নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাব্যতা যাচাই অনুযায়ী ২৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে খরচ উঠে আসার পূর্বাভাস ছিল। নিজস্ব অর্থায়নের এই খরচের টাকা সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। ১ শতাংশ সুদসহ ২৫ বছরে সরকারকে ফেরত দেবে। সেই চুক্তি করে সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ নিয়েছে। এই সেতু হয়েছে আমাদের নিজের টাকায়। বাংলাদেশের টাকায়। আমি মনে করি অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক বেশি উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তিতে আমাদের বেশ কিছু প্রাপ্তি যুক্ত হবে। এই সেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে স্বকীয়তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী খাতভিত্তিক ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের ব্যয় নিয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। নদী শাসন, পুনর্বাসন, ইউটিলিটি সুবিধাসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে শুধু সেতুর ১১ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যে কোনো বিচারে এই ব্যয় সাশ্রয়ী। সমসাময়িক সময়ে নির্মিত সব সেতুর তুলনায় এই সেতুর ব্যয় অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। যৌক্তিকতার বাইরে কোনো কাজ বা ব্যয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ ছিল না। এই ব্যয় যে কোনো বিচারে অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগই ছিল না।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ও সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আবার মেরামতের জন্য সহযোগিতা করা হবে। সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনার প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে দেশে বন্যা হয়। পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসবে এটা আমাদের ধরেই নিতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ ও তাঁবু পাঠানোর ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবতার কারণে আমরা এ কাজটা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর চাপ এসেছে। বিশেষ করে যেসব পণ্য আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোতে চাপ আসে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার জন্য ভোক্তা অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলো দিয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছি। তা ছাড়াও আমরা রাশিয়া, ইউক্রেন, কানাডা ও অন্যান্য জায়গা থেকে গম, সার ও তেল যাতে আমদানি করা যায়… ব্রাজিল থেকে তেল আমদানির ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো, সিলেটের পারাবত ট্রেন, লঞ্চ এবং ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক, যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত চলছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাব্যতা যাচাই অনুযায়ী ২৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে খরচ উঠে আসার পূর্বাভাস ছিল। নিজস্ব অর্থায়নের এই খরচের টাকা সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। ১ শতাংশ সুদসহ ২৫ বছরে সরকারকে ফেরত দেবে। সেই চুক্তি করে সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ নিয়েছে। এই সেতু হয়েছে আমাদের নিজের টাকায়। বাংলাদেশের টাকায়। আমি মনে করি অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।’
পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক বেশি উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তিতে আমাদের বেশ কিছু প্রাপ্তি যুক্ত হবে। এই সেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে স্বকীয়তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় থেকেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো সংসদে ব্যাখ্যা করেন। সড়ক সেতুর সঙ্গে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য ও পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী খাতভিত্তিক ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের ব্যয় নিয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। নদী শাসন, পুনর্বাসন, ইউটিলিটি সুবিধাসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে শুধু সেতুর ১১ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যে কোনো বিচারে এই ব্যয় সাশ্রয়ী। সমসাময়িক সময়ে নির্মিত সব সেতুর তুলনায় এই সেতুর ব্যয় অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। যৌক্তিকতার বাইরে কোনো কাজ বা ব্যয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ ছিল না। এই ব্যয় যে কোনো বিচারে অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগই ছিল না।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ও সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আবার মেরামতের জন্য সহযোগিতা করা হবে। সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনার প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে দেশে বন্যা হয়। পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসবে এটা আমাদের ধরেই নিতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ ও তাঁবু পাঠানোর ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবতার কারণে আমরা এ কাজটা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর চাপ এসেছে। বিশেষ করে যেসব পণ্য আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোতে চাপ আসে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার জন্য ভোক্তা অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলো দিয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছি। তা ছাড়াও আমরা রাশিয়া, ইউক্রেন, কানাডা ও অন্যান্য জায়গা থেকে গম, সার ও তেল যাতে আমদানি করা যায়… ব্রাজিল থেকে তেল আমদানির ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো, সিলেটের পারাবত ট্রেন, লঞ্চ এবং ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক, যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত চলছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
আগামী জুনকে সামনে রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য অধিকতর জটিল আবেদন নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতে দিয়েছে কমিশন।
৪০ মিনিট আগেপ্রতিটি স্কুলে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের ভর্তির ব্যবস্থার তাগাদা দিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। স্কুলগুলোর ভেতরে এই শিশুদের জায়গা দিতে বিশেষ কক্ষ রাখার কথা বলেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার। আজ মঙ্গলবার কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনালাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ করা যাবে কি না, এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে