Ajker Patrika

পিলখানায় আয়নাঘরের অভিযোগ অবাস্তব: বিজিবি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০: ৪১
পিলখানায় আয়নাঘরের অভিযোগ অবাস্তব: বিজিবি

পিলখানায় আয়নাঘর থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর। সম্প্রতি বরখাস্তকৃত একজন সিপাহি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিজিবির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের বিষয়ে আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে এর প্রতিবাদ জানাল বিজিবি।

বিজিবি ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে বিবৃতিটি প্রচার করেছে বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ। পরবর্তী সময় বিবৃতির সত্যতা জানতে চেয়ে চেয়ে জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, বিবৃতিটি তাঁরাই প্রচার করছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিজিবি শৃঙ্খলা, পেশাদারত্ব এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ সুরক্ষা করে চলেছে। কিন্তু সম্প্রতি, বরখাস্তকৃত সিপাহি শাহীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিজিবির বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা একান্তভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। বরখাস্তকৃত সিপাহি শাহীন কর্তৃক বিজিবির শৃঙ্খলা ও মর্যাদার সম্পূর্ণ পরিপন্থী গুরুতর অপরাধের প্রমান রয়েছে।

শাহীনের বিষয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একজন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ও স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই ২০২২ সালের ৩০ জুন, জনৈকা সোনিয়া আক্তার নামক এক নারীকে বিবাহ করেন। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উম্মে তাসনিম ও খাদিজা নামে আরও দুজন নারীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেন, যা শাস্তিযোগ্য অনৈতিক কর্মকান্ড।

এ ছাড়া, বরখাস্তকৃত সিপাহি শাহীন অনুমতি ব্যতীত পেশাগত পরিচয় গোপন করে কৃষক সেজে জাতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান।

অপর একটি গুরুতর বিষয় হলো, তিনি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সমর্থিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাহিনীর অন্য সদস্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন, যা দেশ ও বাহিনীর নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ। এখানে উল্লেখ্য যে, তার বড় ভাই আবু হুরায়রা এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রাঙামাটি জেলে আটক ছিলেন বলে জানা যায়।

গুম হওয়ার বিষয়ে সিপাহি শাহীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনা প্রসূত। তাঁর অপরাধের কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পিলখানায় অবাস্তব আয়নাঘরের অভিযোগ এনে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশপ্রেমিক বিজিবিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। বিচার চলাকালীন তাঁকে কখনই বিজিবি সদর দপ্তর, পিলখানায় আনা হয় নাই।

বিজিবিতে সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে যথাযথ বিজিবি আইন ও তদন্তের মাধ্যমে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। সিপাহি শাহীনের বিরুদ্ধেও একই প্রক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন হয়েছে। যথাযথ তদন্ত কার্যক্রম ও বর্ডার গার্ড আদালতের মাধ্যমে তার বিচারকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। বিজিবির বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আইনগত। কিছু অদৃশ্য মহল, সীমান্তে টানটান উত্তেজনা চলাকালীন এই ক্রান্তিকালে বিজিবির মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন যা বিজিবির ভাবমূর্তি ও শক্তিকে খর্ব করার হীন অপচেষ্টা মাত্র।

যেকোনো অপরাধী বা দুর্নীতিবাজ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিজিবি নিজেদের প্রতিষ্ঠিত নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত