বিশ্ব প্রবীণ নির্যাতন সচেতনতা দিবস
হাসান আলী
জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পৃথিবীব্যাপী ১৫ জুনকে প্রবীণ নির্যাতন সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ বছরের এ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো, ‘আলোচনার বিস্তার ঘটানো, লক্ষণ চিনুন এবং ঝুঁকি কমান।’ প্রতিপাদ্যের প্রথম ধাপ হলো, প্রবীণেরা যতভাবে নির্যাতনের শিকার হন, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জনসাধারণের সামনে খোলামেলাভাবে তুলে ধরতে হবে। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হলো, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হলে মানুষ সহজে তা প্রকাশ করতে চায় না। কারণ মানুষ তার দুর্বল জায়গাগুলো আড়াল করতে পছন্দ করে। প্রবীণ বয়সে মানুষ তুলনামূলকভাবে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়। এসব নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই সাধারণ মানুষের নজর এড়িয়ে যায়। সংঘটিত নির্যাতনের অল্প কিছু চিত্র আমরা গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে দেখি। বেশির ভাগ নির্যাতনের ঘটনা ভুক্তভোগী নিজ থেকেই চেপে যান। কারণ, নির্যাতনকারীরা পরিবারের সদস্য, নিকটতম আত্মীয়স্বজন, সেবাকর্মী, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কেউ না কেউ হয়ে থাকেন। তাই এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য নির্যাতনের চিত্র গোপন না করে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা খুব জরুরি। প্রবীণেরা প্রধানত শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন।
মূলত শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় চড়, থাপ্পড়, গলাধাক্কা, খুন্তি বা লাঠির দ্বারা আঘাত করে কিংবা খাবারদাবার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে।
মানসিক নির্যাতন করা হয়—পছন্দের কাজ করতে বাধা দেওয়া, গালাগালি, খোঁটা দেওয়া, তীর্যক মন্তব্য করে, গুরুত্ব না দিয়ে, অবহেলা-অসম্মান করে, বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে এবং অতীতের ব্যর্থতাকে সামনে নিয়ে এসে অক্ষমতাকে কটাক্ষ করে।
আর্থিক নির্যাতন করা হয়—জমিজমা, বাড়িঘর, প্লট, ফ্ল্যাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সঞ্চয়পত্র, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টাকাপয়সার জন্য ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়স্বজনের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলে। কারণ, প্রবীণেরা যাতে তাঁদের চাহিদা মোতাবেক টাকাপয়সা খরচ করতে না পারেন।
সামাজিক নির্যাতন করা হয়—সামাজিক কাজে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে, বিচার-সালিস বৈঠকে না ডেকে এবং এলাকাবাসীর আয়োজনে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে। এরপর প্রবীণেরা যৌন নির্যাতনের শিকার হন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়।
উপরোক্ত সব ধরনের নির্যাতন সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করলে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। নির্যাতিত হওয়া অপরাধ কিংবা অসম্মানের বিষয় নয়, বরং নির্যাতনকারী অপরাধী এবং ঘৃণিত ব্যক্তি। এ জন্য প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা কোনোভাবেই চেপে রাখা যাবে না।
দ্বিতীয় ধাপ হলো, নির্যাতনের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যখন কোনো প্রবীণ ব্যক্তি হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যান, কথা বলা কমিয়ে দেন, প্রিয় জিনিসপত্রের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন না, খাবার খেতে চান না, চিকিৎসা নিতে অনাগ্রহী, বেড়াতে যেতে চান না, পরিধানের কাপড়চোপড় ময়লা থাকে, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন, নিজের যত্ন নিতে অনিচ্ছুক হন, তখন বুঝতে হবে তিনি কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
কেউ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল, ক্লিনিকে যান। এ ক্ষেত্রে শরীরের আঘাত দৃশ্যমান হতে পারে বা নাও হতে পারে। কেউ কীভাবে আঘাত পেয়েছেন, তা বলতে অনিচ্ছুক থাকেন অথবা কেউ কেউ মিথ্যা গল্প বানিয়ে সত্য লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। সে জন্য প্রবীণদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তাঁরা সত্য প্রকাশে সাহসী হয়ে ওঠেন। অনেক সময় কেউ কেউ ভয়ে নির্যাতনের কথা বলতে চান না, যাতে পরবর্তী সময়ে আরও বড় ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে না হয়। কোনো প্রবীণ ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজনদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হলে পরিবারের অন্য সদস্যরা বুঝতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের উচিত হবে এসব নির্যাতনের ঘটনাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা। আর ঘটনা ঘটার পর মীমাংসা করলে সমস্যার সমাধান হবে না। এ জন্য সবার দায়িত্ব হলো, নির্যাতনের মূল কারণ খুঁজে বের করে সমাধানের উপায় করা, যাতে ভবিষ্যতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। পাশাপাশি প্রবীণদের সঙ্গে আড্ডা, গল্প করার অজুহাতে কৌশল করে ঘনিষ্ঠজনের ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনা জেনে নিতে হবে।
