নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাব্যতা যাচাই অনুযায়ী ২৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে খরচ উঠে আসার পূর্বাভাস ছিল। নিজস্ব অর্থায়নের এই খরচের টাকা সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। ১ শতাংশ সুদসহ ২৫ বছরে সরকারকে ফেরত দেবে। সেই চুক্তি করে সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ নিয়েছে। এই সেতু হয়েছে আমাদের নিজের টাকায়। বাংলাদেশের টাকায়। আমি মনে করি অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক বেশি উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তিতে আমাদের বেশ কিছু প্রাপ্তি যুক্ত হবে। এই সেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে স্বকীয়তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী খাতভিত্তিক ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের ব্যয় নিয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। নদী শাসন, পুনর্বাসন, ইউটিলিটি সুবিধাসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে শুধু সেতুর ১১ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যে কোনো বিচারে এই ব্যয় সাশ্রয়ী। সমসাময়িক সময়ে নির্মিত সব সেতুর তুলনায় এই সেতুর ব্যয় অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। যৌক্তিকতার বাইরে কোনো কাজ বা ব্যয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ ছিল না। এই ব্যয় যে কোনো বিচারে অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগই ছিল না।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ও সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আবার মেরামতের জন্য সহযোগিতা করা হবে। সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনার প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে দেশে বন্যা হয়। পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসবে এটা আমাদের ধরেই নিতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ ও তাঁবু পাঠানোর ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবতার কারণে আমরা এ কাজটা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর চাপ এসেছে। বিশেষ করে যেসব পণ্য আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোতে চাপ আসে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার জন্য ভোক্তা অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলো দিয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছি। তা ছাড়াও আমরা রাশিয়া, ইউক্রেন, কানাডা ও অন্যান্য জায়গা থেকে গম, সার ও তেল যাতে আমদানি করা যায়… ব্রাজিল থেকে তেল আমদানির ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো, সিলেটের পারাবত ট্রেন, লঞ্চ এবং ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক, যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত চলছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাব্যতা যাচাই অনুযায়ী ২৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে খরচ উঠে আসার পূর্বাভাস ছিল। নিজস্ব অর্থায়নের এই খরচের টাকা সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। ১ শতাংশ সুদসহ ২৫ বছরে সরকারকে ফেরত দেবে। সেই চুক্তি করে সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ নিয়েছে। এই সেতু হয়েছে আমাদের নিজের টাকায়। বাংলাদেশের টাকায়। আমি মনে করি অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক বেশি উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তিতে আমাদের বেশ কিছু প্রাপ্তি যুক্ত হবে। এই সেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে স্বকীয়তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী খাতভিত্তিক ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের ব্যয় নিয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। নদী শাসন, পুনর্বাসন, ইউটিলিটি সুবিধাসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে শুধু সেতুর ১১ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যে কোনো বিচারে এই ব্যয় সাশ্রয়ী। সমসাময়িক সময়ে নির্মিত সব সেতুর তুলনায় এই সেতুর ব্যয় অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। যৌক্তিকতার বাইরে কোনো কাজ বা ব্যয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ ছিল না। এই ব্যয় যে কোনো বিচারে অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগই ছিল না।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ও সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আবার মেরামতের জন্য সহযোগিতা করা হবে। সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনার প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে দেশে বন্যা হয়। পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসবে এটা আমাদের ধরেই নিতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ ও তাঁবু পাঠানোর ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবতার কারণে আমরা এ কাজটা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর চাপ এসেছে। বিশেষ করে যেসব পণ্য আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোতে চাপ আসে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার জন্য ভোক্তা অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলো দিয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছি। তা ছাড়াও আমরা রাশিয়া, ইউক্রেন, কানাডা ও অন্যান্য জায়গা থেকে গম, সার ও তেল যাতে আমদানি করা যায়… ব্রাজিল থেকে তেল আমদানির ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো, সিলেটের পারাবত ট্রেন, লঞ্চ এবং ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক, যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত চলছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাব্যতা যাচাই অনুযায়ী ২৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে খরচ উঠে আসার পূর্বাভাস ছিল। নিজস্ব অর্থায়নের এই খরচের টাকা সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। ১ শতাংশ সুদসহ ২৫ বছরে সরকারকে ফেরত দেবে। সেই চুক্তি করে সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ নিয়েছে। এই সেতু হয়েছে আমাদের নিজের টাকায়। বাংলাদেশের টাকায়। আমি মনে করি অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক বেশি উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তিতে আমাদের বেশ কিছু প্রাপ্তি যুক্ত হবে। এই সেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে স্বকীয়তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী খাতভিত্তিক ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের ব্যয় নিয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। নদী শাসন, পুনর্বাসন, ইউটিলিটি সুবিধাসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে শুধু সেতুর ১১ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যে কোনো বিচারে এই ব্যয় সাশ্রয়ী। সমসাময়িক সময়ে নির্মিত সব সেতুর তুলনায় এই সেতুর ব্যয় অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। যৌক্তিকতার বাইরে কোনো কাজ বা ব্যয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ ছিল না। এই ব্যয় যে কোনো বিচারে অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগই ছিল না।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ও সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আবার মেরামতের জন্য সহযোগিতা করা হবে। সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনার প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে দেশে বন্যা হয়। পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসবে এটা আমাদের ধরেই নিতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ ও তাঁবু পাঠানোর ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবতার কারণে আমরা এ কাজটা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর চাপ এসেছে। বিশেষ করে যেসব পণ্য আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোতে চাপ আসে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার জন্য ভোক্তা অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলো দিয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছি। তা ছাড়াও আমরা রাশিয়া, ইউক্রেন, কানাডা ও অন্যান্য জায়গা থেকে গম, সার ও তেল যাতে আমদানি করা যায়… ব্রাজিল থেকে তেল আমদানির ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো, সিলেটের পারাবত ট্রেন, লঞ্চ এবং ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক, যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত চলছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাব্যতা যাচাই অনুযায়ী ২৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে খরচ উঠে আসার পূর্বাভাস ছিল। নিজস্ব অর্থায়নের এই খরচের টাকা সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। ১ শতাংশ সুদসহ ২৫ বছরে সরকারকে ফেরত দেবে। সেই চুক্তি করে সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ নিয়েছে। এই সেতু হয়েছে আমাদের নিজের টাকায়। বাংলাদেশের টাকায়। আমি মনে করি অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক বেশি উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তিতে আমাদের বেশ কিছু প্রাপ্তি যুক্ত হবে। এই সেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে স্বকীয়তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী খাতভিত্তিক ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের ব্যয় নিয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। নদী শাসন, পুনর্বাসন, ইউটিলিটি সুবিধাসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে শুধু সেতুর ১১ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যে কোনো বিচারে এই ব্যয় সাশ্রয়ী। সমসাময়িক সময়ে নির্মিত সব সেতুর তুলনায় এই সেতুর ব্যয় অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। যৌক্তিকতার বাইরে কোনো কাজ বা ব্যয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ ছিল না। এই ব্যয় যে কোনো বিচারে অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগই ছিল না।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ও সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আবার মেরামতের জন্য সহযোগিতা করা হবে। সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনার প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে দেশে বন্যা হয়। পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসবে এটা আমাদের ধরেই নিতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ ও তাঁবু পাঠানোর ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবতার কারণে আমরা এ কাজটা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর চাপ এসেছে। বিশেষ করে যেসব পণ্য আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোতে চাপ আসে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার জন্য ভোক্তা অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলো দিয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছি। তা ছাড়াও আমরা রাশিয়া, ইউক্রেন, কানাডা ও অন্যান্য জায়গা থেকে গম, সার ও তেল যাতে আমদানি করা যায়… ব্রাজিল থেকে তেল আমদানির ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো, সিলেটের পারাবত ট্রেন, লঞ্চ এবং ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক, যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত চলছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী
৩০ জুন ২০২২
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী
৩০ জুন ২০২২
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী
৩০ জুন ২০২২
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের সব সচিবের কাছে নতুন পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রের অনুলিপি উপদেষ্টাদের একান্ত সচিবদেরও দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, লক্ষ করা যাচ্ছে, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা আগের নির্দেশনাগুলোর পরিপন্থী।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করার অনুরোধ করা হলো।’
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের সব সচিবের কাছে নতুন পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রের অনুলিপি উপদেষ্টাদের একান্ত সচিবদেরও দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, লক্ষ করা যাচ্ছে, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা আগের নির্দেশনাগুলোর পরিপন্থী।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করার অনুরোধ করা হলো।’
আরও খবর পড়ুন:

সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী
৩০ জুন ২০২২
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
৩ ঘণ্টা আগে