বলা যায়, একবার একটি ঘটনা ঘটতে পারে, সেটা দুর্ঘটনা।
কিন্তু অল্প বিরতিতে যখন বারবার একই ঘটনা ঘটে যায়, তখন এর তাৎপর্য বেড়ে যায়। এর নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করার প্রয়োজন পড়ে।
হতে পারে এটা ফেরিচালকদের অদক্ষতা, অসতর্কতা।
প্রশ্ন হলো, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে শক্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তাঁরা যদি অদক্ষ হন, তবে তাঁরা ফেরিগুলো চালানোর অধিকার রাখেন কি না? ফেরিগুলোর ফিটনেসে ঘাটতি থাকলে কেন এগুলো চলছে? আর যেহেতু দফায় দফায় ধাক্কা লাগছে, তাহলে ফেরি চলাচলে বিকল্প পথ খুঁজে বের করা বা অন্য কোনো বিকল্প ভাবা হয়েছে কি না? সেতুর সঙ্গে জড়িতদের পক্ষ থেকে এও বলা হচ্ছে, সেতুর মূল পিলার বেশ খানিকটা দূরে। এমন ধাক্কায় কিছু হবে না ইত্যাদি। যদি কোনো ক্ষতিই না হয়, তাহলে কি এভাবে ধাক্কা লেগেই যাবে?
পদ্মা সেতু আসলে বাংলাদেশের গর্ব। এর সঙ্গে কোটি মানুষের আবেগ ও ভালোবাসা জড়িত। এই সেতু কোন প্রেক্ষাপটে কী অবস্থার মধ্যে করতে হয়েছে, এটা নিশ্চয় সবাই জানে।
এর পেছনে দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্রের সন্দেহ করাও অমূলক নয়। তাই একে জড়িয়ে ছোট একটা বিষয়ও মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। আবেগকে নাড়া দেয়। ফলে সামান্যতম অবহেলায় যাতে এর কোনো ক্ষতি না হয়, এটা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সবাইকে দেখা উচিত। এটা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, এর শতভাগ সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আগে কখনো এমনটি দেখা যায়নি; এখন তা বারবার ঘটছে। এখনই কেন তা বারবার ঘটছে? আর তা কেন পদ্মা সেতুতেই হবে? আর কিছু কি নেই ধাক্কা খাওয়ার জন্য? ঘুরেফিরে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাতটা লাগছে, কেন? এ ঘটনার পর বারবার একটি প্রশ্ন মনে ঘুরছে, তা হলো—এটা যে বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু, ফেরিগুলো ‘চিনিল কেমনে!’
গণমাধ্যমে খবর হয়েছে, দুই মাসে চারবার পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত ২০ জুলাই প্রথম পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল রো রো ফেরি শাহ মখদুমের। পরে ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালাল ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়।
৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা লাগে। এরপর গত শুক্রবার কাকলী নামের একটি কে-টাইপ ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ১০ নম্বর পিলারেই ধাক্কা লেগেছে দুই দফায়।
কয়েক বছর ধরে সেতুর কাজ চলছে। আর কখনোই ধাক্কা লাগেনি। এখন সেতুর কাজ যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখন নিয়মিত বিরতিতে ধাক্কা লাগছে। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে? সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না বলে মত দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। এসব ঘটনায় ফেরিচালকদের অসাবধানতা ও অদক্ষতাকেও দায়ী করেন কেউ কেউ।
এটা কোনো ষড়যন্ত্র নয় তা ধরে নিয়েও বলা যায়, একবার একটি ঘটনা ঘটতে পারে, সেটা দুর্ঘটনা।
কিন্তু অল্প বিরতিতে যখন বারবার একই ঘটনা ঘটে যায়, তখন এর তাৎপর্য বেড়ে যায়। এর নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করার প্রয়োজন পড়ে।
হতে পারে এটা ফেরিচালকদের অদক্ষতা, অসতর্কতা।
প্রশ্ন হলো, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে শক্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তাঁরা যদি অদক্ষ হন, তবে তাঁরা ফেরিগুলো চালানোর অধিকার রাখেন কি না? ফেরিগুলোর ফিটনেসে ঘাটতি থাকলে কেন এগুলো চলছে? আর যেহেতু দফায় দফায় ধাক্কা লাগছে, তাহলে ফেরি চলাচলে বিকল্প পথ খুঁজে বের করা বা অন্য কোনো বিকল্প ভাবা হয়েছে কি না? সেতুর সঙ্গে জড়িতদের পক্ষ থেকে এও বলা হচ্ছে, সেতুর মূল পিলার বেশ খানিকটা দূরে। এমন ধাক্কায় কিছু হবে না ইত্যাদি। যদি কোনো ক্ষতিই না হয়, তাহলে কি এভাবে ধাক্কা লেগেই যাবে?
পদ্মা সেতু আসলে বাংলাদেশের গর্ব। এর সঙ্গে কোটি মানুষের আবেগ ও ভালোবাসা জড়িত। এই সেতু কোন প্রেক্ষাপটে কী অবস্থার মধ্যে করতে হয়েছে, এটা নিশ্চয় সবাই জানে।
এর পেছনে দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্রের সন্দেহ করাও অমূলক নয়। তাই একে জড়িয়ে ছোট একটা বিষয়ও মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। আবেগকে নাড়া দেয়। ফলে সামান্যতম অবহেলায় যাতে এর কোনো ক্ষতি না হয়, এটা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সবাইকে দেখা উচিত। এটা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, এর শতভাগ সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
মনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
২০ ঘণ্টা আগেসরকার ১৫ মে ২০২৫ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন দ্বারা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছকে আগ্রাসী গাছ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিপর্যায়ে বৃক্
২০ ঘণ্টা আগেখারাপ খবরের ভিড়ে হাঁপিয়ে ওঠা সমাজে যখন ইতিবাচক বা ভালো কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, তখন রংপুরের কাউনিয়ার একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের খবর পড়ে মন ভালো না হয়ে পারে না।
২১ ঘণ্টা আগে১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তা কি খুব অপ্রত্যাশিত ছিল? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। কিন্তু ঘটনা এত বড় হবে, সে তথ্য ছিল না।’ অর্থাৎ ছোটখাটো ঘটনা ঘটবে, সেটা সরকারের জানা ছিল।
২ দিন আগে