প্রবীণদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। কারণ প্রবীণদের চলন-বলন, কথাবার্তা দিয়েও নির্যাতনের অনেক লক্ষণ ফুটে ওঠে। সমাজের সচেতন মানুষের দায়িত্ব হলো আলোচনার বিস্তার ঘটিয়ে লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা। যখনই নির্যাতনের সংবাদ পাওয়া যাবে, তখনই সোচ্চার কণ্ঠে মানুষকে জানাতে হবে।
এর পরের কাজ হলো প্রবীণ নির্যাতনের ঝুঁকি হ্রাস করা। নির্যাতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। যেমন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসকারী প্রত্যেক প্রবীণের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, ইমাম, ধর্মীয় নেতা, সমাজকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণদের তালিকা তৈরি করতে হবে। এ জন্য তিন স্তর যেমন অল্প ঝুঁকিপূর্ণ, মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণদের আলাদা তালিকা তৈরি করতে হবে।
তারপর এই তালিকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠাতে হবে, যাতে করে মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণ ব্যক্তিদের খোঁজ নিতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতি তিন মাস অন্তর ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণদের তথ্য সংগ্রহ করে হালনাগাদ করবে। গ্রাম পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ, ইউনিয়ন সমাজকর্মী পালাক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণদের খোঁজখবর নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করবেন। এভাবে এলাকাভিত্তিক কমিটি গঠন করে তৎপরতার মাধ্যমে প্রবীণদের নির্যাতন থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এ কাজে সবার এগিয়ে আসা জরুরি। কারণ সবাইকেই একসময় প্রবীণ বয়সে যেতেই হবে।
প্রবীণ বিষয়ে লেখক, গবেষক ও সংগঠক
জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পৃথিবীব্যাপী ১৫ জুনকে প্রবীণ নির্যাতন সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ বছরের এ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো, ‘আলোচনার বিস্তার ঘটানো, লক্ষণ চিনুন এবং ঝুঁকি কমান।’ প্রতিপাদ্যের প্রথম ধাপ হলো, প্রবীণেরা যতভাবে নির্যাতনের শিকার হন, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জনসাধারণের সামনে খোলামেলাভাবে তুলে ধরতে হবে। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হলো, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হলে মানুষ সহজে তা প্রকাশ করতে চায় না। কারণ মানুষ তার দুর্বল জায়গাগুলো আড়াল করতে পছন্দ করে। প্রবীণ বয়সে মানুষ তুলনামূলকভাবে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়। এসব নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই সাধারণ মানুষের নজর এড়িয়ে যায়। সংঘটিত নির্যাতনের অল্প কিছু চিত্র আমরা গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে দেখি। বেশির ভাগ নির্যাতনের ঘটনা ভুক্তভোগী নিজ থেকেই চেপে যান। কারণ, নির্যাতনকারীরা পরিবারের সদস্য, নিকটতম আত্মীয়স্বজন, সেবাকর্মী, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কেউ না কেউ হয়ে থাকেন। তাই এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য নির্যাতনের চিত্র গোপন না করে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা খুব জরুরি। প্রবীণেরা প্রধানত শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন।
মূলত শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় চড়, থাপ্পড়, গলাধাক্কা, খুন্তি বা লাঠির দ্বারা আঘাত করে কিংবা খাবারদাবার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে।
মানসিক নির্যাতন করা হয়—পছন্দের কাজ করতে বাধা দেওয়া, গালাগালি, খোঁটা দেওয়া, তীর্যক মন্তব্য করে, গুরুত্ব না দিয়ে, অবহেলা-অসম্মান করে, বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে এবং অতীতের ব্যর্থতাকে সামনে নিয়ে এসে অক্ষমতাকে কটাক্ষ করে।
আর্থিক নির্যাতন করা হয়—জমিজমা, বাড়িঘর, প্লট, ফ্ল্যাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সঞ্চয়পত্র, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টাকাপয়সার জন্য ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়স্বজনের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলে। কারণ, প্রবীণেরা যাতে তাঁদের চাহিদা মোতাবেক টাকাপয়সা খরচ করতে না পারেন।
সামাজিক নির্যাতন করা হয়—সামাজিক কাজে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে, বিচার-সালিস বৈঠকে না ডেকে এবং এলাকাবাসীর আয়োজনে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে। এরপর প্রবীণেরা যৌন নির্যাতনের শিকার হন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়।
উপরোক্ত সব ধরনের নির্যাতন সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করলে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। নির্যাতিত হওয়া অপরাধ কিংবা অসম্মানের বিষয় নয়, বরং নির্যাতনকারী অপরাধী এবং ঘৃণিত ব্যক্তি। এ জন্য প্রবীণ নির্যাতনের ঘটনা কোনোভাবেই চেপে রাখা যাবে না।
দ্বিতীয় ধাপ হলো, নির্যাতনের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যখন কোনো প্রবীণ ব্যক্তি হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যান, কথা বলা কমিয়ে দেন, প্রিয় জিনিসপত্রের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন না, খাবার খেতে চান না, চিকিৎসা নিতে অনাগ্রহী, বেড়াতে যেতে চান না, পরিধানের কাপড়চোপড় ময়লা থাকে, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন, নিজের যত্ন নিতে অনিচ্ছুক হন, তখন বুঝতে হবে তিনি কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
কেউ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল, ক্লিনিকে যান। এ ক্ষেত্রে শরীরের আঘাত দৃশ্যমান হতে পারে বা নাও হতে পারে। কেউ কীভাবে আঘাত পেয়েছেন, তা বলতে অনিচ্ছুক থাকেন অথবা কেউ কেউ মিথ্যা গল্প বানিয়ে সত্য লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। সে জন্য প্রবীণদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তাঁরা সত্য প্রকাশে সাহসী হয়ে ওঠেন। অনেক সময় কেউ কেউ ভয়ে নির্যাতনের কথা বলতে চান না, যাতে পরবর্তী সময়ে আরও বড় ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে না হয়। কোনো প্রবীণ ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজনদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হলে পরিবারের অন্য সদস্যরা বুঝতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের উচিত হবে এসব নির্যাতনের ঘটনাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা। আর ঘটনা ঘটার পর মীমাংসা করলে সমস্যার সমাধান হবে না। এ জন্য সবার দায়িত্ব হলো, নির্যাতনের মূল কারণ খুঁজে বের করে সমাধানের উপায় করা, যাতে ভবিষ্যতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। পাশাপাশি প্রবীণদের সঙ্গে আড্ডা, গল্প করার অজুহাতে কৌশল করে ঘনিষ্ঠজনের ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনা জেনে নিতে হবে।
প্রবীণদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। কারণ প্রবীণদের চলন-বলন, কথাবার্তা দিয়েও নির্যাতনের অনেক লক্ষণ ফুটে ওঠে। সমাজের সচেতন মানুষের দায়িত্ব হলো আলোচনার বিস্তার ঘটিয়ে লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা। যখনই নির্যাতনের সংবাদ পাওয়া যাবে, তখনই সোচ্চার কণ্ঠে মানুষকে জানাতে হবে।
এর পরের কাজ হলো প্রবীণ নির্যাতনের ঝুঁকি হ্রাস করা। নির্যাতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। যেমন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসকারী প্রত্যেক প্রবীণের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, ইমাম, ধর্মীয় নেতা, সমাজকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণদের তালিকা তৈরি করতে হবে। এ জন্য তিন স্তর যেমন অল্প ঝুঁকিপূর্ণ, মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণদের আলাদা তালিকা তৈরি করতে হবে।
তারপর এই তালিকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠাতে হবে, যাতে করে মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণ ব্যক্তিদের খোঁজ নিতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতি তিন মাস অন্তর ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণদের তথ্য সংগ্রহ করে হালনাগাদ করবে। গ্রাম পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ, ইউনিয়ন সমাজকর্মী পালাক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণদের খোঁজখবর নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করবেন। এভাবে এলাকাভিত্তিক কমিটি গঠন করে তৎপরতার মাধ্যমে প্রবীণদের নির্যাতন থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এ কাজে সবার এগিয়ে আসা জরুরি। কারণ সবাইকেই একসময় প্রবীণ বয়সে যেতেই হবে।
প্রবীণ বিষয়ে লেখক, গবেষক ও সংগঠক
ডা. মারুফুর রহমান ২০১২ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেন্টার ফর মেডিকেল বায়োটেকনোলজিতে ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইতিহাসবিদেরা হয়তো ২০২৫ সালের ১৩ জুন তারিখটিকে এমন একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত করবেন, যেদিন বিশ্ব এমন এক সীমা অতিক্রম করল, যেখান থেকে ফিরে আসা সহজ না-ও হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্তব্ধ করে দিয়ে এবং বৈশ্বিক বাজারে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে ইসরায়েল ১৩ জুন ভোরে ইরানের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক...
১৪ ঘণ্টা আগেলন্ডনের হোটেল ডরচেস্টারে ১৩ জুন স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আপাতত অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের আলোয় অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, দেশে এখন নির্বাচনের সুবাতাস বইবে।
১৪ ঘণ্টা আগেবরগুনায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ ক্রমেই গভীর সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ১৩ জুন আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এক দিনেই তিনজনসহ মোট ১০ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে