সম্পাদকীয়
১০ অক্টোবর গভীর রাতে নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তার বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি রিমান্ড শুনানির সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে আদালতকে বলেছেন, ‘আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু আমাকে থানায় নিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমি কি চোর না ডাকাত? পুলিশ আমার বাসার দরজা ভেঙেছে।
আমি বলেছি, বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। আপনারা অপেক্ষা করুন। তারপরও তারা দরজা ভেঙেছে। আমাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে বের করে আনে। পরে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে। সবার সামনে লাঠিপেটা করে। মানসিক নির্যাতনও করে।’ তিনি এর বিচার চেয়েছেন। এই নির্যাতনের বিচার তিনি পাবেন কি না, সেটা বলা মুশকিল। তবে ঢাকার মহানগর হাকিম রশিদুল আলম শুনানি শেষে এ্যানির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা। আইন সবার জন্য সমান। লক্ষ্মীপুরে এ্যানির বিরুদ্ধে মোট দুটি ওয়ারেন্ট রয়েছে। জেলা পুলিশের অনুরোধে ধানমন্ডি মডেল থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায়ও তিনি এফআইআরভুক্ত আসামি।
এ্যানি একজন রাজনৈতিক নেতা। তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে অত্যাচার করার ঘটনাটি অনভিপ্রেত। তিনি কোনো অন্যায় করলে আদালত তাঁর বিচার করবেন। কিন্তু থানায় নিয়ে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা শুধু অশোভন নয়, মানবাধিকারের সর্বজনীন নীতিরও পরিপন্থী। পুলিশের উচিত সংযত আচরণ করা, কাউকে অকারণে কষ্ট না দেওয়া।
সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ভালো নয়, এটা সবারই জানা; বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল পরস্পরবিরোধী নীতি ও কৌশল নিয়ে অনড় অবস্থানে বসে আছে। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবারও ক্ষমতায় ফিরতে চায়। আর বিএনপি নির্বাচনের আগেই সরকারের পতন চায়।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বিরোধী দলের চূড়ান্ত আন্দোলন সামনে রেখে নেতাদের বিরুদ্ধে একদিকে হয়রানিমূলক মামলা নতুন করে করা হচ্ছে, অন্যদিকে পুরোনো মামলায় নতুন গতি আনা হচ্ছে। পুরোনো মামলার শুনানি শেষ করে রায়ে সাজা ঘোষণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে গ্রেপ্তারও। সরকারের এই হঠাৎ তোড়জোড় সরকারপতনের চলমান এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলন দমন করতে এবং নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার কৌশল হিসেবে নিয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
সরকারপতনের এক দফা দাবিতে টানা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই চূড়ান্ত ফয়সালা চায় দলটি। তবে হঠাৎ করে নেতা-কর্মীদের নামে ‘গায়েবি’ মামলা, গ্রেপ্তার ও দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্র ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাঁরা সাজা ও গ্রেপ্তারের চাপে রয়েছেন।
১০ অক্টোবর গভীর রাতে নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তার বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি রিমান্ড শুনানির সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে আদালতকে বলেছেন, ‘আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু আমাকে থানায় নিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমি কি চোর না ডাকাত? পুলিশ আমার বাসার দরজা ভেঙেছে।
আমি বলেছি, বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। আপনারা অপেক্ষা করুন। তারপরও তারা দরজা ভেঙেছে। আমাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে বের করে আনে। পরে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে। সবার সামনে লাঠিপেটা করে। মানসিক নির্যাতনও করে।’ তিনি এর বিচার চেয়েছেন। এই নির্যাতনের বিচার তিনি পাবেন কি না, সেটা বলা মুশকিল। তবে ঢাকার মহানগর হাকিম রশিদুল আলম শুনানি শেষে এ্যানির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা। আইন সবার জন্য সমান। লক্ষ্মীপুরে এ্যানির বিরুদ্ধে মোট দুটি ওয়ারেন্ট রয়েছে। জেলা পুলিশের অনুরোধে ধানমন্ডি মডেল থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায়ও তিনি এফআইআরভুক্ত আসামি।
এ্যানি একজন রাজনৈতিক নেতা। তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে অত্যাচার করার ঘটনাটি অনভিপ্রেত। তিনি কোনো অন্যায় করলে আদালত তাঁর বিচার করবেন। কিন্তু থানায় নিয়ে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা শুধু অশোভন নয়, মানবাধিকারের সর্বজনীন নীতিরও পরিপন্থী। পুলিশের উচিত সংযত আচরণ করা, কাউকে অকারণে কষ্ট না দেওয়া।
সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ভালো নয়, এটা সবারই জানা; বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল পরস্পরবিরোধী নীতি ও কৌশল নিয়ে অনড় অবস্থানে বসে আছে। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবারও ক্ষমতায় ফিরতে চায়। আর বিএনপি নির্বাচনের আগেই সরকারের পতন চায়।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বিরোধী দলের চূড়ান্ত আন্দোলন সামনে রেখে নেতাদের বিরুদ্ধে একদিকে হয়রানিমূলক মামলা নতুন করে করা হচ্ছে, অন্যদিকে পুরোনো মামলায় নতুন গতি আনা হচ্ছে। পুরোনো মামলার শুনানি শেষ করে রায়ে সাজা ঘোষণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে গ্রেপ্তারও। সরকারের এই হঠাৎ তোড়জোড় সরকারপতনের চলমান এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলন দমন করতে এবং নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার কৌশল হিসেবে নিয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
সরকারপতনের এক দফা দাবিতে টানা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই চূড়ান্ত ফয়সালা চায় দলটি। তবে হঠাৎ করে নেতা-কর্মীদের নামে ‘গায়েবি’ মামলা, গ্রেপ্তার ও দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্র ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাঁরা সাজা ও গ্রেপ্তারের চাপে রয়েছেন।
মনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভোকেট। তিনি ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)-এর প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকেই দ্রুত নির্বাচন এবং অন্তর্বর্তী সরকার যাতে বেশি দিন ক্ষমতায় না থাকে, সে বিষয়ে সোচ্চার বিএনপি। এমনকি সরকার যেসব প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলোও নির্বাচিত সরকার ছাড়া বাস্তবায়ন করা যাবে না বলে দলটি মনে করে।
৯ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে, সে ঘটনায় আর যাই হোক আক্কেলের কোনো পরিচয় দেখা যাচ্ছে না। সোজা কথায়, এটা বেআক্কেলি কর্মকাণ্ড। জয়পুরহাট ও রংপুরের নারী ফুটবল দলের মধ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) যে তদন্ত করেছে, ২৭ জানুয়ারি সে তদন্তের ৫৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এইচআরডব্লিউর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে...
১ দিন আগে