Ajker Patrika

শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, ১৮: ২৭
শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

শিশুর জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে যেতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘শিশুর জন্য একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ আমরা গড়ে যেতে চাই। তার জন্য আমি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে দিয়ে গেলাম। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা ধরে রেখে আগামী দিনে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব এই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার।’ 

আজ বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদ্‌যাপন উপলক্ষে, ‘হৃদয়ে পিতৃভূমি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
 
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের শিশুরাই হবে আগামীদিনের কর্ণধার। আমাদের যে লক্ষ্য ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদ্‌যাপন করব। সেই সঙ্গে ২১০০ সাল পর্যন্ত এই বাংলাদেশ কীভাবে উন্নত হবে সেই পরিকল্পনাও দিয়ে গেছি।
 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে সুন্দর হয়, উজ্জ্বল হয় সেইদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের সব কর্মপরিকল্পনা।’ কালজয়ী কবি সুকান্তের ভাষায় বলতে হয়, ‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’
 
সরকার প্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এই মাটির ধুলো মাটি মেখে, হেসে খেলে বড় হয়েছেন। এই মাটি থেকে শিখেছেন মানুষকে ভালোবাসতে। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। মানুষের জন্য কীভাবে উন্নত জীবন দেবেন। সেই শিক্ষাটাও তাঁর এই মাটি থেকে পাওয়া। আবার এই মাটিতে তিনি চির নিদ্রায় শায়িত।’
 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, পেয়েছি আত্মমর্যাদা, পেয়েছি আত্মপরিচয়, পেয়েছি একটি রাষ্ট্র।’
 
জাতির পিতা জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে জাতির পিতা সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি আগামী ২১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে মুজিব বর্ষ লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের গ্রাম বাংলায় নানা বৈচিত্র্য ভরা। এই বৈচিত্র্য বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতিকে তুলে ধরা, ঐতিহ্যবাহী লোকজপণ্য প্রদর্শনীসহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা ধরনের আয়োজন থাকবে। বাংলাদেশ বিষয়ক বই, চলচিত্র প্রদর্শনী এবং সংস্কৃতির আয়োজন থাকবে। এই মেলায় উপস্থিত থেকে সরাসরি উদ্বোধন করতে পারছি না, কিন্তু আজকেই এই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’
 
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই কমিটির অনেকই আমাদের মাঝে নেই। হারিয়ে গেছেন। আমার দুজন শিক্ষকসহ অনেকই হারিয়ে গেছেন। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। কমিটির প্রতিটি সদস্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।’

শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। 
 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুহাম্মদ ফারুক খান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এবং শিশু প্রতিনিধি শেখ মুনিয়া ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত