মাসুমা হক প্রিয়াংকা
আমেরিকার ১৩২ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে একবার হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক রাজনীতিতেও কিছু পরিবর্তন বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের এবারের ভূমিধস জয়ের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে পুনর্বহাল করতে আমেরিকান ভোটারদের সিদ্ধান্তটি এসেছে ব্যাপক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে। মূল্যস্ফীতি বাড়াবাড়ি মাত্রায় বেশি। চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা ক্রমেই বাড়ছে। বিদেশি শ্রমের ওপর নির্ভরতা কমাতে ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী অ্যাজেন্ডা ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
এ ছাড়া বৈশ্বিক শান্তি স্থাপনে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি তাঁকে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছে। ট্রাম্প বারবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বাইডেনকে দায়ী করেছেন। তাই তাঁর বিজয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে বিশ্ববাসী আশাবাদী। এবার তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইউক্রেন বাধ্য হবে বলেই বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। অপরদিকে আমেরিকা ফার্স্ট নীতির ফলে ন্যাটোর একতা অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন। দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ট্রাম্প ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ ও ইউরোপ নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন, যা ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য হতাশাব্যঞ্জক।
ট্রাম্প নিজেদের প্রতিরক্ষা খাত ও অর্থনৈতিক খাতকে শক্তিশালী করাকে প্রাধান্য দেবেন। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে আমেরিকান শিল্প সংরক্ষণের নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি চীন, ভারতসহ একাধিক দেশ থেকে আমদানির ওপরে চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবার চীন ও ভারতের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব খুব মারাত্মকভাবেই পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের ওপর বিভিন্ন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে পারে, যার ফলে চীনের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়বে। চীন বিশ্লেষক বিল বিশপ মনে করেন, ‘তিনি যখন শুল্ক সম্পর্কে কথা বলেন, তখন বোঝা যায় যে তিনি মনে করেন চীন তার বাণিজ্যিক চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং চীন ও কোভিড তাঁকে ২০২০ সালের নির্বাচনে হারতে বাধ্য করেছে।’ প্রথম দফায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় চীন বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল। এবার চীনের অর্থনীতিতে এমনিতেই টানাপোড়েন চলছে, এর মধ্যে শুল্ক আরোপ তাতে আরও বড় ধাক্কা দেবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্বের কথা সবারই জানা। তাঁরা একে অপরকে বন্ধু বলেই সম্বোধন করে থাকেন। কিন্তু আমেরিকার ফার্স্ট নীতির কবল থেকে ভারতও রেহাই পাবে বলে মনে হয় না। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পর্যবেক্ষণকারী সাংবাদিক শশাঙ্ক মট্টু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘ট্রাম্পের চোখে ভারত বাণিজ্যসংক্রান্ত নিয়ম খুব বেশি লঙ্ঘন করে। তিনি চান না যে মার্কিন পণ্যের ওপর ভারত খুব বেশি পরিমাণ শুল্ক আরোপ করুক। ট্রাম্প চান তাঁর দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হোক।’
দক্ষিণ এশিয়ায় ট্রাম্পের নীতি বিগত প্রশাসনের থেকে খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও বাংলাদেশ নিয়ে ভিন্ন মনোভাব প্রকাশিত হওয়ার আলোচনা আছে। ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে টুইট করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আলাদাভাবে আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশে ট্রাম্প যে বাইডেন প্রশাসনের নীতি বহাল রাখবেন না, তা বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে অনেকের কাছেই স্পষ্ট হচ্ছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ অবশ্য মনে করেন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে হঠাৎ ‘নাটকীয় পরিবর্তন’ ঘটে যাবে না। কারণ, এটিকে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোণ থেকে বিবেচনা করতে হবে যে মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কি না। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে একটা বড় ধরনের প্রভাব পড়বেই, এতটা ঘনিষ্ঠতা থাকবে না। উষ্ণতা থাকবে না।’
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ট্রাম্প। কিন্তু ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকায় সেখানে তিনি কীভাবে শান্তি স্থাপন করবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, আরব এবং পশ্চিমা কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ইরানের তেলশিল্পের ওপর ‘উচ্চতর নিষেধাজ্ঞার’ মাধ্যমে তাঁর ‘সর্বোচ্চ চাপ নীতি’ পুনরায় প্রয়োগ করতে পারেন। এ ছাড়া ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো এবং হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করার ক্ষমতা দিতে পারেন বলেও কারও কারও মনে আশঙ্কা আছে।
শেষ করছি অধ্যাপক আলী রীয়াজকে উদ্ধৃত করেই। তিনি বলেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব “ট্রাঞ্জেকশনাল” (দেওয়া-নেওয়ায় বিশ্বাসী) মানুষ। তিনি গিভ অ্যান্ড টেকে বিশ্বাস করেন। তুমি এটা দিলে, আমি এটা দেব। আমি এটা দিলে তোমারও ওটা দিতে হবে। এই ট্রাঞ্জেকশনাল পলিটিকস খুবই ডেঞ্জারাস গেম।’
লেখক: সমাজকর্মী ও শিক্ষার্থী
আমেরিকার ১৩২ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে একবার হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক রাজনীতিতেও কিছু পরিবর্তন বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের এবারের ভূমিধস জয়ের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে পুনর্বহাল করতে আমেরিকান ভোটারদের সিদ্ধান্তটি এসেছে ব্যাপক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে। মূল্যস্ফীতি বাড়াবাড়ি মাত্রায় বেশি। চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা ক্রমেই বাড়ছে। বিদেশি শ্রমের ওপর নির্ভরতা কমাতে ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী অ্যাজেন্ডা ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
এ ছাড়া বৈশ্বিক শান্তি স্থাপনে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি তাঁকে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছে। ট্রাম্প বারবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বাইডেনকে দায়ী করেছেন। তাই তাঁর বিজয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে বিশ্ববাসী আশাবাদী। এবার তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইউক্রেন বাধ্য হবে বলেই বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। অপরদিকে আমেরিকা ফার্স্ট নীতির ফলে ন্যাটোর একতা অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন। দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ট্রাম্প ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ ও ইউরোপ নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন, যা ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য হতাশাব্যঞ্জক।
ট্রাম্প নিজেদের প্রতিরক্ষা খাত ও অর্থনৈতিক খাতকে শক্তিশালী করাকে প্রাধান্য দেবেন। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে আমেরিকান শিল্প সংরক্ষণের নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি চীন, ভারতসহ একাধিক দেশ থেকে আমদানির ওপরে চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবার চীন ও ভারতের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব খুব মারাত্মকভাবেই পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের ওপর বিভিন্ন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে পারে, যার ফলে চীনের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়বে। চীন বিশ্লেষক বিল বিশপ মনে করেন, ‘তিনি যখন শুল্ক সম্পর্কে কথা বলেন, তখন বোঝা যায় যে তিনি মনে করেন চীন তার বাণিজ্যিক চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং চীন ও কোভিড তাঁকে ২০২০ সালের নির্বাচনে হারতে বাধ্য করেছে।’ প্রথম দফায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় চীন বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল। এবার চীনের অর্থনীতিতে এমনিতেই টানাপোড়েন চলছে, এর মধ্যে শুল্ক আরোপ তাতে আরও বড় ধাক্কা দেবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্বের কথা সবারই জানা। তাঁরা একে অপরকে বন্ধু বলেই সম্বোধন করে থাকেন। কিন্তু আমেরিকার ফার্স্ট নীতির কবল থেকে ভারতও রেহাই পাবে বলে মনে হয় না। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পর্যবেক্ষণকারী সাংবাদিক শশাঙ্ক মট্টু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘ট্রাম্পের চোখে ভারত বাণিজ্যসংক্রান্ত নিয়ম খুব বেশি লঙ্ঘন করে। তিনি চান না যে মার্কিন পণ্যের ওপর ভারত খুব বেশি পরিমাণ শুল্ক আরোপ করুক। ট্রাম্প চান তাঁর দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হোক।’
দক্ষিণ এশিয়ায় ট্রাম্পের নীতি বিগত প্রশাসনের থেকে খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও বাংলাদেশ নিয়ে ভিন্ন মনোভাব প্রকাশিত হওয়ার আলোচনা আছে। ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে টুইট করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আলাদাভাবে আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশে ট্রাম্প যে বাইডেন প্রশাসনের নীতি বহাল রাখবেন না, তা বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে অনেকের কাছেই স্পষ্ট হচ্ছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ অবশ্য মনে করেন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে হঠাৎ ‘নাটকীয় পরিবর্তন’ ঘটে যাবে না। কারণ, এটিকে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোণ থেকে বিবেচনা করতে হবে যে মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কি না। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে একটা বড় ধরনের প্রভাব পড়বেই, এতটা ঘনিষ্ঠতা থাকবে না। উষ্ণতা থাকবে না।’
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ট্রাম্প। কিন্তু ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকায় সেখানে তিনি কীভাবে শান্তি স্থাপন করবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, আরব এবং পশ্চিমা কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ইরানের তেলশিল্পের ওপর ‘উচ্চতর নিষেধাজ্ঞার’ মাধ্যমে তাঁর ‘সর্বোচ্চ চাপ নীতি’ পুনরায় প্রয়োগ করতে পারেন। এ ছাড়া ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো এবং হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করার ক্ষমতা দিতে পারেন বলেও কারও কারও মনে আশঙ্কা আছে।
শেষ করছি অধ্যাপক আলী রীয়াজকে উদ্ধৃত করেই। তিনি বলেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব “ট্রাঞ্জেকশনাল” (দেওয়া-নেওয়ায় বিশ্বাসী) মানুষ। তিনি গিভ অ্যান্ড টেকে বিশ্বাস করেন। তুমি এটা দিলে, আমি এটা দেব। আমি এটা দিলে তোমারও ওটা দিতে হবে। এই ট্রাঞ্জেকশনাল পলিটিকস খুবই ডেঞ্জারাস গেম।’
লেখক: সমাজকর্মী ও শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বলে, প্রতিটি দমনমূলক নীতির বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। প্রশ্ন হলো—প্রশাসন কি সেই সংঘাতের দিকে এগোতে চায়, নাকি একটি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতির স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে চায়?
৪ ঘণ্টা আগেমনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভোকেট। তিনি ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)-এর প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকেই দ্রুত নির্বাচন এবং অন্তর্বর্তী সরকার যাতে বেশি দিন ক্ষমতায় না থাকে, সে বিষয়ে সোচ্চার বিএনপি। এমনকি সরকার যেসব প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলোও নির্বাচিত সরকার ছাড়া বাস্তবায়ন করা যাবে না বলে দলটি মনে করে।
১৮ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে, সে ঘটনায় আর যাই হোক আক্কেলের কোনো পরিচয় দেখা যাচ্ছে না। সোজা কথায়, এটা বেআক্কেলি কর্মকাণ্ড। জয়পুরহাট ও রংপুরের নারী ফুটবল দলের মধ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি।
১৮ ঘণ্টা আগে