নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের খাসকামরায় তিনি জবানবন্দি দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আদালত তাঁর জবানবন্দি সন্ধ্যা পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জাফরিন ওই বৈঠকে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ওই বৈঠকে বক্তব্য রেখেছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন।
তিনি জবানবন্দিতে বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশ দেওয়ার পরেই নেতা-কর্মীরা ঢাকায় সমবেত হবে এবং পরে শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। এসব পরিকল্পনা হয়েছিল বৈঠকে। বৈঠকে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার শপথও নেন অংশগ্রহণকারীরা।
৭ আগস্ট জাফরিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ডিবির একটি দল তাঁকে আটক করে।
রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকে গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে এর আগে মেজর সাদিককে আটক করা হয়। সেনা আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি ক্যান্টনমেন্টে আছেন। সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় জাফরিনকেও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় গত ১৩ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার এসআই জ্যোতির্ময় মণ্ডল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তাঁরা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তাঁরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।
মামলায় গ্রেপ্তার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামান মোল্লার স্ত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা ও বরগুনার সোহেল রানার দুই দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৬ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ জুলাই আটজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁরা হলেন চুয়াডাঙ্গার আজিজুল মিজি, ফরিদপুরের আনজুমান আরা বেগম, ঢাকার সাভারের সুলতান মাহমুদ ওরফে তছলিম মাহমুদ, পটুয়াখালীর মো. নাঈম হাওলাদার, ভোলা জেলার মো. হেলাল উদ্দিন, নরসিংদীর মো. ইমরান হোসেন, শরীয়তপুরের মুক্তা আক্তার, রাজশাহীর নবিউল প্রকাশ নবু।
গত ৩০ জুলাই চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁরা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার রাজীব মিয়া, নওগাঁর ওমর ফারুক সৈকত, রাজধানীর বংশালের হাজি নাসির আহমেদ ও নোয়াখালী মো. এনাম হোসেন সুজন এবং ৩১ জুলাই নেত্রকোনার জাহিদ হোসেন, সিলেটের আনার মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
৩ আগস্ট রাজবাড়ীর প্রীতম কুমার দে ও শফিকুল ইসলাম সজীবকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত মোট ২২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদনান নামে আরেক আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
৭ আগস্ট রিমান্ড শুনানির সময় জাফরিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের খাসকামরায় তিনি জবানবন্দি দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আদালত তাঁর জবানবন্দি সন্ধ্যা পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জাফরিন ওই বৈঠকে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ওই বৈঠকে বক্তব্য রেখেছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন।
তিনি জবানবন্দিতে বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশ দেওয়ার পরেই নেতা-কর্মীরা ঢাকায় সমবেত হবে এবং পরে শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। এসব পরিকল্পনা হয়েছিল বৈঠকে। বৈঠকে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার শপথও নেন অংশগ্রহণকারীরা।
৭ আগস্ট জাফরিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ডিবির একটি দল তাঁকে আটক করে।
রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকে গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে এর আগে মেজর সাদিককে আটক করা হয়। সেনা আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি ক্যান্টনমেন্টে আছেন। সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় জাফরিনকেও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় গত ১৩ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার এসআই জ্যোতির্ময় মণ্ডল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তাঁরা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তাঁরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।
মামলায় গ্রেপ্তার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামান মোল্লার স্ত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা ও বরগুনার সোহেল রানার দুই দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৬ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ জুলাই আটজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁরা হলেন চুয়াডাঙ্গার আজিজুল মিজি, ফরিদপুরের আনজুমান আরা বেগম, ঢাকার সাভারের সুলতান মাহমুদ ওরফে তছলিম মাহমুদ, পটুয়াখালীর মো. নাঈম হাওলাদার, ভোলা জেলার মো. হেলাল উদ্দিন, নরসিংদীর মো. ইমরান হোসেন, শরীয়তপুরের মুক্তা আক্তার, রাজশাহীর নবিউল প্রকাশ নবু।
গত ৩০ জুলাই চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁরা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার রাজীব মিয়া, নওগাঁর ওমর ফারুক সৈকত, রাজধানীর বংশালের হাজি নাসির আহমেদ ও নোয়াখালী মো. এনাম হোসেন সুজন এবং ৩১ জুলাই নেত্রকোনার জাহিদ হোসেন, সিলেটের আনার মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
৩ আগস্ট রাজবাড়ীর প্রীতম কুমার দে ও শফিকুল ইসলাম সজীবকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত মোট ২২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদনান নামে আরেক আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
৭ আগস্ট রিমান্ড শুনানির সময় জাফরিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
১৩ মিনিট আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
২১ মিনিট আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
২৯ মিনিট আগেরাজধানীর খিলক্ষেত থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মো. আব্দুর রশিদ বখতিয়ারকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
১ ঘণ্টা আগে